জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামে স্বল্প সময়ের জন্য বিবাহ তথা মুত'আহ বিবাহ হারাম।
হযরত আলী ইবনে আবূ তালিব (রাঃ) হতে বর্ণিত
عن علي رضي الله عنه : " أن رسول الله صلى الله وسلم نهى عن نكاح المتعة وعن لحوم الحمر الأهلية زمن خيبر ." وفي رواية : " نهى عن متعة النساء يوم خيبر وعن لحوم الحمر الإنسية ."
রাসূলুল্লাহ সাঃ খাইবার যুদ্ধের দিন মহিলাদের সাথে মুত‘আহ করা থেকে এবং গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন।(সহীহ বোখারী-৪২১৬,সহীহ মুসলিম-১৪০৭)
সাবরাহ আল জুহানী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। তিনি বললেন, হে লোক সকল! আমি তোমাদের স্ত্রীলোকদের সাথে মুতা বিয়ের অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু অচিরেই আল্লাহ তায়ালা তা হারাম করেছেন কিয়ামাতের দিন পর্যন্ত। অতএব যার নিকট এ ধরনের বিয়ের সূত্রে কোন স্ত্রীলোক আছে, সে যেন তার পথ ছেড়ে দেয়। আর তোমরা তাদের যা কিছু দিয়েছ তা কেড়ে নিও না । (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩১৩)
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা (বিবাহ) করতে নিষেধ করেছেন । (সহিহ মুসলিম,হাদিস নং ৩৩১৭)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুতা বিয়ে নিষিদ্ধ করেছেন ও বলেছেন, সাবধান! আজকের এ দিন থেকে কিয়ামাত পর্যন্ত মুতা বিয়ে হারাম। যে কেউ (ইতোপূর্বে) মুতা বাবদ যা কিছু দিয়েছে, সে যেন তা ফেরত না দেন। (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩২১)
আলী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি শুনতে পেলেন যে, ইবনু আব্বাস রা. নারীদের সাথে মুতার ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা প্রদর্শন করেছেন। আলী রা. বললেন, থামো, হে ইবনু আব্বাস! কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বারের যুদ্ধের দিন মুতা ও গৃহপালিত গাধার গোশ্ত নিষিদ্ধ করেছেন । (সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৩২৫)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মুত'আহ বিবাহ হারাম।
তবে যদি কেহ বিয়ের সময়ে 'সময় এবং উপভোগ' কে উল্লেখ না করে বিবাহ করে,তাহলে তার এই বিবাহ হয়ে যাবে।
কেননা তাদের বিবাহ মূলত মূতা বা মু'আক্কাত হয়নি।
বিস্তারিত জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে এভাবে নির্দিষ্ট ভাবে ২ মাসের বিবাহের কথা জানিয়ে বিবাহ করা হারাম। এক্ষেত্রে এটি নিকাহে মুআক্কাত হবে।
যাহা শরীয়তে হারাম।
হ্যাঁ যদি বলে যে কিছু দিনের জন্য বিবাহ,কোনো মাস/সপ্তাহ/দিন উল্লেখ না করে,সেক্ষেত্রে এই পদ্ধতি হারাম না হলেও নাজায়েয হিসেবে বিবেচিত হবে।
হ্যা, যদি এমন বিয়ে হওয়ার পর দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়ে যায়, তাহলে প্রথম স্বামীর সাথে পূনরায় বিয়ে বৈধ হয়ে যাবে, কেননা এখানে কুরআনে বর্ণিত শর্ত পাওয়া গিয়েছে।
তবে যদি স্বামী স্ত্রী কারো মুখ থেকে বা তৃতীয় কারো মুখ থেকে বিয়ের পর তালাক হবে, এ জাতীয় কোনো শর্ত উল্লেখিত না হয়, বরং স্বামী বা স্ত্রীর কারো মনের মধ্যে এমনটা থাকে, এবং বিয়ের পরবর্তী সহবাসের পর স্বামী বা স্ত্রীর কেউ তালাক দেয় বা চায়, তাহলে তখন তালাক পরবর্তী প্রথম স্বামীর সাথে বিবাহ জায়েয হবে ।এবং উক্ত ত্বরিকাটাও নাজায়েয বা মাকরুহ হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ-