আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহ মাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।
শ্রদ্ধেয় ওস্তাদ-
অনেকদিন যাবত আমি একটা সমস্যায় ভুগছি।আমি আসলে একটি অবিবাহিত মেয়ে।দ্বীনে ফিরেছি প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি আলহামদুলিল্লাহ। লাইফ পার্টনার হিসেবে যিনি অমুসলিমদের মাঝে দাওয়াতি কাজ করেন বা দাওয়াতি কাজ করতে চান এমন একজন কে ভীষণভাবে পাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করি। এখন আমার অন্তরে সারাক্ষন শুধু এমন জীবনসঙ্গী নিয়ে আজেবাজে অপ্রয়োজনীয়  চিন্তা ভাবনা আসে।একেকবার একেক জনকে নিয়ে চিন্তাভাবনা আসে।যদিও তাদের চেহারা কেমন সেটা আমি জানিনা। চিন্তা  ভাবনা আসে এই ধরনের যেমন- আমি আর উনি একা একা গাড়ি করে কোথাও যাচ্ছি, কখনো তিনি আমাকে ফুল দিচ্ছেন, কখনো একি রুমে ২জনে ঘুমাচ্ছি কিন্তু একি খাটে না আলাদা ঘুমাই।আবার কখনো অশ্লিল বাক্য ছাড়া ভিবিন্ন ভাবে উনি আমাকে প্রেম ভালোবাসা নিবেদন করছেন। কখনো হালাল রোমান্টিক গান যেগুলা স্ত্রীদের শুনানো যায় সেগুলা গেয়ে শুনাচ্ছেন।(আবার কখনো আমরা একে অপরের দিকে অপলক তাকিয়ে আছি,,এই ভাবনা টায় আমার অন্তরে কেমন জানি এক অনুভুতির কাজ করে যেটা আমি যেনা হয়েছে এই ভেবে আর চিন্তা করিনা যদিও তার চেহারা বা চোখ কেমন সেটা স্পষ্ট আমার মাথায় আসেনা বা আমি মাথায় আনতেও চাইনা)।
১/এখন এই যে এতো গুলা অচেনা এবং চেহারা না জানা  দ্বীনদার পুরুষকে নিয়ে আমার অন্তরে দিন রাত ২৪ ঘন্টা এসব আজে বাজে চিন্তা ভাবনা আসে এগুলা কি যেনা হবে?
২/ এগুলা ছাড়াও আমি অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করছি নিজের পরিবার কে সাহায্য করছি এসব চিন্তা ভাবনাও আসে।এবং এসব অপ্রয়োজনীয় চিন্তা ভাবনা করতে আমার ভিষন ভালো লাগে।আমি চেষ্টা করলেও এসব চিন্তাভাবনা থেকে বাঁচতে পারছি না।দিন রাত সারাক্ষন শুধু এগুলা চিন্তা করি।যার কারনে আমার আমল ইবাদতে মনোযোগ থাকেনা।আমার চারপাশে কি হচ্ছে বা কি চলছে ঠিকমতো  সেটাও জানিনা।এখন আমার এই সমস্যাটা কেন হচ্ছে? এটা কি ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যা? নাকি অন্য কিছু? দয়া করে এটা থেকে বাচার উপায় বলুন আমাকে।এই সমস্যার কারনে আমি আল্লাহর কাছ থেকে অনেক দূরে সরে যাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

(০১)
কুরআনে কারীমে ইরশাদ হয়েছে,

إِنَّ السَّمْعَ وَالبَصَرَ وَالفُؤَادَ كُلُّ أُولَئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْئُولًا.

...নিশ্চয় কান, চোখ, হৃদয় এর প্রতিটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। সূরা বনী ইসরাঈল (১৭) : ৩৬

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُ زِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে]। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনি যেহেতু গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক কোনো কিছু চিন্তা ভাবনা করেননি,সুতরাং এটি যেনা হবেনা।

তবে এভাবে না ভাবার পরামর্শ থাকবে। 
মনে বিষয়টি আসলে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

বাবা মা রাজী থাকলে দ্বীনদার কাউকে বিবাহ করে নেয়ার পরামর্শ থাকবে।

(০২)
হ্যাঁ, এটা ওয়াসওয়াসা জনিত সমস্যার অন্তর্ভুক্ত। 

সব চিন্তা ঝেড়ে ফেলুন,ইবাদতে মনোযোগ দিন। মনের মধ্যে এরকম বিষয় আসলে বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন। 

আরো করনীয় সম্পর্কে জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...