আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
160 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
edited by
আমার ঘনঘন প্রস্রাব হয়৷ ডাক্তার দেখিয়েছি দুইবার।  পরীক্ষা করিয়েছি, কোনো সমস্যাই ধরা পড়ছেনা। সোনোগ্রাফি করিয়েছি।  কোনো অসুবিধা নাই।  আলহামদুলিল্লাহ।  কিন্তুু পানি একটু খেলেই প্রস্রাব হয়৷ কখনো এক ঘন্টা পরে পরেও হয়। আর দুই লিটার পানি যদি খাই তো কথাই নাই। আসল কতা হচ্ছে আমি কী বদ নজর বা জাদুগ্রস্ত। কারন ঘুমমের মধ্যে বোবা জিন আমাকে ধরে তারপরে অনেক জোরে আমার মাথা পুরো শরীর এত জোরে কাপ দেয় যা অসহ্যনীয়। আমি কুরআন সুন্নাহ বর্নিত দোয়াগুলিও পড়ি৷ আমার কী করনীয় হুজুর।?
ডাক্তারদের মতে বেশী পানি খাওয়া ভালো। কিন্তুু আমার বেশী মুত আসে। কোরআন সুন্নায় কী বেশী পানি পান করার কথা আছে। কারন দেখা যায় সাহাবারা বা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক কম খাদ্য গ্রহন করতেন।৷ কখনো তো খাদ্যের অভাবে পেটে পাথরও বেধেছেন। সেইমতে আমি যতটুকু বুঝলাম তারা খাদ্য ও পানীয় পরিমিত বা কম মাত্রায় গ্রহন করতেন। কিন্তুু সাইন্স বলে আবার বেশী জল পান করতে। এখানো কোরআন হাদীছ কী বলে?


আর আমার দিকে অনেকে তাকিয়ে থাকে। যদি খারাপ উদ্দেশ্যে নয়(বোঝা যায় না)। অনেকে প্রশংসা করে পেছনে যা পরে শুনি। এগুলো কী বদনজর বা ক্ষতির কারন হতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (590,760 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনার ববাবাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন- http://ifatwa.info/1093
প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো(এলাজে কুরআনী-০৩)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/10103

পেঠভরে খাওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হাদীসে বিনা প্রয়োজনে পেঠভরে খাবার খেতে নিষেধ করা হয়েছে। তবে বিশেষ প্রয়োজনে পেঠভরে খাবার খাওয়ার অনুমোদন থাকবে এবং বেশী বেশী পানি খাওয়াও যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 192 views
0 votes
1 answer 140 views
...