হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَن زيد بن حَارِثَة عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ جِبْرِيلَ أَتَاهُ فِي أَوَّلِ مَا أُوحِيَ إِلَيْهِ فَعَلَّمَهُ الْوُضُوءَ وَالصَّلَاةَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الْوُضُوءِ أَخَذَ غُرْفَةً مِنَ الْمَاءِ فَنَضَحَ بِهَا فَرْجَهُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالدَّارَقُطْنِيّ
যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে জিবরীল আমীনের মাধ্যমে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ওয়াহী নাযিল করা হচ্ছিল, তখনই তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উযূ করা ও সালাত আদায়ের শিক্ষা দিলেন। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন উযূ করা শেষ করে এককোষ পানি (হাতে উঠিয়ে) নিলেন এবং তখন নিজের পুরুষাঙ্গের উপর ছিটিয়ে দিলেন।
(আহমাদ ১৭৪৮০, দারাকুত্বনী ৩৯০, সহীহাহ্ ৭৪১,মিশকাত ৩৬৬।)
عَن الحكم بن سُفْيَان قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا بَالَ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ
হাকাম ইবনু সুফ্ইয়ান (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করার পর অযু করতেন এবং নিজের লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিতেন।
(আবূ দাঊদ ১৬৮, নাসায়ী ১৩৫, দারিমী ৭৩৮.মিশকাত ৩৬১)
ব্যাখ্যা: (إِِذَا بَالَ تَوَضَّأَ) ‘‘প্রস্রাব করার পর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন।’’ হয়ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্য উযূ করতেন অথবা পবিত্র অবস্থায় থাকার উদ্দেশে উযূ করতেন।
(وَنَضَحَ فَرْجَهٗ) ‘‘এবং স্বীয় লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিতেন।’’ অর্থাৎ- পরিধেয় বস্ত্রের লজ্জাস্থানের উপর পানি ছিটিয়ে দিতেন।’’ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিধেয় বস্ত্রের লজ্জাস্থানের নিকটবর্তী অংশে হালকা পানির ছিটা দিতেন। যাতে শায়ত্বনের (শয়তানের) এ ওয়াস্ওয়াসা দূর হয়ে যায় যে, কাপড়ে কি প্রস্রাবের ছিটা লেগে গেল কি-না, আর এ দ্বারা উম্মাতকে শিক্ষা দেয়াও উদ্দেশ্য।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা উম্মাতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য করেছেন যাতে এর মাধ্যমে তা সন্দেহ দূরীভূত হয়। তাই অযু করার পর পরিধেয় পোশাকে লজ্জাস্থান বরাবর পানির ছিটা দিতে হবে সন্দেহ দূর করার জন্যে।
অযু শেষে লজ্জাস্থানের উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া উচিত যাতে শায়ত্বনের (শয়তানের) ওয়াস্ওয়াসা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।