আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
edited by
১.আসসালমুআলাইকুম হুজুর , আমার স্ত্রী আমাকে একটা ফোটো পাঠিয়েছে আমি লাভ ❤️রিয়েক্ট দিতে যাচ্ছি বা দিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে মনে তালাকের ভাবনা চলে আসে। এই রকম দুই বার হয়েছে। তালাকের নিয়ত নেই। ভয় লাগছে যতটা লাভ রিয়েক্ট দিয়েছি তাই নিয়ে ভাবনা হচ্ছে । এর জন্য তালাক হবে না তো???

২. অনেকদিন আগে মনে মনে শর্ত তালাকের ভাবনা চলে এসেছিল। কিন্তু আমি কখনো মুখে উচ্চরণ করিনি। আমি সিওর উচ্চরণ করিনি। কিন্তু ভয় হয় হয়ত উচ্চরণ করেছি নাকি শয়তানের ধোঁকায় এমন মনে হয়। আসলে আমি উচ্চরণ করিনি , এমনি সন্দেহ হয়। প্রয়োজন এ ifatwa তে মাসায়েল জানতে প্রশ্ন করেছি। হুজুর যে সব ভাবনা মাথায় আসতো সেই গুলো যদি এখন করি তাহলে কি তালাক হবে??

৩. এমনি কোনো ছেলে মেয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে ছেলেটা বললো আমি তোমাকে ছাড়া কাউকে বিয়ে করবনা। অন্য মেয়েকে বৌ  হিসেবে ভাবতেই পারবনা , কল্পনায় করতে পারবনা অন্য মেয়ে   কে  । অন্য মেয়ের সাতে সংসার করতে পারবোনা।, অন্য মেয়েকে স্পর্শ করতে পারবোনা, মন দিতে পারবনা।   ইত্যাদি বিয়ের পূর্বে বলেছে  কিন্তু এখন ওই মেয়ে ও  ছেলে অন্য জায়গাতে  বিয়ে করেছে । তাহলে তাদের বৈবাহিক সম্পর্কের কোনো সমস্যা হবে না??

সম্মানিত মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ দয়া করে আমার প্রশ্নের জবাব দিয়ে সাহায্য করবেন। আল্লাহ আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে উত্তম মর্যাদায় সম্মানিত করুক।

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/48097  নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

তালাকের কথা চিন্তা করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার  জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না। কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।

 

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)

ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুই তালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)

 

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ- 

قال في الدر فلو طلق أو استثنی ولم یسمع نفسہ لم یصح في الأصح (درمختار شامی: ۱/۳۹۵)

সারমর্মঃ কেহ যদি তালাক দেয় বা ইস্তেছনা করে, নিজে নিজে যদি তাহা শুনতে না পারে, তাহলে উক্ত তালাক সহীহ হবেনা।

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!

 

-. না, এতে কোনো তালাক পতিত হবে না ইনশাআল্লাহ তাই পেরেশানীর কোনো কারণ নেই

. না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে বৈবাহিক সম্পর্কে কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ

 

মুহতারাম!

ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়। কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

 

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন। যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।

 

 বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না।  

 

এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।

আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।

আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://iom.edu.bd/course/waswasa/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...