ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَزَالُ قَوْمٌ يَتَأَخَّرُونَ عَنِ الصَّفِّ الأَوَّلِ حَتَّى يُؤَخِّرَهُمُ اللَّهُ فِي النَّارِ "
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ আমার যে সমস্ত উম্মাত প্রথম কাতারে দাঁড়াতে গড়িমসি করে, আল্লাহ্ তা’আলা তাদেরকে দোজখে সবচেয়ে পেছনে রাখবেন।(সুনানু আবি দাউদ-৬৭৯)
মুল্লা আলী কারী রাহ বলেন,
" لا يزال قوم يتأخرون عن الصف الأول) : ونحوه من المسابقة في الخيرات والمسارعة إلى المبرات (حتى يؤخرهم الله) أي: يجعلهم آخر الأمر (في النار) : أو يجعلهم متأخرين في أهل النار {جزاء وفاقا} [النبأ: ٢٦] لأعمالهم وطباقا لأحوالهم، وقال الطيبي، وتبعه ابن حجر، أي حتى يؤخرهم عن الخيرات ويدخلهم النار، (رواه أبو داود)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) এটা পুরুষদের দৈনিক ৫ ওয়াক্ত ফরয নামায এবং জুমুআর নামাজের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এই হাদিসে বর্ণিত লোকদের অন্তর্ভুক্ত হওয়া থেকে বেঁচে থাকতে করণীয় হল, সর্বদা প্রথম কাতারে নামাযে শরীক হওয়ার চেষ্টা করা।
(২) তাকবীরে উলা এবং প্রথম কাতার মিস করে ফেলায় অভ্যস্ত হলে অথবা, প্রথম রাকাতে জামায়াত ধরতে ব্যর্থ হওয়ায় অভ্যস্ত হলে এই হাদিসে বর্ণিত লোকদের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে।