জবাবঃ-
হযরত আবুযর রাযি থেকে বর্ণিত
ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﺍﻟْﺄَﻋْﻤَﺎﻝِ ﺍﻟْﺤُﺐُّ ﻓِﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺒُﻐْﺾُ ﻓِﻲ ﺍﻟﻠَّﻪِ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,সর্বোত্তম আ'মল হচ্ছে,আল্লাহর জন্যই কাউকে ভালোবসা এবং আল্লাহর জন্যই কারো সাথে শত্রতা করা।
ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ، ﺍﻟﺴﻨﻦ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺴﻨﺔ، ﺑﺎﺏ ﻣﺠﺎﻧﺒﺔ ﺃﻫﻞ ﺍﻷﻫﻮﺍﺀ ﻭﺑﻐﻀﻬﻢ، :4 198 ، ﺭﻗﻢ : 4599 ، ﺩﺍﺭﺍﻟﻔﻜﺮ
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এ হাদীসের অর্থ হল,কাউকে ভালবাসলে আল্লাহর জন্যই ভালবাসতে হবে।এবং শত্রুতা শুধুমাত্র আল্লাহর জন্যই হবে।
গোনাহে লিপ্ত ব্যক্তির সাথে শত্রুতা পোষণ করতে হবে বা সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, বিষয়টা এমন নয়। কেননা যে সমস্ত কাফির মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত নয়,তাদের সাথে সদাচরণের কোনো বিধিনিষেধ নেই বলে কুরআন আমাদেরকে ঘোষণা দিয়েছে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ
ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন।
إِنَّمَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ قَاتَلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَأَخْرَجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ وَظَاهَرُوا عَلَى إِخْرَاجِكُمْ أَن تَوَلَّوْهُمْ وَمَن يَتَوَلَّهُمْ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ
আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা ধর্মের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেছে এবং বহিস্কারকার্যে সহায়তা করেছে। যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে তারাই জালেম।(সূরা মুমতাহিনা-৮-৯)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
পরকালে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ আ'মলের হিসাব নিকাশ দিতে হবে।কারো পাপের বোঝাকে অন্য কেহ বহন করবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়। (সূরা ফাতির-১৮)
সুতরাং কাউকে দূরে সরিয়ে দেয়া বা কারো সাথে সম্পর্ককে ছিন্ন করার চেয়ে তাকে হেদায়তে নিয়ে আসা ও হেদায়তে নিয়ে আসার স্বার্থে তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করা অবশ্যই অবশ্যই উত্তম বলে বিবেচিত হবে।
সুতরাং ধর্য্য ও হেকমতের সাথে আপনি আপনার পিতাকে দ্বীনের রাস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসার আপ্রাণ চেষ্টা করুন।এটাই আপনার জন্য কল্যাণকর হিসেবে বিবেচিত হবে।