وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অন্যায় ভাবে কোনো কিছু ব্যবহার করা শরীয়তে জায়েজ নেই।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
وَعَنْ أَبِىْ حُرَّةَ الرَّقَّاشِىِّ عَنْ عَمِّه قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «أَلَا لَا تَظْلِمُوا أَلَا لَا يَحِلُّ مَالُ امْرِئٍ إِلَّا بِطِيبِ نَفْسٍ مِنْهُ». رَوَاهُ الْبَيْهَقِىُّ فِىْ شُعَبِ الْإِيْمَانِ وَالدَّارَقُطْنِىِّ فِى الْمُجْتَبٰى
আবূ হুররাহ্ আর্ রক্কাশী (রহঃ) তাঁর চাচা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাবধান! কারো ওপর জুলুম করবে না। সাবধান! কারো মাল তার মনোতুষ্টি ছাড়া কারো জন্য হালাল নয়। (বায়হাক্বী- শু‘আবুল ঈমান, দারাকুত্বনী- মুজতাবা)
সহীহ : আহমাদ ২০৬৯৫, শু‘আবুল ঈমান ৫১০৫, ইরওয়া ১৪৫৯, সহীহ আল জামি‘ ৭৬৬২,মিশকাতুল মাসাবিহ ২৯৪৬।)
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
★সু-প্রিয় পাঠকবৃন্দ!
প্রচলিত পাইরেটেড সফটওয়্যার তথা অনুমতি বিহীন ডাউনলোড সাধারণত তিন ভাবে হতে পারে। যথা-
(১)ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তথা নিজে লাভবান হওয়ার নিয়তে পাইরেটেড সফটওয়্যার বিক্রয় ও পরিবেশন করা। এটা নাজায়েয। কেননা, এর দ্বারা নির্মাতা বা আবিস্কারকের লাভের অধিকারকে হরণ করা হয়। আর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ﻻ ﺿﺮﺭ ﻭﻻ ﺿﺮﺍﺭ ‘নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া ও অন্যকে ক্ষতি সাধনের কোন অনুমতি ইসলামে নেই।’
(সুনানে দারাকুতনী ৩০৭৯)
(২)
ব্যক্তিগত উদ্দেশ্যে পাইরেসি তথা সফটওয়্যারটি নিজে ব্যবহার করা কিংবা বিক্রয় বা পরিবেশন না করে নিজেদের ব্যবস্যায়িক বা আর্থিক কাজে লাগানো। এ প্রকারের সফটওয়ারের ক্ষেত্রে যদি কপিরাইট অধিকারীর মৌন সম্মতি থাকে, তাহলে তা ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মৌন সম্মতির পাশাপাশি যদি জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকে তাহলে মুফতিগণ এর ব্যবহার জায়েয বলে থাকেন।
(ফাতওয়া দারুল উলুম দেওবন্দ fatwa ID : 903-917/N=8/1435-U)
নকল সফটওয়্যার তৈরীর প্রতি তাদের মৌন সম্মতি রয়েছে।
(https://www.microsoft.com/en-us/legal/পাইরেসিt)
সুতরাং এগুলোর ব্যবহার -বিশেষ করে জেনুইনটি কেনার মোটেও সামর্থ্য না থাকলে- নাজায়েয হবে না।
(দরসুল ফিকহ, দারুল উলুম হাটহাজারী ২/৩৮৪, ৩৮৫)
(সংগৃহীত)
৩- ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে নয়;বরং সর্বসাধারণের নাগালে রাখার জন্য কপিরাইটেড সফটওয়্যার ক্র্যাক করে বিক্রি করা।
যদি এ এরকম নকল সফটওয়ার তৈরীর ধরুণ সফটওয়্যার কোম্পানির বড় ধরণের কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তাহলে তা জায়েয হবে না।তবে যদি কোন ক্ষেত্রে এমন হয় যে, কোম্পানি সফটওয়্যার বিক্রয় করে উপযুক্ত লাভ অর্জন করে নিয়েছে।এবং যার মূল্যও নাগালের বাইরে,এখন নকল সফটওয়ার তৈরীর প্রতি কোম্পানির মৌন সমর্থন রয়েছে বা এর দ্বারা কোম্পানির কোন ক্ষতি হবে না, তাহলে এ ধরণের নকল সফটওয়্যার জায়েয তৈরী আছে।
মোটকথাঃ
হ্যা কম্পানির লাভ হোক বা ক্ষতি হোক, উক্ত কম্পানির সফটওয়ারের মূল্য যদি সর্বসাধারণের নাগালে বাইরে থাকে, তাহলে কম্পানিকে সফটওয়ার মূল্য জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার আওতায় নিয়ে আসার জন্য প্রথমে অনুরোধ করা হবে।যদি তারা মূল্যহ্রাস না করে তাহলে মূল্যহ্রাস পযন্ত উক্ত সফটওয়্যারের নকল বিক্রি করা সহনশীল মূল্যে বৈধ হবে।