আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
490 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (4 points)
আসসালামুয়ালাইকুম,

কোন স্বামী স্ত্রী মধ্যে ভুলবুঝাবুঝিতে কোন কারণে পর্যাযাক্রমে ৩ তালাক হয়ে যায়,ছেলে নিজেকে হানাফি বলে থাকে যদিও সব আমল হানাফি মাযহাবের মত নয়(আকিদায় সালাফী ছেলে),মেয়ে আহলে হাদিস!

ইতোপূর্বে  প্রশ্ন করেছিলাম,তালাক ও হিল্লাহ বিবাহ ইত্যাদি প্রসঙ্গে!  সেই ছেলে তার তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রী কে পুনরায় পেতে চাই ও মেয়ে ও প্রচন্ড ভাবে চাই,অন্যথায় হতাশা ও কান্না হয় অনেক!

হিল্লাহ বিবাহ হারাম,এক আলেমের কাছে ইউটুবে এটাও শুনেছি যে, কোন মানুষ যদি অন্যের স্ত্রী কে আগের স্বামীর জন্য হালাল করার উদ্দ্যেশে বিবাহ করে আর তার এই উদ্দেশ্য আগের স্বামী ও স্ত্রী কেউ জানেনা, শুধু বিয়ে করে সহবাস শেষে পরে তালাক দিয়ে দেয় হালাল তাদের করার জন্য একে অপরের জন্য!! তবুও এই বিবাহ নাকি হিল্লাহ বিবাহ হবে এবং  পরে আগের স্বামী বিবাহ মাধ্যমে সেই সংসার হালাল হবেনা বরং যেনা ই হবে! এটা ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল(র) এর মত!! আবার শায়েখ আহমাদুল্লাহ সহ অনান্য আলেম কাছে জেনেছি হিল্লাহ বিবাহ হারাম সত্য তবে হিল্লাহ বিবাহ মাধ্যমে পূর্বের স্বামীর জন্য হালাল হয়ে যায়!!

 আমার জানা বিষয় তা হলো,
প্রশ্ন: তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী কে যদি বলা হয় তুমি অন্য কাউ কে বিয়ে করে নাও মুন্সি মোহর বা মসজিদে কোন হজুরের দারা কোন ছেলে কে,পরে তালাক যদি হয় বা নাও তবে আমি তোমাকে বিয়ে করবো!  পরে মেয়ে যদি তার কোন বন্ধু বা পুরুষকে বিবাহ করে অভিভাবক অনুমতি ছাড়াই ২ জন সাক্ষীর উপস্থিতে এবং মেয়ে যাকে বিয়ে করবে তাকে যদি বলে ২ মাসের বা কিছু দিনের জন্য আমায় বিয়ে করো,পরে আমরা আলাদা হয়ে যাবো শুধু মাত্র প্রেমিক কে জ্বালানোর জন্য তোমায় বিয়ে করবো, ইত্যাদি বুঝিয়ে যদি বিয়ে করে অর্থাৎ যাকে বিবাহ করবে তাকে আগের বিয়ে ও তালাক বিষয়ে জানাবেনা,বরং অবৈধ ভাবে না মেলামেশা করে হালাল ভাবে মেশার জন্য কিছু দিনের জন্য বিয়ে করে সাক্ষির উপস্থিতে পরবর্তীতে যদি তাদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় বা মেয়ে তালাক নিয়ে নেয় তবে কি আগের স্বামী তাকে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে যা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল হবে দাম্পত্য জীবন!?

প্রশ্ন: উক্ত বিবাহ কি হিল্লাহ বিবাহ হিসেবে গণ্য হবে? যাকে বিয়ে করবে সে জানবেনা যে অন্যের জন্য হালাল করতে বিবাহ করছি বরং কিছুদিন জন্য শারীরিক সঙ্গম জন্য বিবাহ করা হালাল উপায়ে!!

উপরিক্ত বর্ণণা অনুযায়ী কি আগের স্বামী পরবর্তীতে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে? যা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী হালাল হবে!

যাদের মধ্যে তালাক হয়েছিল, তারা অভিভাবক অনুমতি ছাড়াই বিবাহ করেছিল কিন্তু পরে তালাক বিষয় অজ্ঞতা জন্য ৩ তালাক হয়ে যায়! তবে তাদের মনে মধ্যে বিবাহ পূর্বে এবং এখনো মনে করে অভিভাবক অনুমতি ব্যতিত বিবাহ হয়না!বিবাহ বাতিল হয়!হাদিস অনুযায়ী!

দুটি মত রয়েছে,হানাফী মাযহাব অনুযায়ী বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায় তবে এই মতটি তুলনামূলক দূর্বল মত মনে হলেও বাংলাদেশের অধিকাংশ আলেম মতে বক্তব্য শুনে মনে হয় বিবাহ শুদ্ধ হয়ে যায়,তবে অভিভাবক ছাড়া বিবাহ করা অনুচিত! গুনাহ ও হয় পিতামাতা কে না জানানোর ফলে!

