আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in সালাত(Prayer) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১. গতকাল দুপুর ২ টা দুইটা থেকে ৫টা পর্যন্ত  আমার পরীক্ষা ছিল। বাসায় এসে ৫ টা ৩০ এ  নামাজে বসি। তারপর মনে হয় বায়ু   বেড়িয়ে যাই। তাই আমি নামাজ ভেঙ্গে  ভেঙ্গে পুনরায় ৫ঃ৪০ এর নামাজ পড়তে বসি। ৬:৫.এ নামাজ শেষ করি তখন দেখি সাদা স্রাব। তখন নিষিদ্ধ সময়  সময় শুরু হয়ে যায়।   আমি ভাবলাম মাগরিবের আগে নামাজটা করে দিব।   এরপর মাগরিবের আজান দেয় আমি ছয়টা ১৫ এর দিকে।আমি ৬:৩০ এ নামাজ পড়তে বসি। আসরের নামাজটা পড়তে চেষ্টা করি। কিন্তু বারবার ভুল হয়ে যাচ্ছে তাই ৬:৩৫ এ নামাজ ভেঙ্গে দিই। এরপর ১০ মিনিট রেস্ট নিই মাথার মধ্যে কেমন লাগছিল। এরপর ৬ঃ৪৫ থেকে নামাজের প্রস্তুতি নিতে থাকি,, ৭:০০ টার সময়  মাগরিবের নামাজ  পড়তে বসি। আর আসরের নামাজ পড়িনি ভাবলাম আগে মাগরিব পড়ি। কারণ মাগরিবের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাবে।  তারপর ৭:০০ থেকে ৭:২৫ পর্যন্ত মাগরিবের নামাজ পড়ি। এরপর আবারো দেখি সাদাস্রাব। তখন মাগরিবের তো শেষ। ২-৩ মিনিট মতো সময় বাকি ছিল। তখন ভাবলাম একসাথে এশার নামাজ মাগরিবের নামাজ আসরের নামাজ পড়বো। দশটার সময় এশার নামাজ   পড়তে যাই। ভাবলাম আবার সাদা চলে আসতে পারি তাই আগে এশার নামাজ পরি।   এশার নামাজ পড়ার পর আধঘন্টা বিরতি নিয়ে  এরপর আবার আসরের ও মাগরিবের নামাজ একসাথে পড়া শুরু করি। আসরের নামাজটা শেষ করে মাগরিবের নামাজ পড়তে থাকি,,, নামাজ শেষে দেখি আমার সাদাস্রাব। তখন প্রায় এগারোটা বেজে গেল। এরপর আবার রেস্ট নেই নিয়ে আধ ঘন্টা পর আবার নামাজ পড়তে যাই। নামাজের মধ্যে আবার বায়ু  আসে,, তখন রাত সাড়ে বারোটা বাজে। তখন আবার ওযু করে নামাজ পড়ার  মত অবস্থা ছিল না খুব ক্লান্ত লাগছিল। তাই ভাবি রাত্রে সাড়ে তিনটার দিকে উঠে ফজরের আগে আসরের মাগরিবের নামাজটা পড়ে নিব। কিন্তু ওই সময়ে এলার্ম বাজার করে আমার খুব ঘুম লাগছিল অলসতার কারণে আর উঠতে পারিনি। এরপরে  ফজরের সময় উঠে ফজরের সালাত আদায় করি। তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়ি এবার বেলা দশটার দিকে আবার ভাবছি ওই আসরের মাগরিবের নামাজ পড়ব। তখন  নামাজে দাঁড়ায়,,, নামাজের মধ্যে আবার বায়ু এসে যায় তখন নামাজ ভেঙে দিই। এরপর  বেলা ২:৩০ এ  যোহর ও আগেরদিনের আছর ও  মাগরিবের নামাজ পড়ে নিই. জোহর ও আগের দিনের আসরের নামাজটা হয়। কিন্তু মাগরিবের নামাজ পড়ার সময় আবার সাদাস্রাব হয়।  তখন ৪:০০ বেজে যায়। এরপর আমি আসরের পরে আবার মাগরিবের ঔ তিন রাকাত নামাজ আদায় করি।।এখন এত বিলম্ব করে পড়ার জন্য কি আমার গুনাহ হবে?? আমার কি মধ্যরাতে পড়া উচিত ছিল?? এভাবে সাদাস্রাবের জন্য যদি কোন নামাজ কাজা হয়ে যাবে তাহলে সেটা কি ঔ দিনই আদায় করা লাগবে?? কিভাবে আদায় করব?? আছর ও মাগরিবের নামাজ বিলম্ব করে পড়ায় কি আমার গুনাহ হবে??  একটু বলবেন প্লিজ। আর কখন নামাজ আদায় করা উচিত ছিল??  আমি চেষ্টা করেছি।আমার পরিস্থিতি একটু পড়বেন।

