আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
384 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর, 
আমার মনে হচ্ছে প্রত্যেক পুরুষের বিয়ের আগে তালাকের সম্পর্কে জানা উচিত।  তাই অনেকগুলো ফতোয়া পড়েছি এবং মনে করছি সবাইকে সতর্ক করা উচিত কিন্তু আমি একটা বিষয়ে কনফিউজড।  আশা করি সাধারণ মানুষ হিসেবে বিস্তারিত খুলে বলবেন।
------------------------

অনেকগুলো কিনায়া তালাকের বাক্য তুলে ধরার পর বলা হয়েছে --স্বামীর যদি এখানে নিয়ত না থাকে,তাহলে এ সব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা। তবে মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে হলে কাযা'আন তালাক হবে। দিয়ানাতান তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।

 

আর যদি মুযাকারায়ে তালাকের ক্ষেত্রে না হয়,বরং রাগ ও ঝগড়াঝাটির অবস্থায় হয়,তাহলে প্রত্যেকটি কেনায়া বাক্য বলার দ্বারাই তালাক হবে,কিন্তু যেসব বাক্য দিয়ে গালি গালাজ উদ্দেশ্য করা হয়,সেসব বাক্য দ্বারা তালাক হবেনা,কিন্তু যদি নিয়ত করে,তাহলে তালাক হবে।

 

(কুদুরী ৩৬৩.৩৬৪. হেদায়া শরহুল বিদায়াহ ১/২৪১,শরহে বিকায়াহ ২/৭৭)

 


১. তার মানে কি কেউ রাগ করে বা ঝগড়াঝাটির সময় তালাকে কিনায়া বললে তালাক হয়ে যাবে?


২. যদি না হয় তাহলে উপরোক্ত মোটা কালো করে দেওয়া লেখা যেখানে রাগ করে বা ঝগড়াঝাটির সময় তালাকে কিনায়া বললে তালাক হয়ে যাবে বলা হয়েছে সেটার অর্থ কি?

৩. মুযাকারা, কাযাআন, দিয়ানাতান পরিভাষা গুলোর অর্থ কি জানতে পারি?

1 Answer

0 votes
by (566,370 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(১.২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَحَدَّثَنِي عَنْ مَالِك أَنَّهُ سَمِعَ ابْنَ شِهَابٍ يَقُولُ فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ بَرِئْتِ مِنِّي وَبَرِئْتُ مِنْكِ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ بِمَنْزِلَةِ الْبَتَّةِ قَالَ مَالِك فِي الرَّجُلِ يَقُولُ لِامْرَأَتِهِ أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ أَوْ بَائِنَةٌ إِنَّهَا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ لِلْمَرْأَةِ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا وَيُدَيَّنُ فِي الَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا أَوَاحِدَةً أَرَادَ أَمْ ثَلَاثًا فَإِنْ قَالَ وَاحِدَةً أُحْلِفَ عَلَى ذَلِكَ وَكَانَ خَاطِبًا مِنْ الْخُطَّابِ لِأَنَّهُ لَا يُخْلِي الْمَرْأَةَ الَّتِي قَدْ دَخَلَ بِهَا زَوْجُهَا وَلَا يُبِينُهَا وَلَا يُبْرِيهَا إِلَّا ثَلَاثُ تَطْلِيقَاتٍ وَالَّتِي لَمْ يَدْخُلْ بِهَا تُخْلِيهَا وَتُبْرِيهَا وَتُبِينُهَا الْوَاحِدَةُ قَالَ مَالِك وَهَذَا أَحْسَنُ مَا سَمِعْتُ فِي ذَلِكَ

মালিক (রহঃ) বলেনঃ তিনি ইবন শিহাব (রহঃ)-কে বলিতে শুনিয়াছেন, যে ব্যক্তি তাহার স্ত্রীকে বলিলঃ “আমার তোমা হইতে দায়িত্বমুক্ত হইয়াছি। তুমিও আমা হইতে দায়িত্বমুক্ত।” ইহা দ্বারা তালাকাই আল-বাত্তা-এর মতো তিন তালাক প্রযোজ্য হইবে।

যে ব্যক্তি নিজের স্ত্রীকে বলিলঃ (أَنْتِ خَلِيَّةٌ أَوْ بَرِيَّةٌ) “তুমি দায়মুক্ত” (أَنْتِ بَائِنَةٌ) “তুমি আমা হইতে পৃথক।” মালিক (রহঃ) বলেনঃ সে স্ত্রী যাহার সঙ্গে সহবাস করা হইয়াছে এইরূপ হইলে তবে তাহার স্বামীর উপরিউক্ত বাক্যগুলির দ্বারা তাহার উপর তিন তালাক বর্তাইবে। আর যদি সেই স্ত্রী এমন হয় যাহার সহিত সহবাস করা হয়নি, তবে ধর্মত স্বামীকে বিশ্বাস করা হইবে এবং তাহার নিকট জিজ্ঞাসা করা হইবে-সে উপরিউক্ত বাক্যগুলি দ্বারা এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে, না তিন তালাক। যদি সে এক তালাক উদ্দেশ্য করিয়াছে বলিয়া প্রকাশ করে তাহা হইলে এই বিষয়ে সেই ব্যক্তিকে হলফ দেওয়া হইবে। (যেহেতু স্বামীর উক্তির দ্বারা স্ত্রীর প্রতি এক তালাক বায়েন প্রযোজ্য হইয়াছে, তাই পুনর্বিবাহ ছাড়া স্বামী সেই স্ত্রীকে গ্রহণ করিতে পারবে না) তাই সে বিবাহের প্রস্তাবকারী হিসাবে অন্য লোকদের মতো একজন বলিয়া পণ্য হইবে। ইহার কারণ এই যে, যে স্ত্রীর সহিত সঙ্গম করা হইয়াছে সেই স্ত্রী তিন তালাক ছাড়া দায়িত্বমুক্ত বা স্বামী হইতে পৃথক হইবে না। আর যাহার সহিত সঙ্গম হয় নাই সেই স্ত্রী এক তালাক দ্বারা দায়িত্বমুক্ত ও পৃথক হইয়া যায়।

