আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
137 views
in সালাত(Prayer) by (34 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
 ১.আমি রাজশাহী থেকে ঢাকা সফরে এসেছি, সোম/মঙ্গলবার /৭ দিনের মধ্যেই চলে যাবো ইন শা আল্লাহ। সফরে আসার আগে কনফিউজড ছিলাম সফরের নিয়ত করবো নাকি মুক্বীম থাকবো।।কিন্তু সকালে রিকশায় উঠে মনে মনে বলি সফরের নিয়ত,কিন্তু কত দিন থাকবো এটা ফিক্সড নিয়ত করি নি,আমি কি কসর করতে পারবো না?
২.আমার সাথে মাহরাম পুরুষ ছিল না,আমার কি সফরের নিয়ত করলে নিয়ত হবে??
কসরে তো ৪ রাকাত ফরজ সালাত ২ রাকাত পড়তে হয়, ২ রাকাতেই সূরা মিলাতে হবে, তাই না?
৩.কেউ যদি ফরজ ৪ রাকাত পড়ে ফেলে ভুলে তবে কি গুনাহ হবে??
৪.কোন কারণে যদি সফরে আরেকটু দীর্ঘায়িত হয় তবে কি নিয়ত বাড়িয়ে নিতে পারবো?আবার এই সফর থেকে যদি ওয়াতনে আসলী তে যাওয়া হয় তবে মুক্বীম হয়ে যাবো, তাই না??
উল্লেখ্য:রাজশাহী ওয়াতনে আসলী না,পড়াশোনার জন্য হোস্টেলে থাকা হয়।
৫. সফরের কোন সালাত দোহড়াতে হলে ওইদিনই দোহড়াতে হবে নাকি অন্য দিন দোহড়িয়ে নিলে হবে?
উত্তরগুলো জানালে উপকৃত হতাম উস্তায।
জাযাকুমুল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তিন দিন বা তার সমপরিমাণ দূরত্বের অধিক সফর করলে কেউ মুসাফির হিসাবে গণ্য হবে।যেমন ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে-
أَقَلُّ مَسَافَةٍ تَتَغَيَّرُ فِيهَا الْأَحْكَامُ مَسِيرَةُ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ، كَذَا فِي التَّبْيِينِ، هُوَ الصَّحِيحُ
সর্বনিম্ন দূরত্ব যার দ্বারা শরীয়তের বিধি-বিধানে  পরিবর্তন আসে।(তথা মানুষ মুসাফির হয়)তিন দিনের দূরত্ব।(তাবয়ীন) এটাই বিশুদ্ধ মত।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১৩৮) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1281

তিনদিনের দূরত্বকে ফুকাহায়ে কেরাম ৭৭কিলো সমপরিমাণ নির্ধারণ করেন।তাই বর্তমানে কেউ ৭৭কিলো সমপরিমাণ সফর করলে সে শরয়ী মুসাফির হিসেবে গণ্য হবে।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/4429

ওয়াতানে আসলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/107

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) রাজশাহী থেকে ঢাকা যদি ৭৭ কিলোর অধিক হয়, এবং সেখানে ১৫ দিন থাকার নিয়ত না থাকে, তাহলে অটোমেটিক ই আপনি মুসাফির হিসেবে গণ্য হবেন। মুসাফির হওয়ার জন্য নিয়তের প্রয়োজনিয়তা নাই বরং মুকিম হওয়ার জন্যই নিয়তের প্রয়োজনিয়তা রয়েছে।

(২) মুসাফির হওয়ার জন্য মাহরামের শর্তারোপ নেই। বরং কোনো মহিলা একাকি সফর করলেও সে মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবে।হ্যা সেটা ভিন্ন কথা যে, নারীরা কি মাহরাম ব্যতিত সফরে বের হতে পারবে?তবে সফরে বের হলে সে মুসাফির হিসেবেই গণ্য হবে।

(৩) কেউ যদি ফরজ ৪ রাকাত পড়ে ফেলে ভুলে, এবং দু রাকাত পড়ে বৈঠক করে থাকে, তাহলে তার প্রথম ২ রাকাত ফরয এবং পরবর্তী ২ রাকাত নফল হিসেবে বিবেচিত হবে।

(৪)একত্রে ১৫ দিন থাকার নিয়ত ব্যতিত কেউ মুসাফির হবো না। 

বিঃদ্রঃ
যদি কলেজের হোস্টেলে একবার ১৫ দিন অবস্থান করে নেন, তাহলে পরবর্তীতে আপনি একদিন দুদিনের জন্য আসলেও তখন আপনি মুকিম হিসেবে গণ্য হবেন।

(৫) সফরের কোন সালাত দোহড়াতে হলে ওইদিনই দোহড়াতে অন্য দিন দোহড়িয়ে নিলে হবে না, এমন নয়। তবে সফরে হোক বা বাড়ীতে সর্বদা যথাসম্ভব দ্রুত দোহড়িয়ে নেয়াই উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 130 views
0 votes
1 answer 168 views
...