২.সাধারণত আমি যখন নামাজ পড়ি তখন আমার একাধিক বিষয় নিয়ে সন্দেহ হয়। অর্থাৎ এক নামাজের মধ্যেই একাধিক রাকাত সংখ্যা বা সিজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়  যখনই সন্দেহ হয় তখনই আমি সেই রাকাত বা অন্য বিষয়ের জন্য মনে মনে নিয়ত করি সাহু সিজদা দিব।
একদিন আসরের নামাজ পড়ার সময় আমি যখন তৃতীয় রাকাতে থাকি,,, তখন আমার রাকাত সংখ্যা নিয়ে  সন্দেহ হয়। তখন আমি মনে মনে নিয়ত করি সাহু সিজদা দিব। কিন্তু আগের দুই রাকাতের কোনো বিষয় নিয়ে আমার সন্দেহ হয়েছিল  অর্থাৎ আমি সাহু সিজদা দিতে নাকি চেয়েছিলাম নাকি এটা আমার মনে নেই। আমার  মনে হচ্ছিল এর আগের দুই রাকাতে কোন একটা বিষয়ে সন্দেহ হয়েছিল। সাহু সিজদা  দিতে চেয়েছিলাম। এরপরে আমি আবার যখন চতুর্থ রাকাত পড়ি তখন আর রাকাত  সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হয়। আমি সাহু সিজদা দেব এই  নিয়ত করি।  সর্বশেষে আমি সাহু  সেজদা দিই৷ এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে,, আগের দুই রাকাত নিয়ে যে সন্দেহ হচ্ছিল অর্থাৎ আগের দুই রাকাত নিয়ে সাহু সিজদা   দিতে চেয়েছিলাম নাকি এইটা নিয়ে  সন্দেহ হচ্ছিল। এজন্য কি নামাজের কোনো সমস্যা হবে??  আমি তো একবার শেষে একবার সাহসী তো দিলামই।   আসলে বিষয়টা বোঝাতে পারছিনা।   আমার শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছে আমার যদি আগের দুই রাকাত নিয়ে মনের মধ্যে কোনো সন্দেহ তৈরি হয় তাহলে আমি ওই সময়ই নিয়ত করেছি যে সাহু সিজার দিব আর আমি সর্বশেষ তো সাহু সিজদা দিয়েই দিয়েছি। সেটা যে কারণেই হোক না কেন তাহলে কি আমার নামাজটা হবে না?

৩ নামাজে তাশাহুদ পড়ার সময় আত্তাহিইইয়াতু বলার পরিবর্তে যদি আত্তাহি -ইয়াতু বলি তাহলে কি সালাত বাতিল হবে অর্থাৎ যদি হা যের হি,,,ইয়া যবর ইয়া,, এইভাবে আত্তা-হি-ইয়াতু।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ওয়াসওয়াসা হল এমন এক মানসিক রোগ যা একজন মুসলিমকে বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তানের পক্ষ থেকে মনে আসা  কুমন্ত্রনার ফাঁদ। এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা এখন কম নয়।  কিন্তু এই রোগ সম্পর্কে ধারনা বা ইলমে জ্ঞান না থাকার ফলে একজন সাধারন ব্যক্তি ধীরে ধীরে মানসিক রোগীতে পরিণত করতে পারে। কারণ শুরুতেই যদি এর চিকিৎসা না করা হয়, তাহলে এটি বাড়তে থাকে।

আমরা আমাদের বিগত সহস্রাধিক প্রশ্ন রিসার্চ করে দেখেছি যে ওসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি বিভিন্ন মাসলা মাসায়েল বা ফতোয়ার প্রশ্নের উত্তর ঘাটাঘাটি করে আরও বেশি ওয়াসওয়াসাতে আক্রান্ত হয়ে যায়। এবং প্রশ্নের উত্তর হল একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের রোগ বৃদ্ধির খোরাক। এবং একটা প্রশ্ন উত্তর পাওয়ার পর একজন ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত ব্যক্তি ক্রমাগত একই প্রশ্ন বারবার ঘুরিয়ে পেচিয়ে শতাধিকবার করতে থাকেন।  যেটা উনাকে বরং ক্রমাগত অধিকতরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে থাকে।
বিষয়গুলো পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ওয়াসওয়াসা আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে নিচের দেওয়া বাধ্যতামূলক সুস্থ হওয়ার কোর্সটি কমপ্লিট না হওয়া পর্যন্ত কোনো প্রশ্নের উত্তর দেয়া হবে না ।
এবং আমরা আশা করছি এবং আল্লাহর উপরে ভরসা রেখে বলছি যারা নিচের এই কোর্সটি করবেন ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবেন।
আর কোর্সের ভিতরে একটা অংশে আমাদের মুফতি সাহেবদের সাথে সরাসরি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রশ্ন-উত্তরের ব্যবস্থা থাকবে।
আল্লাহ আমাদের সমস্ত শারীরিক ও মানসিক রোগ থেকে হেফাজত করুন।

https://courses.iom.edu.bd/courses/waswasa


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
আপনার প্রতি অনুরোধ আপনি আমাদের কোর্সটা করে নিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 124 views
0 votes
1 answer 100 views
0 votes
1 answer 107 views
...