আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পবিত্রতা (Purity) by (10 points)
আসসলামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ
সম্ভাব্য ডেলিভারির এক মাস আগে থেকে যৌনি পথ দিয়ে হালকা রক্ত স্রাব যাওয়াটা নাপাকি সাব্যস্ত হবে কি অবস্থা কি?
এই অবস্থায় নামাজ বা তেলাওয়াত করা জায়েজ হবে কি?

আমার স্ত্রী বর্তমানে আট মাসের গর্ভবতী। ওনি চাচ্ছেন নামাজ আর তিলাওয়াত চালু রাখতে কিন্তু ওনার রক্তের মতন স্রাব যাচ্ছে। এমতাবস্থায়, ওনার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/1570/ ফতোয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে যে,
যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।আর চার মাসের পূর্বে গর্ভপাত হলে সে রক্তকে হায়েয গণ্য করা হবে যদি তা তিনদিন বা তার চেয়ে বেশী সময় অতিবাহিত হয়। আর তিনদিনের কম বা দশদিনের বেশী সময় অতিবাহিত হলে সে রক্তকে ইস্তেহাযার রক্ত হিসেবে গণ্য করা হবে।
আহসানুল ফাতাওয়া-২/৭১

যদি চার মাস বা তার চেয়ে বেশী সময়ের পর গর্ভপাত হয় তাহলে গর্ভপাত পরবর্তী নেফাস হিসেবে গণ্য হবে।
ঐ সময়ে নামায রোযা আদায় করবেনা।

আর যদি চার মাসের আগেই গর্ভপাত হয়, তাহলে তিন দিন বা তার চেয়ে বেশি দিন অতিবাহিত হলে হায়েজ ধরে নামাজ রোযা আদায় করবেনা।
যদি তিন দিনের কম হয়,বা দশদিনের বেশিহয়,তাহলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এক্ষেত্রে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا شُجَاعُ بْنُ الْوَلِيدِ أَبُو بَدْرٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ أَبِي سَهْلٍ، عَنْ مُسَّةَ الأَزْدِيَّةِ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ كَانَتِ النُّفَسَاءُ تَجْلِسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَرْبَعِينَ يَوْمًا فَكُنَّا نَطْلِي وُجُوهَنَا بِالْوَرْسِ مِنَ الْكَلَفِ

নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) .... উম্মু সালমা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে নেফাস বিশিষ্ট মহিলাগণ চল্লিশ দিন সালাত ও সিয়াম থেকে বিরত থাকতেন। চেহার ফ্যাকাশে হয়ে কৃষ্ণাভ হয়ে যেত বলে আমরা তখন চেহারায় হলুদ বর্ণের ওয়ারস পত্রের প্রলেপ ব্যবহার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৬৪৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
তিরমিজি ১৩৯)

حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ سَعِيدٍ الْعَطَّارُ ، أَنَا وَكِيعٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْفَضْلُ بْنُ سَهْلٍ ، ثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ دَاوُدَ - جَمِيعًا - عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ أَبِي ثَابِتٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ فَقَالَ : " دَعِي الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِكِ ، ثُمَّ اغْتَسِلِي وَصَلِّي ، وَإِنْ قَطَرَ الدَّمُ عَلَى الْحَصِيرِ "

আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি রক্তপ্রদরের রোগিনী, কখনও পাক হই না, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, তোমার মাসিক ঋতুর কয়দিন তুমি নামায ছেড়ে দিবে, অতঃপর গোসল করবে এবং নামায পড়বে, পাটির উপর রক্তের ফোটা পতিত হলেও। অন্যান্য রাবী ওয়াকী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, “এবং তুমি প্রতি ওয়াক্ত নামাযের জন্য উযু করবে”।
(সুনানে দারা কুতনি ৭৯৮)

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি আপনার স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাবেন,যদি বাচ্চা নষ্ট না হয়, গর্ভপাত না হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এটি আপনার স্ত্রীর ইস্তেহাজা।

আপনার স্ত্রী এমতাবস্থায় নামাজ চালিয়ে যাবেন। কুরআন তিলাওয়াত চালিয়ে যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 96 views
0 votes
1 answer 130 views
–1 vote
1 answer 293 views
...