মালিক (রহঃ) বলিয়াছেনঃ এ বিষয়ে যাহা আমি শুনিয়াছি তন্মধ্যে ইহাই আমার নিকট উত্তম।
(মুয়াত্তা মালিক ১১৬৫)

রাগের অবস্থাঃ-


وفي حالة الغضب يصدق في جميع ذلك لاحتمال الرد والسب إلا فيما يصلح للطلاق ولا يصلح للرد والشتم كقوله اعتدي واختاري وأمرك بيدك فإنه لا يصدق فيها كذا في الهداية...............  وفي الينابيع ألحق أبو يوسف - رحمه الله تعالى - بالخمسة ستة أخرى وهي الأربعة المتقدمة وزاد خالعتك والحقي بأهلك هكذا في غاية السروجي.


রাগের অবস্থায় স্বামী তালাকের নিয়তকে অস্বীকার করলে স্বামীর উক্ত বক্তব্য-কে সত্যায়ন করা হবে।কেননা সেই শব্দ সমূহে গালিগালাজ ও স্ত্রীর তালাকের আবেদন-কে  ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।তবে যেই সমস্ত শব্দাবলীতে শুধুমাত্র তালাকের অর্থ বিদ্যমান রয়েছে।গালিগালাজ বা (স্ত্রীর তালাকের আবেদন) ফিরিয়ে দেয়ার অর্থ বিদ্যমান না থাকে,তাহলে সেই সমস্ত শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকার-কে সত্যায়ন করা হবে না।বরং তালাক পতিত হবে।যেমন- তুমি ইদ্দত গণনা করো,তুমি পছন্দ করো,তোমার বিষয় তোমার হাতে, ইত্যাদি।সুতরাং এমন শব্দাবলীর বেলায় স্বামীর অস্বীকারকে সত্যায়ন করা যাবে না,বরং তালাক পতিত হবে।(হেদায়া) ইমাম আবু ইউসুফ রাহ পূর্ববর্তী পাঁচের সাথে আরো দুইটি শব্দ সংযোগ করেন,তখন সর্বমোট ছয়টি শব্দ হয়।সেই দুইটি হল,আমি তোমার সাথে খোলা করলাম,তুমি তোমার পরিবারবর্গের সাথে মিলিত হয়ে যাও।(গায়াতুস-সুরুজী) (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৫)


বিস্তারিত জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/1049/


★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
কোনো স্বামী যদি রাগের সময় বা ঝগড়াঝাটির সময় কেনায়া তালাকের বাক্য স্ত্রীকে বলে,সেক্ষেত্রে যে সমস্ত শব্দাবলী দ্বারা তালাক ব্যতীত ভিন্ন কিছু বুঝা যায় না,(যেমন,তোমার বিষয় তোমার হাতে,তুমি পছন্দ করো,তুমি গণনা করো।) এসমস্ত বাক্য বললে স্বামীর তালাকের নিয়ত না থাকলেও তালাক হয়ে যাবে।

(০৩)
মুযাকারায়ে তালাক,এটি তালাক প্রদানের একটি অবস্থা।
যেটিকে তালাকের প্রেক্ষাপট বা পরিবেশ বলে।

https://ifatwa.info/45359 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
তালাকের পরিবেশ ও পরিস্থিতি তিন প্রকার।(১) হালতে রেযা- খুশির হালত(২) মুযাকারায়ে তালাক তথা তালাকের শব্দাবলী উচ্ছারণের হালত(৩) রাগান্বিত অবস্থা।

যদি স্বামী তালাক দেয়ার উপর ধমক দিতে থাকে,বা স্ত্রী তালাক চায়,বা সেখানে অন্য কোনো ব্যাক্তি সেই স্বামীকে তালাক দেয়ার উপর উদ্ভুদ্ধ করে,তাহলে সেটিকে তালাকের মজলিস,মুযাকারায়ে তালাক বলা হবে।

