ওয়া আলাইকুমুস
সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির
রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/48097 নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,
তালাকের কথা চিন্তা
করল কিন্তু সে শব্দ করে উচ্চারন করল না, বা তার জিহবা নড়ল না, অর্থাৎ সে মনে মনে
বলল, তাহলে তালাক পতিত হবে না।
কারণ শুধু অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) আল্লাহ মাফ করে দিয়েছেন।
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ـ رضى الله عنه
ـ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَجَاوَزَ لِي
عَنْ أُمَّتِي مَا وَسْوَسَتْ بِهِ صُدُورُهَا، مَا لَمْ تَعْمَلْ أَوْ تَكَلَّمْ ".
আবূ হুরায়রা (রাঃ)
থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু
‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, (আমার বরকতে) আল্লাহ
আমার উম্মতের অন্তরে উদিত ওয়াসওয়াসা (পাপের ভাব ও চেতনা) মাফ করে দিয়েছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত
না সে তা কাজে পরিণত করে অথবা মুখে বলে। (সহীহ বুখারী ২৫২৮)
ক্বাতাদাহ (রহ.) বলেনঃ
মনে মনে তালাক দিলে তাতে কিছুই তালাক হবে না। [বুখারী শরীফ ৫২৬৯.২৫২৮] আধুনিক প্রকাশনী-
৪৮৮৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৭৭৮)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে
আছেঃ-
قال في الدر فلو طلق أو استثنی ولم یسمع
نفسہ لم یصح في الأصح (درمختار شامی: ۱/۳۹۵)
সারমর্মঃ কেহ যদি
তালাক দেয় বা ইস্তেছনা করে, নিজে নিজে যদি তাহা শুনতে না পারে, তাহলে উক্ত তালাক সহীহ হবেনা।
نام فی الثالثة واستیقظ فی الرابعة
فإنہ یأتي بالثالثة بلا قراء ة فإذا فرغ منھا صلی مع الإمام الرابعة، وإن فرغ منھا
الإمام صلاھا وحدہ بلا قراء ة أیضاً (رد المحتار، کتاب الصلاة، آخر باب الإمامة، ۲: ۳۴۵، ط: مکتبة زکریا دیوبند نقلاً عن
البحر)۔
সারমর্মঃ লাহেক ব্যক্তি
সে উক্ত নামাজ কিরাআত ছাড়াই আদায় করবে।
★
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী
দ্বীনী ভাই!
১.
না, প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না ইনশাআল্লাহ।
আরো জানুন- https://ifatwa.info/51825/
২. লাহেকের অজু ছুটে গেলে সে অজু করে এসে প্রথমে
ছুটে যাওয়া নামাযকে বিনা কিরাতে আদায় করে ইমামের সাথে শরীক হবে।
৩. ইমাম সাহেব যেখানে রেখে অযু করতে যাবেন তার স্থলাভিষিক্ত
ব্যক্তি ঠিক সেই জায়গা থেকেই শুরু করে বাকী নামাজ পড়াবেন।
৪. প্রশ্নোক্ত
ক্ষেত্রে আবার রুকু থেকে শুরু করে বাকী নামাজ পড়বেন।
আরো বিস্তারিত
জানুন- https://ifatwa.info/18832/