আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
190 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)

আমার বোনের কিছুদিন আগে তালাক হয়েছে। তার প্রশ্নটা শেয়ার করছি, কাইন্ডলি উত্তর টা জানালে উপকৃত হবো ইংশাআল্লাহ।

এই পেপার এ আমরা ২ জন সাইন করেছিলাম। এর আগে আমাদের বাড়ি থেকে ডিভোর্স পেপার উনাদের ওখানে যায়। তারপর তারা এই নাদাবিনামা পেপার এ আমার ও তার সাইন নেয়। কিন্তু তার পর আমার মানসিক অবস্হা খুব খারাপ হতে থাকে,আমি কোনোভাবেই মানতে পারছিলামনা তাই বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করি। এখন আমার একটাই পশ্ন আমার তালাক টা কনফার্ম হয়েছে কি না? আমার পরিবার বলে ফিরে যেতে চাইলে হিল্লা বিয়ে লাগবে,আর আমার যার সাথে বিয়ে হয়েছিল তিনি একজন আইনজীবী, তিনি বলেন তোমার ২য় বিয়ে অবৈধ হবে কেননা তিন মাসের ভেতর আমাদের যোগাযোগ হয়েছে তাই তালাক হয়নি। আমি এখন কি করব?" 
https://drive.google.com/file/d/1tcmQMvy9Hao_YxDgpslROsSyYBzqtCnl/view?usp=sharing

https://drive.google.com/file/d/1bFqQ1ZVyLD77A9-Q-788WCViP63ISbSP/view?usp=sharing

1 Answer

0 votes
by (59,190 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 

জবাব:-

https://ifatwa.info/77041/  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,  তালাক হচ্ছে স্বামীর অধিকার। স্বামী তালাক দিলেই তালাক সংঘটিত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ بُكَيْرٍ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ أَيُّوبَ الْغَافِقِيِّ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللهِ إِنَّ سَيِّدِي زَوَّجَنِي أَمَتَهُ وَهُوَ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنِي وَبَيْنَهَا قَالَ فَصَعِدَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم الْمِنْبَرَ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ مَا بَالُ أَحَدِكُمْ يُزَوِّجُ عَبْدَهُ أَمَتَهُ ثُمَّ يُرِيدُ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَهُمَا إِنَّمَا الطَّلَاقُ لِمَنْ أَخَذَ بِالسَّاقِ

ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! আমার মনিব তার বাঁদীকে আমার সাথে বিবাহ দিয়েছে। এখন সে আমার ও আমার স্ত্রীর মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়। রাবী বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বারে আরোহণ করলেন, অতঃপর বলেনঃ হে লোকসকল! তোমাদের কারো এরূপ আচরণ কেন যে, সে তার গোলামের সাথে তার বাঁদীর বিবাহ দেয়, অতঃপর তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটাতে চায়? নারীর ঊরু স্পর্শ করা যার জন্য বৈধ, তালাকের অধিকার তার।

(সুনানে ইবনে মাজাহ ২০৮১.বায়হাকী ৯/১৫৭, ইরওয়াহ ২০৪১।)


★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী  মহিলা নিজের উপর কেবল তখনি তালাক পতিত করতে পারবে, যদি স্বামী তাকে তালাক দেবার অধিকার দিয়ে থাকে।

এটি নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে হ্যাঁ লেখার মাধ্যমেই হোক,বা পরবর্তীতে মৌখিক বা লিখিত ভাবেই হোক।


আরো জানুনঃ- 

https://ifatwa.info/36539/


★শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি জেনে শুনে নিকাহ নামার ১৮ নং ধারাতে স্ত্রীকে তালাকের ক্ষমতা দেয়, অথবা সেখানে কাজী সাহেব বা অন্য কেহ হ্যাঁ লিখে দেয়,আর স্বামী তাহা জেনে শুনে নিচে স্বাক্ষর দেয়,আর এই নিকাহ নামা বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার পরে যদি লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবে। 


তবে যদি এমনটি না হয়,স্বামী যদি না জেনেই নিচে সাইন করে,সে যদি তালাকের ক্ষমতা প্রদানের এই বিষয় সম্পর্কে স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা,অথবা এই নিকাহ নামা যদি বিবাহের ইজাব কবুল হওয়ার আগে লেখা হয়,তাহলে স্ত্রী তালাকের ক্ষমতা পাবেনা।

 

كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى الطلاق بالكتابة-1/379، المحيط البرهانى، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-4/486، تاتارخانية، كتاب الطلاق، الفصل السادس فى ايقاع الطلاق بالكتاب-3/380)

সারমর্মঃ  প্রত্যেক ঐ লেখা,যেটা নিজ হাত দিয়ে লিখেনি,নিজের মন সেদিকে ঝুকেওনি,তাহলে তালাক পতিত হবেনা। যদি সে এটা স্বীকার না করে যে এটার তারই লেখা।    


সুতরাং  যদি স্বামীর দস্তখত করার সময় জানা থাকে যে, কাজী স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দিয়েছে মর্মে উপরে লিখে দিয়েছে, একথা জানার পরও যদি স্বামী উক্ত কাগজের নিচে সাইন করে, তাহলে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে তালাক দেয়ার অধিকার দেয়া হয়েছে বলে সাব্যস্ত হবে। সেই হিসেবে স্ত্রী যদি পরবর্তীতে নিজের উপর তালাক পতিত করে থাকে, তাহলে তালাক পতিত হয়ে যায়।


আরো জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/16747/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!


 প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে তালাক পতিত হয়েছে এব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। যেহেতু স্বামী নিজেই তালাকপত্রে সাইন করেছে বিধায় এতে তালাক পতিত হবে। তবে দেখার বিষয় কয় তালাক হয়েছে? 

ডিভোর্স লেটারের লেখা " আমি চিরমুক্তি প্রদান করিলাম" বাক্যটি কেনায়া তালাকের বাক্য। উক্ত বাক্য বলা বা লেখার সময় স্বামী যদি তিন তালাকের নিয়ত করে তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে।  ঐ স্ত্রীকে ফিরে নেওয়া জায়েজ হবে না।

তবে আপাতত দৃষ্টিতে যা মনে হচ্ছে এবং বাস্তবতাও যদি তাই হয় অর্থাৎ এক তালাকে বায়েন পতিত হয়ে থাকে। যেহেতু এখানে তালাকের সংখ্যা উল্লেখ নেই এবং স্বামী যদি উক্ত বাক্য দ্বারা এক তালাকেরই  নিয়ত করে থাকে তাহলে এক তালাকে বায়েন পতিত হবে। এমতাবস্থায় তারা পুনরায় সংসার করতে চাইলে নতুন করে মোহরানা ধার্য্য করে বিবাহ করতে হবে।

তবে মনে রাখতে হবে, পরবর্তীতে স্বামী আর দুই তালাকের মালিক থাকবেন।

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...