শরীয়তের বিধান হলো অযুতে সেই সমস্ত অঙ্গ ধোয়া ফরন,যদি সেগুলোর ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে।
হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৪২৮)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে চোখের নিচের যদি এমন হয় যে তাহা ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করে,তাহলে কোনো সমস্যাই নেই।
আপনার অযু হয়েছে,নামাজও হয়েছে।
★চোখের নিচের যদি এমন হয় যে তাহা ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তাহলে আপনার প্রবল ধারণা দেখতে হবে।
আপনার মনের যদি প্রবল ধারণা হয় যে এই ময়লা অযুর পর জমেছে,তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার অযু হয়েছে,নামাজও হয়েছে।
★আর যদি আপনার মনের প্রবল ধারণা হয় যে এই ময়লা (ত্বকে পানি পৌছাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী) অযুর আগে থেকেই জমে ছিলো,যাহা চলে যায়নি,তাহলে ধরে নিতে হবে যে আপনার অযু হয়নি,নামাজও হয়নি।
অযু ভেঙ্গে যাওয়ার মতো কোনো কিছু না হলে এক্ষেত্রে পুরো অযু সম্পূর্ণ ভাবে আবারো করতে হবেনা।
বরং সেই ময়লা তুলে সেই স্থান ভালো করে ধোয়াই যথেষ্ট।
(০২)
আপনি কিরাআত স্প্রিটে না পড়ে ধীরে পড়ার চেষ্টা করবেন। স্পট উচ্চারণ করবেন। থেমে পড়তে পারেন। নিজের কানে আসার মতো আওয়াজ করে উচ্চারণ করবেন,আর ওয়াসওয়াসকে পাত্তা দিবেননা।
তাহলে উপরোক্ত সমস্যা গুলি আর হবেনা,ইনশাআল্লাহ।
(০৩)
হ্যাঁ, গুনাহ হবে।
নামাজ শুরু করার পর শরীয়ত সম্মত বিশেষ ওযর ছাড়া নামাজ ভেঙ্গে দেয়া যাবেনা।