জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বিবাহ বৈধ হওয়ার জন্য সহবাস কেনো বাধ্যতামূলক হবে?
সাক্ষীদের উপস্থিতি বর কণের ইজাব কবুলের মাধ্যমে বিবাহ হওয়ার পর আগে তো বিবাহের বৈধতা আসবে।
বিবাহের বৈধতা আসার পর সহবাস করা না করার বিষয়টি আসবে।
সুতরাং বিবাহের বৈধতা আগে,আর সহবাসের বিষয় পরে।
তাই বিবাহ আগে বৈধ হতেই হবে।
(০২)
হিল্লা বিয়ের ক্ষেত্রে তালাকের চুক্তি করা হলে সেই বিবাহ নাজায়েজ হয়।
রাসুল সাঃ এর লা'নত হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে সেই বিবাহে তালাক হলে উক্ত নারী ১ম স্বামীর কাছে ফিরিয়ে যেতে পারে।
এটি কুরআন সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত বিষয়।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ-
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠]
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]
বিস্তারিত জানুনঃ-
হিল্লাহ বিবাহ জায়েজ হওয়া না হওয়া ডিপেন্ড করে চুক্তি করা না করার উপর।
তালাকের চুক্তি করলে বা এমন কথা উল্লেখ করলে সেই বিবাহ নাজায়েজ হবে।
অন্যথায় জায়েজ হবেনা।
★তবে ২য় স্বামীর সাথে বিবাহের পর সহবাস ছাড়াই তালাক হলে উক্ত মহিলা ১ম স্বামীর সাথে বিবাহ বসতে পারবেনা।
সহবাস হতেই হবে।
এটি স্পষ্ট হাদীস দ্বারা প্রমানিত।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ رَجُلاً طَلَّقَ امْرَأَتَه“ ثَلاَثًا فَتَزَوَّجَتْ فَطَلَّقَ فَسُئِلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَتَحِلُّ لِلأَوَّلِ قَالَ لاَ حَتّٰى يَذُوقَ عُسَيْلَتَهَا كَمَا ذَاقَ الأَوَّلُ.
আম্মাজান আয়েশা রা. থেকে বরণিত, রাফায়ার স্ত্রী বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমার স্বামী রাফায়া আমাকে এক সাথে তিন তালাক দিয়েছে? এরপর আমি আব্দুর রাহমানের সাথে বিবাহ করেছি। এখন রাফায়ার কাছে যেতে পারবো কিনা? নবীজী বললেন, আবদুর রহমান তোমার সাথে সহবাস করলে এরপর রাফায়ার নিকট যেতে পারবে। (সহীহ বুখারী ৫২৬১)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত ফতোয়া ভালোভাবে বুঝলে আশা করি, বিষয় দুটো পরস্পরবিরোধী বলে মনে হবেনা।