মুযাকারায়ে তালাক বা তালাকের মজলিস কাকে বলে?
এ বিষয়ে রদ্দুল মুহতারে বর্ণিত রয়েছে,
"(قَوْلُهُ: وَهِيَ حَالَةُ مُذَاكَرَةِ الطَّلَاقِ) أَشَارَ بِهِ إلَى مَا فِي النَّهْرِ مِنْ أَنَّ دَلَالَةَ الْحَالِ تَعُمُّ دَلَالَةَ الْمَقَالِ قَالَ: وَعَلَى هَذَا فَتُفَسَّرُ الْمُذَاكَرَةُ بِسُؤَالِ الطَّلَاقِ أَوْ تَقْدِيمِ الْإِيقَاعِ كَمَا فِي اعْتَدِّي ثَلَاثًا وَقَالَ قَبْلَهُ الْمُذَاكَرَةُ أَنْ تَسْأَلَهُ هِيَ أَوْ أَجْنَبِيٌّ الطَّلَاقَ".
( كتاب الطلاق، بَابُ الْكِنَايَاتِ، ٣ / ٢٩٧)

মুযাকারায়ে তালাকের অর্থ হল, স্ত্রীর পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন করা ,অথবা তৃতীয় কোনো ব্যক্তির পক্ষ থেকে স্বামীর নিকট তালাকের আবেদন এবং তামান্না করা। এই উভয় প্রকারকে 'মুতালাবায়ে তালাক' নামে অভিহিত করা হয়।তাছাড়া স্বামী যদি ইতিপূর্বে স্ত্রীকে এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকে,তাহলে এদ্বারাও মুযাকারায়ে তালাক প্রমাণিত হবে।এই তৃতীয় প্রকারকে  তাকদীমূল ঈ'কা বলা হয়ে থাকে।(রদ্দুল মুহতার-৩/২৯৭) 

আরো জানুনঃ- 

কাযাআন (দুনিয়ার বৈচারিক নিমিত্তে), দিয়ানাতান (আল্লাহর কাছে)।
দিয়ানাতান এটি বান্দা আর রবের মাঝের মুআমেলা,যার মূল ভিত্তি নিয়তের উপর। এর হাকিকত কিয়ামতের দিন প্রকাশ পাবে।

উদাহরণ, 
কোনো ব্যাক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দেয়নি।
তারপরেও বন্ধুদের সামনে মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিলো যে আমি আমার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছি।

এক্ষেত্রে কাজায়ান তালাক হবে।
তবে দিয়ানাতান তালাক হবেনা।

আরো জানুনঃ- 

আরো জানার জন্য নিকটস্থ কোনো দারুল ইফতায় স্বশরীরে যাওয়ার পরামর্শ রইলো। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
reshown by
ঝগড়াঝাটির সময় এক ব্যাক্তিকে তার স্ত্রী বলল আপনি এমনেও এ এ রকম( অর্থাৎ তার সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করছে) তখন সে তার স্ত্রীকে জিগাস করে এটা কি তোমার ভাইয়া তোমাকে বলছে? স্ত্রী মিথ্যা বলে না। তখন স্বামীর রাগ অনেক বেড়ে যায় আর রাগে বলে ফেলে এটা যদি তোমার ভাইয়া বলে -  "তোমার সাথে সম্পর্ক শেষ "।
কথাটা বলার সাতে স্বামী আফসোস করতে থাকে কেনো এটা বলতে গেলো।

প্রশ্ন হচ্ছে এ অবস্থায় এ বাক্যে তালাকে কিনায়া মানে নিয়তের উপর নির্ভরশীল থাকবে নাকি স্পষ্ট বাক্য হিসাবে ধরা হবে?

কথাটা তার ভাইয়া বলেছলো।

বি.দ্রঃ স্বামীকে নিয়তের ব্যাপারে জিগাস করা হলে বলে তার নিয়ত ছিলো কিনা শিওর না তবে তার মনে হচ্ছে কথাটা বলার সময় মনে ছিলো তার(স্ত্রী) সাথে যে আন্তরিকতাময় ভালোবাসার সম্পর্ক আছে ঐটা শেষ এবং ভয় লাগানোর জন্য বলছি।


আরেকটা ঘটনা আমি মূলনীতি থেকে বের করতে পারছিনা সাহায্য করুন প্লিজ!

স্বামী স্ত্রীর মাজে ঝগড়াঝাটি বা কথা-কাটাকাটি হচ্ছে এমন সময় স্বামী ভয় পাচ্ছে আবার যদি মুখ ফসকে কোনো কিনায়া বাক্য বলে ফেলে কারণ পূর্বে একবার এরকম বলে অনেক চিন্তায় চিলো। তখন স্বামী স্ত্রীকে সাবধান করে বলে যদি আবার আবোল তাবোল কিছু বলে ফেলি।  তারপর স্বামী এক পর্যায়ে বলে ফেলে "তোমার সাথে সংসার করতে পারবো না আমি বাড়িতে এস কয়েকজন মিলে বসে একটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবোই" একথা বলে সাথে সাথে বলে আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ আমি অন্য কিছু বুজায়নি মানি তালাকের নিয়ত নিয়ে বলিনি।

এ দুই ঘটনা সম্পর্কে ফতোয়া দিবেন প্লিজ।
হুজুর আশা করি উত্তর দিবেন।
ধন্যবাদ। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...