তাই আগের বিবাহ বাতিল ধরে পুনরায় আমল করার সাহস ও পাচ্ছিনা কেননা  অভিভাবক ছাড়া বিবাহ বাতিল হয় মতটিকে শক্তিশালী মনে হলেও মনের মধ্যে সন্দেহ ও সংশয় কাজ করে যে যদি বিবাহ আগের টা শুদ্ধ ই হয়ে তাকে তবে পরের বিয়ে তো শুদ্ধ হবেনা, আমৃত্যু যেনা হবে!
তাই স্ত্রী কে অন্য কোথাও বিবাহ দিলে পরবর্তী সন্দেহ সংশয় ছাড়াই হালাল ভাবে দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করা যাবে!!

দয়া করে আমার প্রশ্নের উত্তর দিন, এবং আমায় পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করুন!

আসসালামুয়ালাইকুম!!

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


ইসলামে স্বল্প সময়ের জন্য বিবাহ তথা মুত'আহ বিবাহ হারাম। 

হযরত আলী ইবনে আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত

عن علي رضي الله عنه : " أن رسول الله صلى الله وسلم نهى عن نكاح المتعة وعن لحوم الحمر الأهلية زمن خيبر ." وفي رواية : " نهى عن متعة النساء يوم خيبر وعن لحوم الحمر الإنسية ."

রাসূলুল্লাহ সাঃ খাইবার যুদ্ধের দিন মহিলাদের সাথে মুত‘আহ করা থেকে এবং গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ বোখারী-৪২১৬,সহীহ মুসলিম-১৪০৭)

সাবরাহ আল জুহানী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের স্ত্রীলোকদের সাথে মুতা বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু অচিরেই আল্লাহ তায়ালা তা হারাম করেছেন কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত। অতএব যার নিকট এ ধরনের বিয়ের সূত্রে কোন স্ত্রীলোক আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা কেড়ে নিও না । (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩১৩)

নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা (বিবাহ) করতে নিষেধ করেছেন । (সহিহ মুসলিম,হাদিস নং ৩৩১৭)

 রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা বিয়ে নিষিদ্ধ করেছেন ও বলেছেন, সাবধান! আজকের এ দিন থেকে কিয়ামাত পর্যন্ত মুতা বিয়ে হারাম। যে কেউ (ইতোপূর্বে) মুতা বাবদ যা কিছু দিয়েছে, সে যেন তা ফেরত না দেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩২১)

আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি শুনতে পেলেন যে, ইবনু আব্বাস রা. নারীদের সাথে মুতার ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। আলী রা. বললেন, থামো, হে ইবনু আব্বাস! কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধের দিন মুতা  ও গৃহপালিত গাধার গোশ্ত নিষিদ্ধ করেছেন । (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩২৫)
,
বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন, 
মুত'আহ বিবাহ হারাম।
তবে যদি কেহ বিয়ের সময়ে 'সময় এবং উপভোগ' কে উল্লেখ না করে বিবাহ করে,তাহলে তার এই বিবাহ হয়ে যাবে।
কেননা তাদের বিবাহ মূলত মূতা বা মু'আক্কাত হয়নি।

বিস্তারিত  জানুনঃ

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে নির্দিষ্ট ভাবে ২ মাসের বিবাহের কথা জানিয়ে বিবাহ করা হারাম।  এক্ষেত্রে এটি নিকাহে মুআক্কাত হবে।
যাহা শরীয়তে হারাম।

হ্যাঁ যদি বলে যে কিছু দিনের জন্য বিবাহ,কোনো মাস/সপ্তাহ/দিন উল্লেখ না করে,সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি হারাম না হলেও নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে। 

হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে  বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে। 

তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
আসসালামুয়ালাইকুম, বুঝলাম! তৃতীয় কেউ বলতে আগের স্বামী তাইনা? আগের স্বামী যদি তার তালাক প্রাপ্তা স্ত্রী কে জানাই বিয়ের পর তালাক চেয়ে নিবে বা বিয়ের সময় কাগজে শর্ত থাকবে সে অনুযায়ী ও তালাক নিতে পারবে যেমন: কাবিনের ১৮ং কলাম লেখা থাকে,সেই নং টা লিখে যাকে বিয়ে করবে তার সিগনেচার নিলে কি পরবর্তী স্ত্রী তালাক নিতে পারবে? আর যাকে বিয়ে করলো তাকে বললোনা নিদিষ্ট করে যে ২মাস কিংবা  ওমুক দিনে তালাক হবে,ইত্যদি যদি না জানিয়ে আপনার উত্তর অনুযায়ী কিছু দিনের শর্তে বিয়ে করে আর সেটা নিদিষ্ট নয় তবে কি উক্ত বিয়ে জায়েজ হবে? হিল্লাহ হবে কি? উক্ত ভাবে কি তালাক হবে যদি স্বামী দেয় কিংনা স্ত্রী ১৮ং অনুযায়ী নেয়!
দ্রুত কমেন্টের উত্তর দিতে খুব উপকৃত হতাম সম্মানিত মুফতি! ❤️
by (574,260 points)
উক্ত বিবাহ জায়েজ হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...