আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
126 views
in পবিত্রতা (Purity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ।

আমি সচরাচর অযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করি আলহামদুলিল্লাহ। অযু ভেংগে গেলে সাথে সাথেই অযু করার ব্যাপারে সচেষ্ট থাকি। আমার প্রশ্ন হলো-

যদি আমার অযু থাকে এবং এই ব্যাপারে আমি শিওর থাকি, তাহলে কি নামায পড়ার আগে অযু করাটা বাধ্যতামূলক?  বা নামাযের আগে অযু করা কি মুস্তাহাব হবে? নাকি অপচয় হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,500 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا قُمْتُمْ إِلَى الصَّلَاةِ فَاغْسِلُوا وُجُوهَكُمْ وَأَيْدِيَكُمْ إِلَى الْمَرَافِقِ وَامْسَحُوا بِرُءُوسِكُمْ وَأَرْجُلَكُمْ إِلَى الْكَعْبَيْنِ

হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। সূরা মায়েদা, আয়াত নং-৬

 

অযুর ফরজ চারটি। যথা:

১. সমস্ত মুখমন্ডল ধৌত করা।

২. দুই হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা।

৩. পদযুগলের গিটসহ ধৌত করা।

৪. মাথার চার ভাগের এক ভাগ মাসেহ করা।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَمْرِو بْنِ عَامِرٍ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ عِنْدَ كُلِّ صَلاَةٍ . قُلْتُ فَأَنْتُمْ مَا كُنْتُمْ تَصْنَعُونَ قَالَ كُنَّا نُصَلِّي الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ نُحْدِثْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .

আমর ইবনু ‘আমির আনসারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত: তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি: নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রত্যেক নামাযের ওয়াক্তে নতুন করে ওযূ করতেন। আমি আনাসকে প্রশ্ন করলাম, আপনারা কি করেন? তিনি বলেন, আমাদের ওযূ নষ্ট না হলে একই ওযূতে আমরা সব ওয়াক্তের নামায আদায় করে করে নেই সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং- ৬০

হাদিসের মান : সহিহ হাদিস

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

অযু থাকার পরেও প্রত্যেক নামাজের জন্য আবার নতুন করে অযু করা ফরজ বা বাধ্যতামূলক নয়। বরং মুস্তাহাব ও অনেক সওয়াবের কাজ। তবে আপনি চাইলে এক অযু দিয়ে একাধিক নামাজও পড়তে পারেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by
আসসালামু আলাইকুম উস্তায। আমি আসলে জানতে চাচ্ছিলাম কোনটা অধিকতর উত্তম? আমার অযু করার পরিপূর্ণ ব্যবস্থা থাকলে, অযু থাকার পরেও আবার অযু করাই কি মুস্তাহাব?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 192 views
0 votes
1 answer 227 views
...