আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
136 views
in সাওম (Fasting) by (41 points)
Assalamualaikum Wa rohmatullohi wa barokatuh
১.আমার কাযা রোযা আছে, এখন রোযা গুলো রাখতে চাচ্ছি। কিন্তু আমার ঠান্ডার সমস্যা ডাক্তার আমাকে সকালে ও রাতে ড্রপ ব্যবহার করতে বলেছে। এবং সকালে ঔষধ খেতে হয় রাতেও। আবার সকালে ও রাতে গরম পানির সাথে ন্যাসোভাপ (লিকুইড জাতীয়) মিশিয়ে ভাপ নিতে হয়। এখন নাকে ড্রপ ইউজ করলে তো এটা গলায় চলে যায়।আর গরম পানির যে ভাপ নিই এটা ভিক্সের মতো মুখ ও নাক দিয়ে নিতে হয়। এখন আমি রোযা রাখলে কি রোযা ভাঙ্গবে? ডাক্তার 14 দিনের চিকিৎসা দিয়েছে। এখন কি আমি চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর রোযা (হায়েজের কারণে কাযা হয়েছে)রাখব?  এর মধ্যে যদি আমি মারা যাই আমার নিয়তের কারণে কি আল্লাহ মাফ করবেন?

২.এর আগে আমি কাযা রোযা রেখেছি কিন্তু কয়টা রেখেছি মনে করতে পারছি না আর আমার হিসাব ও নেই কয়টা কাযা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমি যদি সপ্তাহে তিনটা করে রাখতে থাকি তাহলে কি হবে?

৩.আজ রাতে আমার ঘুম হচ্ছিল না একটু চোখ লেগে আসাতে আমি কি স্বপ্ন দেখেছি নাকি কি হয়েছে জানি না মনে হয়েছে যে কেও আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে  এটার জন্য কি করতে পারি?শুধু আজকেই হয়েছে।আমি রাতের আমল করেছি আয়াতুল কুরসি তিন কুল আল্লাহর কাছে মাফ চেয়ে শুয়েছিলাম।

1 Answer

+1 vote
by (63,560 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাব

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

وَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الْأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الْأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ

আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। [সূরা বাকারা-১৮৭]

 

যেসব কারণে রোজা ভেঙ্গে যায়

১. রোজার কথা স্মরণ থাকা অবস্থায় কুলি করার সময় অনিচ্ছায় গলার ভেতর পানি প্রবেশ করলে।

২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ বা অন্যকিছু শরীরে প্রবেশ করালে।

৩. রোজাদারকে জোর করে কেউ কিছু খাওয়ালে।

৪. রাত অবশিষ্ট আছে মনে করে সুবেহ সাদেকের পর পানাহার করলে।

৫. ইফতারের সময় হয়েছে ভেবে সূর্যাস্তের আগে ইফতার করলে।

৬. ইচ্ছাকৃত ভাবে মুখ ভরে বমি করলে।

৭. জোরপূর্বক সহবাস করলে। এক্ষেত্রে স্ত্রীর শুধু কাজা করতে হবে এবং স্বামীর কাজা-কাফফারা দু’টোই করতে হবে।

৮. ভুলবশত কোনো কিছু খেয়ে, রোজা ভেঙে গেছে ভেবে ইচ্ছা করে আরও কিছু খেলে।

৯. বৃষ্টির পানি মুখে পড়ার পর তা খেয়ে ফেললে।

১০. নাক দিয়ে ওষুধ প্রবেশ করালে।

১১. জিহ্বা দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে ছোলা পরিমাণ কোনো কিছু বের করে খেয়ে ফেললে।

১২. অল্প বমি মুখে আসার পর ইচ্ছাকৃতভাবে তা গিলে ফেললে।

 

উল্লেখ্য যে, নাকে ড্রপ, পানি ইত্যাদি দিয়ে ভেতরে টেনে নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যাবে।  কারণ, নাক রোজা ভঙ্গ হবার গ্রহণযোগ্য রাস্তা। নাকে ড্রপ ইত্যাদি দিলে তা গলা পর্যন্ত পৌঁছে যায়।

,

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!

 

১. নাকে ড্রপ, পানি ইত্যাদি দিয়ে ভেতরে টেনে নিলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায়। তাই আপনি কিছুদিন পরেই কাযা রোজাগুলো আদায় করেন। আশা করা যায় যে, আল্লাহ তায়ালা আপনার ওজর গ্রহণ করবেন।

২. জ্বী হবে ইনশাআল্লাহ। আপনি অনুমান করে কাযা আদায় করতে থাকেন।

৩. আপনি ঘুমানোর আগে অযু করে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন এবং আয়াতুল কুরসী, তিন কুল ও ঘুমানোর দুআ পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। আশা করা যায় তাহলে কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...