আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আমি দুঃখিত প্রশ্ন করার জন্য।
ঝগড়াঝাটির সময় এক ব্যাক্তিকে তার স্ত্রী বলল আপনি এমনেও এ এ রকম( অর্থাৎ তার সম্পর্কে কিছু মন্তব্য করছে) তখন সে তার স্ত্রীকে জিগাস করে এটা কি তোমার ভাইয়া তোমাকে বলছে? স্ত্রী মিথ্যা বলে না। তখন স্বামীর রাগ অনেক বেড়ে যায় আর রাগে বলে ফেলে এটা যদি তোমার ভাইয়া বলে -  "তোমার সাথে সম্পর্ক শেষ "।

কথাটা বলার সাতে স্বামী আফসোস করতে থাকে কেনো এটা বলতে গেলো।


প্রশ্ন হচ্ছে এ অবস্থায় এ বাক্যে তালাকে কিনায়া মানে নিয়তের উপর নির্ভরশীল থাকবে নাকি স্পষ্ট বাক্য হিসাবে ধরা হবে?


কথাটা তার ভাইয়া বলেছলো।


বি.দ্রঃ স্বামীকে নিয়তের ব্যাপারে জিগাস করা হলে বলে তার নিয়ত ছিলো কিনা শিওর না তবে তার মনে হচ্ছে কথাটা বলার সময় মনে ছিলো তার(স্ত্রী) সাথে যে আন্তরিকতাময় ভালোবাসার সম্পর্ক আছে ঐটা শেষ এবং ভয় লাগানোর জন্য বলছি।


আরেকটা ঘটনা আমি মূলনীতি থেকে বের করতে পারছিনা সাহায্য করুন প্লিজ!


স্বামী স্ত্রীর মাজে ঝগড়াঝাটি বা কথা-কাটাকাটি হচ্ছে এমন সময় স্বামী ভয় পাচ্ছে আবার যদি মুখ ফসকে কোনো কিনায়া বাক্য বলে ফেলে কারণ পূর্বে একবার এরকম বলে অনেক চিন্তায় চিলো। তখন স্বামী স্ত্রীকে সাবধান করে বলে যদি আবার আবোল তাবোল কিছু বলে ফেলি।  তারপর স্বামী এক পর্যায়ে বলে ফেলে "তোমার সাথে সংসার করতে পারবো না আমি বাড়িতে এস কয়েকজন মিলে বসে একটা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিবোই" একথা বলে সাথে সাথে বলে আসতাগফিরুল্লাহ আসতাগফিরুল্লাহ আমি অন্য কিছু বুজায়নি মানি তালাকের নিয়ত নিয়ে বলিনি।


এটা কি মুযাকারায়ে তালাক হবে? স্বামী এখানে তোমাকে তালাক দিয়ে দিবো বলেনি বরং যেহুত কয়েকদিন আগেও কেনায়া বলায় চিন্তিত ছিলো তাই ভয় দেখানোর জন্য বলল আমি আবোল তাবোল কিছু বলে েফেললে। আবার সমস্যা হবে।
এ দুই ঘটনা সম্পর্কে ফতোয়া দিবেন প্লিজ।

হুজুর আশা করি উত্তর দিবেন।

ধন্যবাদ।
by (4 points)
মজলিসে অবস্থায় যদি ভবিষ্যত সূচক বক্য বলে তাহলেও কি তালাক হবে? 
তোমার সাথে সংসার করতে পারবো না। এটা কি ভবিষ্যত ইঙ্গিত করেনা?

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
بسم الله الرحمن الرحيم 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত প্রশ্নটির উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি বিস্তারিত জানতে স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরো বাড়িয়ে দিক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...