আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
229 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম, আপনাদের দাবি অনুযায়ীঃ বিয়ে বৈধ হবার জন্য সহবাস বাধ্যতামূলক না কিন্তু হিলা বিয়ে বৈধ হবার জন্য সহবাস বাধ্যতামুলক। বিষয় দুটো পরস্পরবিরোধী হয়ে যাচ্ছে না?

///////////////

//////////////

//////////
by (3 points)
হিলা বিয়ে কখনোই বৈধ নয়। আর কখনো বলাও হয়নি যে এটা বৈধ।

আর বিয়ের অন্যতম প্রধান শর্ত হলো সহবাসে সক্ষম হওয়া। সহবাসে অক্ষম ব্যক্তির জন্য অনেক ক্ষেত্রে বিয়ে জায়েজই নয়। আর বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য বর-কনের মৌখিক সাক্ষ্য, আর মোহরানার প্রয়োজন। কিন্তু হিল্লা বিয়ে ইসলামে জায়েজই নয়। 
by (3 points)
পরিচ্ছেদঃ ১২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - তিন তালাকপ্রাপ্তা রমণীর বর্ণনা

৩২৯৬-[২] ’আব্দুল্লাহ ইবনু মাস্’ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হীলাকারী (২য় স্বামী) এবং যার জন্য হীলা করা হয় (তথা প্রথম স্বামীর), উভয়ের প্রতি অভিসম্পাত করেছেন। (দারিমী)[1]

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: لَعَنَ رسولُ الله المحلّلَ والمُحلَّلَ لَهُ. رَوَاهُ الدَّارمِيّ

عن عبد الله بن مسعود قال: لعن رسول الله المحلل والمحلل له. رواه الدارمي
[1] সহীহ : দারিমী ২২৬৩।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সহবাস কেনো বাধ্যতামূলক হবে? 
সাক্ষীদের উপস্থিতি বর কণের ইজাব কবুলের মাধ্যমে বিবাহ হওয়ার পর আগে তো বিবাহের বৈধতা আসবে। 
বিবাহের বৈধতা আসার পর সহবাস করা না করার বিষয়টি আসবে।

সুতরাং বিবাহের বৈধতা আগে,আর সহবাসের বিষয় পরে।
তাই বিবাহ আগে বৈধ হতেই হবে। 

(০২)
হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে তালাকের চুক্তি করা হলে সেই বিবাহ নাজায়েজ হয়।
রাসুল সাঃ এর লা'নত হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে সেই বিবাহে তালাক হলে উক্ত নারী ১ম স্বামীর কাছে ফিরিয়ে যেতে পারে।
এটি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত বিষয়। 

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ- 

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

বিস্তারিত জানুনঃ- 

হিল্লাহ বিবাহ জায়েজ হওয়া না হওয়া ডিপেন্ড করে চুক্তি করা না করার উপর।
তালাকের চুক্তি করলে বা এমন কথা উল্লেখ করলে সেই বিবাহ নাজায়েজ হবে।
অন্যথায় জায়েজ হবেনা।

★তবে ২য় স্বামীর সাথে বিবাহের পর সহবাস ছাড়াই তালাক হলে উক্ত মহিলা ১ম স্বামীর সাথে বিবাহ বসতে পারবেনা।
সহবাস হতেই হবে।

এটি স্পষ্ট হাদীস দ্বারা প্রমানিত। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.

আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত ফতোয়া ভালোভাবে বুঝলে আশা করি,  বিষয় দুটো পরস্পরবিরোধী বলে মনে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...