আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
489 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
Assalamu Alaikum Wa Rahmatullah. I am a practising muslim since like half a year and trying to be a better muslim. One and a half year ago(before I was practising islam) I found evidence that my father has been doing Zina his whole life, with countless women and prostitutes. One month after finding it out and gathering evidence, I let my mother know it. After finding his truth, I fully wanted him to be punished according to islam, but I live in a secular country. Now I don't want to keep any bond with him. I haven't talked with him even once after this incident. I don't even want to see his face. I would have already killed him if Islam hadn't stopped me. For addition, he is also a kaafir as he doesn't believe in taqdir.

Now in this situation, is it permissible for me to break all ties with him as he was supposed to be stoned to death but isn't brought under justice?

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)

জবাবঃ-
হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত
ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﺍﻟْﺤُﺐُّ ﻓِﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺒُﻐْﺾُ ﻓِﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ 
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সর্বোত্তম আ'মল হচ্ছে,আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালোবসা এবং আল্লাহর জন্যই কারো সাথে শত্রতা করা।
ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ، ﺍﻟﺴﻨﻦ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﺔ، ﺑﺎﺏ ﻣﺠﺎﻧﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻷﻫﻮﺍﺀ ﻭﺑﻐﻀﻬﻢ، :4 198 ، ﺭﻗﻢ : 4599 ، ﺩﺍﺭﺍﻟﻔﻜﺮ

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এ হাদীসের অর্থ হল,কাউকে ভালবাসলে আল্লাহর জন্যই ভালবাসতে হবে।এবং শত্রুতা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হবে।

গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তির সাথে শত্রুতা পোষণ করতে হবে বা সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, বিষয়টা এমন নয়। কেননা যে সমস্ত কাফির মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত নয়,তাদের সাথে সদাচরণের কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে কুরআন আমাদেরকে ঘোষণা দিয়েছে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।

إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَن تَوَلَّوْهُمْ وَمَن يَتَوَلَّهُمْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।(সূরা মুমতাহিনা-৮-৯)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।

আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)

সুতরাং কাউকে দূরে সরিয়ে দেয়া বা কারো সাথে সম্পর্ককে ছিন্ন করার চেয়ে তাকে হেদায়তে নিয়ে আসা ও হেদায়তে নিয়ে আসার স্বার্থে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা অবশ্যই অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।

সুতরাং ধর্য্য ও হেকমতের সাথে আপনি আপনার পিতাকে দ্বীনের রাস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হিসেবে বিবেচিত হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...