আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হজ ও উমরা (Hajj and Umrah) by (16 points)
edited by
আসসালা-মু ‘আলাইকুম শায়খ


আমার আব্বু একজন সেনাবাহিনী। তো, সরকার এর পক্ষ হতে সরকারী খরচে,সরকারী ব্যাবস্থাপনায় তাঁর হজ্ব এ নাম এসেছে। কিন্তু তার অনেক ঋণ আছে।সুদের উপর ও ঋণ আছে।এখনো ফাইনাল সিলেকশন(হয়ত মেডিকেল ইত্যাদি দ্বারা হয়) হয়নাই।


১=এ অবস্থায় তিনি কি হজ্ব এ যেতে পারবেন?


২= হজ্ব এ গিয়ে করলেও কি তা ক্ববুল হবে?


৩=যদি যেতে না পারেন তাইলে করলে তিনি যেতে পারবেব?

৪=এছাড়া এখন করণীয় কি?

৪=আর সুদ এর ঋণ থেকে বের হওয়ার উপায় কি?


৫=আর এই সুদ সহ বাকি তাঁর পাপ থেকে যদি তিনি ফিরে না আসেন তাইলে কি হবে?


৬=জাহান্নাম কেমন?


৭=এর উত্তর কই? https://ifatwa.info/85736/

1 Answer

0 votes
by (681,120 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ   
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
 (তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ   
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)

হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,

মহিলাদের উপর হজ্বঃ

দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে এবং সফর সঙ্গি হিসেবে স্বামী বা মাহরাম কেউ থাকলে ঐ মহিলার উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।

স্বামী উভয়ের খরচ বহনে সক্ষম হ’লেই স্ত্রীর উপর হজ্জ ফরয হয় না।

বরং স্ত্রীর যদি নিজ মালিকানায় হজ ফরজ হওয়ার মতো সম্পদ থাকে,তাহলে তার উপর হজ ফরজ হবে

আরো জানুনঃ 

https://ifatwa.info/21183/

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবার অনেক ঋণ আছে।সুদের উপর ও ঋণ আছে। 
সুতরাং তার ঋনের টাকা বাদ দিয়ে এবং দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা আপনার বাবার কাছে থাকলে আপনার বাবার উপর হজ্ব করা ফরজ হবে।
আর যদি আগেই ফরজ হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে তো ফরজ আছেই।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এ অবস্থায় তিনি হজ্ব এ যেতে পারবেন।

(২.৩)
হালাল টাকায় হজ্ব করলে,এবং হজ্ব এর যাবতীয় নিয়ম নীতি মেনে হজ্ব করলে আল্লাহ তায়ালা তাহা কবুল করবেন।

আপনার বাবার টাকা যেহেতু হালাল,সুতরাং  চিন্তিত না হওয়ার পরামর্শ থাকবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 

(০৪)
এক্ষেত্রে ঋণ দাতাকে সুদের ভয়াবহতা সম্পর্কে বুঝিয়ে সুদ মওকুফ করে নিতে পারেন।
অন্যথায় সুদ দিতেই হবে,এক্ষেত্রে আল্লাহ তায়ালার কাছে তওবা করতে হবে।

(০৫)
তিনি তো সুদ খাচ্ছেননা,তিনি সুদ দিচ্ছেন।
সুতরাং এক্ষেত্রে সুদ প্রদানের গুনাহ হবে,সুদ ভক্ষনের গুনাহ হবেনা।  সুদের কাজে সহযোগিতা করার গুনাহ হবে।
তাই এক্ষেত্রে এহেন কাজ হতে ফিরে এসে আল্লাহর কাছে খালেস দিলে তওবা করতে হবে।
এবং ভবিষ্যতে আর সুদী কাজে জড়িত হবেনা,মর্মে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে ওয়াদা বদ্ধ হতে হবে। 

(০৬)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 59 views
...