আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
65 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (29 points)
১।আমি একটা টিউশনি করি যেখানে তার বাবার উপার্জন হালাল নয়। এখন আমার আসল প্রশ্ন হচ্ছে হক নিয়ে।যখন আমি টিউশনি নেই তখন স্টুডেন্টের মা আমাকে বলেছিলেন পরীক্ষা সময় এক্সট্রা পড়াতে হবে। আমিও তাই করেছি ওর যখন পরীক্ষা হয় বেশিরভাগ সময়ে সাধারণ দিনের থেকে ওকে বেশি পড়িয়েছি এমনকি যেদিন আমার বন্ধ সেদিনও আমি ওকে পড়াতে গিয়েছি।আমার বন্ধের সময় ওর পরীক্ষা চলমান  ছিল আমি ঐদিন  পড়াতে যাই আর মনে মনে এটা ভেবে নেই পূর্বে কারণবশত আমার নিজের থেকে  যে বন্ধ গিয়েছিল ঐটা আমি আজ ফুলফিল করে দিলাম। এমন ভাবাটা কি আমার ঠিক হয়েছে ওর হক তো নষ্ট হলো না যেহেতু ওর মা বলেছিল পরীক্ষার সময় এক্সট্রা পড়াতে হবে।যদি হক নষ্ট হয়ে থাকে আমি এখন ওর হক কিভাবে আদায় করব টাকা দিয়ে নাকি ওকে বেশি করে সময় দিয়ে।

 ২।আমার স্টুডেন্টদের হক যদি আমি জানতেও জানতে নষ্ট করে থাকি তাহলে কি তার মার থেকে মাফ চেয়ে নিলেই হবে নাকি আমার টাকা দিয়ে সে হোক আদায় করতে হবে তারা যদি সে টাকা নিতে না চায় তাহলে আমি কি করবো তারা যদি এমনি আমাকে মাফ করে দেয় বলে না টাকা দিতে হবে না বা টাকার প্রয়োজন নেই তখন সে টাকাটা গ্রহণ করে কি আমার উচিত হবে যে টাকাটা আমি তাদের হক বাবদ দিতে চেয়েছিলাম।
৩।আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছিলাম আমার বাবা ছাড়া আমি অন্য কারোর  হারাম উপার্জন ভোগ করবো না। এখন আমার বাবা যার উপার্জন হালাল নয় তিনি যদি এখন আমার মাকে কোন টাকা পয়সা দেয় হাত খরচের জন্য এবং সেই টাকা থেকে আমার মা  আমার জন্য কোন কিছু কিনে আনে আমার পিছনে খরচ করে সেটা ভোগ করা আমার জন্য কি হালাল হবে। আমার ওয়াদা কি ভঙ্গ হবে।

1 Answer

0 votes
by (677,280 points)
জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
এমন ভাবাটা আপনার ঠিক হয়েছে।
এতে তার হক নষ্ট হয়নি।

(০২)
হ্যাঁ, সেই টাকা গ্রহন করা আপনার জন্য উচিত হবে।

(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 
আবূ হুরায়রাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: " أَيُّهَا النَّاسُ، إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ} [المؤمنون: ٥١] وَقَالَ: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ} [البقرة: ١٧٢] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟ "
 তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ তা'আলা পবিত্র, তিনি পবিত্র ও হালাল বস্তু ছাড়া গ্রহণ করেন না। আর আল্লাহ তা'আলা তার প্রেরিত রসূলদের যে হুকুম দিয়েছেন মুমিনদেরকেও সে হুকুম দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “হে রসূলগণ! তোমরা পবিত্র ও হালাল জিনিস আহার কর এবং ভাল কাজ কর। আমি তোমাদের কৃতকর্ম সম্বন্ধে জ্ঞাত।" (সূরা আল মু'মিনূন ২৩ঃ ৫১)তিনি (আল্লাহ) আরো বলেছেন, “তোমরা যারা ঈমান এনেছো শোনা আমি তোমাদের যে সব পবিত্র জিনিস রিযক হিসেবে দিয়েছি তা খাও”— (সূরা আল বাকারাহ ২ঃ ১৭২)। অতঃপর তিনি এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দূর-দূরান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ সফর করে। ফলে সে ধুলি ধূসরিত রুক্ষ কেশধারী হয়ে পড়ে। অতঃপর সে আকাশের দিকে হাত তুলে বলে, “হে আমার প্রতিপালক! অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পরিধেয় বস্ত্র হারাম এবং আহার্যও হারাম। কাজেই এমন ব্যক্তির দু'আ তিনি কী করে কবুল করতে পারেন?”(সহীহ মুসলিম-১০১৫)

বাবার ইনকাম হারাম হলে,
সাবালক ছেলে বাবার ইনকাম থেকে কিছুই গ্রহণ করতে পারবেনা।
তবে যদি সে অপারগ থাকে,তাহলে পরবর্তীতে ঐ টাকা সদকাহ করার নিয়তে হিসেব করে করে বাবার কাছ থেকে আপাতত নিতে পারবে।

মেয়ের বাবার ইনকাম যদি হারাম হয়,এবং ঐ বাবার মেয়ে যদি দ্বীনদ্বার হয়,তাহলে এমন মেয়েকে বিয়ে করতে কোনো অসুবিধে নাই।
কেননা বাবার ইনকাম হারাম হলেও বাবার উপর শরীয়ত কর্তৃক মেয়েকে লালন পালন করা ওয়াজিব।হারাম খাওয়ানোর দরুণ বাবাকে জবাবদিহি করতে হবে।তবে মেয়ে নিরাপরাধ হিসেবেই থাকবে।
নাবালক ছেলে সন্তান এবং সকল বয়সের মেয়ে সন্তানের লালনপালনের দায়িত্ব নিকটাত্মীয় মাহরাম পুরুষের উপর।পিতা,ভাই,চাচা ইত্যাদি মাহরাম পুরুষরা ধারাবাহিক মেয়ে সন্তানদের লালন-পালনের দায়িত্ব গ্রহণ করবে। এটা তাদের উপর ওয়াজিব।তারা এ দায়িত্ব পালন না করলে গোনাহগার হবে।
ونفقة البنت بالغة والابن بالغا زمنا أو أعمى على الأب خاصة به يفتى 
বালেগ মেয়ে এবং বালেগ পঙ্গু বা অন্ধ ছেলের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর।এটার উপরই ফাতাওয়া।(আল-উকুদুদ-দুররিয়া-১/৮২) 

বিস্তারিত জানুনঃ-https://www.ifatwa.info/2362

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
সেই টাকা ভোগ করা আপনার জন্য হালাল হবেনা। এতে আপনার ওয়াদা ভঙ্গ হবে,তবে এক্ষেত্রে ওয়াদা ভঙ্গের কাফফারা আবশ্যক হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 90 views
...