আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
55 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (21 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম। নীচের প্রশ্নগুলোর উত্তরের আশা করছি। জাযাকাল্লাহু খায়রান।

(১) কোনোকিছু দ্রুত পড়তে গিয়ে যদি ভুল পড়ে ফেলি বা ভুল ধারণা পোষণ করে ফেলি তাহলে কি তাতে গুনাহ হয়?

(২) ইতোপূর্বে অনেকবার এমন হয়েছে যে, ভুল পড়লে গুনাহ হবে ভেবে কিছু পড়ার সময় বারবার সেই লেখাটি পড়েছি। এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে? (৩) যদি গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে এখন সবগুলোর জন্য একবারে মাফ চাইলে হবে কি?

(৪) আবার অনেক সময় এমনও হয়েছে, কোনো একটা লেখা পড়তে গিয়ে ভুল পড়লাম কিনা সেই সন্দেহে লেখাটি আবার পড়ার প্রয়োজন অনুভব করছিলাম। কিন্তু পরে ভাবলাম হয়তো আরেকবার পড়ার প্রয়োজন নেই, এখানে হয়তো শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে যে, আরেকবার না পড়লে গুনাহ হবে। সেসব চিন্তা করে হয়তো প্রয়োজন থাকা সত্বেও লেখাগুলো আরেকবার পড়া থেকে বিরত থেকেছি। এতে কি আমার গুনাহ হয়েছে? (৫) যদি গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে এখন সবগুলোর জন্য একবারে মাফ চাইলে হবে কি?

(৬) যদি আরেকবার পড়ার প্রয়োজন মনে করা সত্ত্বেও, শয়তান ওয়াসওয়াসা দিচ্ছে ভেবে আরেকবার পড়া থেকে বিরত থাকি এবং এর কারণে ভুল পড়ে ফেলি বা ভুল ধারণা পোষণ করে ফেলি তাহলে কি তাতে গুনাহ হয়েছে?(৭) গুনাহ হয়ে থাকলে অতীতে অসংখ্যবার এখন গুনাহ হওয়ার কারণে এখন একবারে সবগুলোর জন্য মাফ চাইলে হবে কি?

(৮) এছাড়া অনেকসময় কেউ কিছু বললে, ভালো করে শুনতে না পারার কারণে যদি বিষয়টি নিয়ে ভুল ধারণা পোষণ করি, তাহলেও কি তাতে গুনাহ হয়? (৯) যদি গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে অতীতে অনেকবার এমন হয়ে থাকলে এখন সবগুলোর জন্য একবারে মাফ চাইলে হবে কি?

(১০) অনেক সময় কোনো কিছু পড়ার প্রয়োজন মনে করলেও, পড়তে গিয়ে শয়তান ওয়াসওয়াসা দিতে পারে ভেবে পড়া থেকে বিরত থাকি, এতে কি গুনাহ হয়?(১১) যদি গুনাহ হয়ে থাকে তাহলে অতীতে অনেকবার এমন হয়ে থাকলে এখন সবগুলোর জন্য একবারে মাফ চাইলে হবে কি?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اجۡتَنِبُوۡا کَثِیۡرًا مِّنَ الظَّنِّ ۫ اِنَّ بَعۡضَ الظَّنِّ اِثۡمٌ وَّ لَا تَجَسَّسُوۡا وَ لَا یَغۡتَبۡ بَّعۡضُکُمۡ بَعۡضًا ؕ اَیُحِبُّ اَحَدُکُمۡ اَنۡ یَّاۡکُلَ لَحۡمَ اَخِیۡہِ مَیۡتًا فَکَرِہۡتُمُوۡہُ ؕ وَ اتَّقُوا اللّٰہَ ؕ اِنَّ اللّٰہَ تَوَّابٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۲﴾ 

হে ঈমানদারগণ! তোমরা অধিকাংশ অনুমান হতে দূরে থাক; কারণ কোন কোন অনুমান পাপ এবং তোমরা একে অন্যের গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না এবং একে অন্যের গীবত করো না। তোমাদের মধ্যে কি কেউ তার মৃত ভাইয়ের গোশত খেতে চাইবে? বস্তুত তোমরা তো একে ঘৃণ্যই মনে কর। আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় আল্লাহ্ তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু।
(সুরা হুজরাত ১২)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
বিখ্যাত তাবেয়ী ইমাম সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়াব রাহ. থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক সাহাবী আমাকে লিখে পাঠিয়েছেন,

 أن ضع أمر اخيك على أحسنه ما لم يأتك ما يغلبك، ولا تظنن بكلمة خرجت من امرئ مسلم شرا وانت تجد لها في الخير محملا، ومن عرض نفسه للتهم فلا يلومن الا نفسه، ومن كتم سره كانت الخيرة في يده وما كافيت من عصى الله فيك بمثل ان تطيع الله تعالى فيه

অর্থাৎ তোমার ভাইয়ের কাজ ও অবস্থা তার উত্তম অর্থে গ্রহণ কর যে পর্যন্ত না এর বিপরীতে ভারী কোনো প্রমাণ আসে এবং কোনো মুসলিমের কোনো কথার মন্দ ব্যাখ্যা করো না যে পর্যন্ত তার কোনো ভালো ব্যাখ্যা করা তোমার পক্ষে সম্ভব হয়। আর যে নিজের সম্পর্কে সন্দেহের সুযোগ সৃষ্টি করে সে যেন শুধু নিজেকেই ভৎর্সনা করে। আর যে নিজের গোপন কথা গোপন রাখে কর্তৃত্ব তার হাতেই থাকে। আর যে তোমার বিষয়ে আল্লাহর নাফরমানী করল এর উত্তম বিনিময় এর চেয়ে আর কী হতে পারে যে, তুমি তার বিষয়ে আল্লাহর ফরমাবরদারী কর। (শুআবুল ঈমান, বাইহাকী ৩ : ১৫০)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
এটি তো কুরআন হাদীস নয়,তাই এতে গুনাহ হবেনা।
তবে এভাবে পড়তে কাহারো ব্যপারে মন্দ ধারণা পোষন করলে মন্দ ধারণা পোষন করার দরুন গুনাহ হবে।

(২.৩.৪,৫)
এতে আপনার গুনাহ হয়নি।
তাই মাফ চাইতে হবেনা।

(৬.৭)
তাহলে তাতে গুনাহ হয়নি।
তাই মাফ চাইতে হবেনা।

(০৮)
ভূল ধারণা পোষন করলে গুনাহ হবেনা।
তবে সেটি যদি মন্দ ধারণা হয়,সেক্ষেত্রে মন্দ ধারণা পোষন করার দরুন গুনাহ হবে।

(০৯)
মন্দ ধারণা পোষন করলে সব গুলোর জন্য আল্লাহর কাছে তওবার সমস্ত শর্ত মেনে একবার তওবা করলে হবে।

তওবার শর্তাবলী জানুনঃ- 

মন্দ ধারণা পোষন না করে থাকলে গুনাহ হবেনা,তাই এর জন্য তওবাও করতে হবেনা।

(১০,১১)
এতে গুনাহ হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...