ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
যখন কারো সামনে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এসে উপস্থিত হবে।এবং সে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না যে, সে এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত নিবে।তাহলে এমন পরিস্থিতে তার জন্য উচিৎ ইস্তেখারা করা তথা ভালো দিক কে অন্বেষণ করা।অবশ্যই ইস্তেখারা, নামাযের মাধ্যমেই করবে। ইস্তেখারার পদ্ধতি সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাদীসে বলেন, দুই রা'কাত নামায পড়ে বিশেষ মনোযোগের সাথে (নিম্নে উল্লেখিত) দু'আ পড়বে।তাহলে হয়তো তার মন কোনো এক দিকে ধাবিত হবে,বা সে স্বপ্নযোগে কোনো এক ইশারা পাবে।
(২)ইস্তেখারা করার পর কোনো এক দিকে মন আকৃষ্ট হবে। মন আকৃষ্ট হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ইস্তেখারা চালিয়ে যেতে হবে।
(৩)ইস্তেখারার সালাতে হাত তুলে দোয়া করার কোনো নিয়ম নাই তাছাড়া বাংলায় দু'আ করারও কোনো নিয়ম নাই। হ্যা, নামায শেষে হাত তুলে দু'আ করা যাবে এবং বাংলাতে দু'আ করা যাবে।
(৪)ইস্তেখারার সালাত হারাম ও মাকরুহ ওয়াক্ত ব্যতিত যেকোনো সময় পড়া যাবে।
(৫)আজান শ্রবণের পর নামাযের ইকামতের পূর্বে দু'আ করলে আল্লাহ সেই দু'আ কে কবুল করে থাকেন।
(৬)আজানের সময় হাত তুলে দোয়া করার কোনো নিয়ম প্রমাণিত নয়।
(৭)পশ্চিম দিকে মুখ করেই আজানের সময় দোয়া করতে হবে, এমন কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই।
(৮)তাহাজ্জুদের প্রতি দুই রাকাত সালাত পরেই মুনাজাত করার চেয়ে একেবারে শেষে মুনাজাত করাই মুনাসিব।