আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in পবিত্রতা (Purity) by (12 points)

আসসালামু আলাইকুম। 

এই হাদিস টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছিলাম:

রাসূল (ﷺ) বলেন, প্রথমে আমার নিকট যখন অহী নাযিল করা হয় তখন জিব্রীল (আঃ) আমার নিকট এসে আমাকে ছালাত ও ওযূ শিক্ষা দিলেন। ওযূ শেষ করলে তিনি হাতে পানি নিয়ে তার লজ্জাস্থান বরাবর ছিটিয়ে দিলেন (আহমাদ হা/১৭৫১৫; মিশকাত হা/৩৬৬; ছহীহাহ হা/৮৪১)

আল-হাকাম ইবনু সুফ্ইয়ান আস-সাকাফী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেন। তিনি উযূ শেষে এক আজলা পানি নিয়ে তা তাঁর লজ্জাস্থানে ছিটিয়ে দেন।
তাখরীজ কুতুবুত সিত্তাহ: আবূ দাঊদ ১৬৬

তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ৩৬১, সহীহ আবূ দাউদ ১৫০।

 হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَن زيد بن حَارِثَة عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَّ جِبْرِيلَ أَتَاهُ فِي أَوَّلِ مَا أُوحِيَ إِلَيْهِ فَعَلَّمَهُ الْوُضُوءَ وَالصَّلَاةَ فَلَمَّا فَرَغَ مِنَ الْوُضُوءِ أَخَذَ غُرْفَةً مِنَ الْمَاءِ فَنَضَحَ بِهَا فَرْجَهُ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالدَّارَقُطْنِيّ

যায়দ ইবনু হারিসাহ্ (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ে জিবরীল আমীনের মাধ্যমে যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট ওয়াহী নাযিল করা হচ্ছিল, তখনই তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে উযূ করা ও সালাত আদায়ের শিক্ষা দিলেন। আর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) যখন উযূ  করা শেষ করে এককোষ পানি (হাতে উঠিয়ে) নিলেন এবং তখন নিজের পুরুষাঙ্গের উপর ছিটিয়ে দিলেন।
(আহমাদ ১৭৪৮০, দারাকুত্বনী ৩৯০, সহীহাহ্ ৭৪১,মিশকাত ৩৬৬।)

عَن الحكم بن سُفْيَان قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا بَالَ تَوَضَّأَ وَنَضَحَ فَرْجَهُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَالنَّسَائِيّ

হাকাম ইবনু সুফ্ইয়ান (রাঃ)হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রস্রাব করার পর অযু করতেন এবং নিজের লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিতেন।
(আবূ দাঊদ ১৬৮, নাসায়ী ১৩৫, দারিমী ৭৩৮.মিশকাত ৩৬১)

ব্যাখ্যা: (إِِذَا بَالَ تَوَضَّأَ) ‘‘প্রস্রাব করার পর উযূ (ওযু/ওজু/অজু) করতেন।’’ হয়ত সালাত (সালাত/নামায/নামাজ) আদায় করার জন্য উযূ করতেন অথবা পবিত্র অবস্থায় থাকার উদ্দেশে উযূ করতেন।

(وَنَضَحَ فَرْجَهٗ) ‘‘এবং স্বীয় লজ্জাস্থানে পানি ছিটিয়ে দিতেন।’’ অর্থাৎ- পরিধেয় বস্ত্রের লজ্জাস্থানের উপর পানি ছিটিয়ে দিতেন।’’ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিধেয় বস্ত্রের লজ্জাস্থানের নিকটবর্তী অংশে হালকা পানির ছিটা দিতেন। যাতে শায়ত্বনের (শয়তানের) এ ওয়াস্ওয়াসা দূর হয়ে যায় যে, কাপড়ে কি প্রস্রাবের ছিটা লেগে গেল কি-না, আর এ দ্বারা উম্মাতকে শিক্ষা দেয়াও উদ্দেশ্য।

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এটা উম্মাতকে শিক্ষা দেয়ার জন্য করেছেন যাতে এর মাধ্যমে তা সন্দেহ দূরীভূত হয়। তাই অযু করার পর পরিধেয় পোশাকে লজ্জাস্থান বরাবর পানির ছিটা দিতে হবে সন্দেহ দূর করার জন্যে।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
অযু শেষে লজ্জাস্থানের উপর পানি ছিটিয়ে দেয়া উচিত যাতে শায়ত্বনের (শয়তানের) ওয়াস্ওয়াসা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ওয়াসওয়াসা থেকে বাঁচার জন্য রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত আদেশ দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
জাযাকাল্লাহু খইরন উস্তায। কারো যদি ওয়াসওয়াসার সমস্যা না থাকে, তাহলেও কি পানি ছিটাতে হবে? আর এটা কি নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য? 
by (565,890 points)
এটা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।

এখানে পানি ছিটানোর আদেশ ওয়াজিব মূলক নয়।
এটি পরামর্শ মূলক মাত্র। 
সুতরাং কাহারো ওয়াসওয়াসা না থাকলে সে যদি পানি না ছিটায়,তাতে কোনো সমস্যা নেই। এটা কোনো আবশ্যকীয় বিধান নয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...