আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
358 views
in পবিত্রতা (Purity) by (1 point)
আস্সালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ উস্তায,  ইস্তেনজা  থেকে পবিএ হওয়ার সঠিক নিয়র বিশ্লেষন সহকারে বললে উপকৃত হতাম উস্তায?? অনেক বড় একটি বিষয় যদিও আমরা সাধারন ভাবে নেই গুুরুুত্ব দেই না অতোচ কবরের বেশির ভাগনআযাব হবে ইস্তেনজার পর পবিএ না হওয়ার অথাৎ হক্কুল্লাহ আল্লাহর হক।

1 Answer

0 votes
by (657,800 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: مَرَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِقَبْرَيْنِ، فَقَالَ: ” إِنَّهُمَا لَيُعَذَّبَانِ، وَمَا يُعَذَّبَانِ فِي كَبِيرٍ، أَمَّا أَحَدُهُمَا: فَكَانَ لَا يَسْتَنْزِهُ مِنَ البَوْلِ – قَالَ وَكِيعٌ: مِنْ بَوْلِهِ – وَأَمَّا الْآخَرُ: فَكَانَ يَمْشِي بِالنَّمِيمَةِ “.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূল সাঃ দু’টি কবরের পাশ দিয়ে অতিক্রম হচ্ছিলেন। বললেন, এ দু’টি কবরে আযাব হচ্ছে। কোন বড় কারণে আজাব হচ্ছে না। একজনের কবরে আজাব হচ্ছে সে পেশাব থেকে ভাল করে ইস্তিঞ্জা করতো না। আরেকজন চোগোলখুরী করতো। {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৯৮০, বুখারী, হাদীস নং-১৩৬১}
,
★সুতরাং ইস্তেঞ্জা থেকে সঠিক ভাবে পবিত্র হতে হবে।
পেশাব করার পর আসলে আমরা পুরুষরা  এই জন্যই টিস্যু ব্যবহার করি যে,ডাক্তাদের মত অনুযায়ী (পেশাবের রগ একটু বাকা হওয়ার কারনে) আমাদের  অনেকের পেশাবের পর ফোটা ফোটা করে আরো কিছু পেশাব পরে।
যা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য আমরা আগে টিস্যু ব্যবহার করি,তারপর যখন নিশ্চিত হই যে আর ফোটা ফোটা বের হবেনা।
তখন আমরা উক্ত জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলি।
,
পেশাব থেকে পবিত্র হওয়া আবশ্যক। এখন কারো পেশাব করে পানি ব্যবহার করা দ্বারাই সে পবিত্র হয়ে যায়। তার পেশাব ঝরে না। আবার কারো একটু বসে থাকলে, একটু দাড়ালে, নড়াচড়া করলে অবশিষ্ট পেশাব বের হয়। যার যেভাবে পবিত্র হয়, সে সেইভাবে পবিত্র হবে। পবিত্র হওয়াটা উদ্দেশ্য । যেন কিছুতেই শরীরে পেশাবের ছিটা না পড়ে।

আরো জানুনঃ 

★প্রস্রাব পায়খানা করার পর শুধুমাত্র ঢিলা বা শুধুমাত্র পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করা যাবে।এমনকি পানি থাকাবস্থায়ও ঢিলা ব্যবহার করা যাবে।এবং ঢিলা ও পানি উভয়টিকে একসাথেও ব্যবহার করা যাবে। শুধুমাত্র ঢিলা ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা 
সম্পর্কে যেমন হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,

 عن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال : ( من توضأ فليستنثر ، ومن استجمر فليوتر ) 

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি অজু করতে যাবে সে যেন তিনবার নাকে পানি দেয়ার পর নাককে জেড়ে পরিস্কার করে।আর যে ব্যক্তি ঢিলা ব্যবহার করতে যাবে সে যেন বেজোড় সংখ্যার ঢিলা ব্যবহার করে।(সহীহ বোখারী-১৫৯,সহীহ মুসলিম-২৩৭) 

শুধুমাত্র পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা জায়েয রয়েেছ।হযরত আনাস ইবনে মালিক রাযি থেকে বর্ণিত,

عن أَنَس بْن مَالِكٍ رضي الله عنه قال : كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاءَ أَحْمِلُ أَنَا وَغُلامٌ مَعِي نَحْوِي إِدَاوَةً مِنْ مَاءٍ ، فَيَسْتَنْجِي بِالْمَاءِ .

যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ বাথরুমে প্রবেশ করতেন,আমি এবং আমার সাথের একটি ছেলে আমরা পানির পাত্রকে বহন করে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর জন্য নিয়ে যেতাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ পানি দ্বারা পবিত্রতা অর্জন করতেন।(সহীহ মুসলিম-২৭১)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই বোন, 
পেশাব পায়খানার ক্ষেত্রে কেউ যদি শুধুমাত্র ঢিলা ব্যবহার করতে চায় তবে সেটাও জায়েয রয়েছে।কেননা এর উপর সাহাবাগণের ইজমা রয়েছে। ঢিলা এবং পানিকে একসাথে ব্যবহার করা,এ নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। কেউ কেউ বিদআত বলেন।এবং কেউ কেউ উত্তম বলেন। ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যায় বর্ণিত রয়েছে, মাঠির ঢিলা ব্যবহার করে অতপর পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা অর্জন করা উত্তম।তবে শুধুমাত্র ঢিলা বা টিস্যু দ্বারাও পবিত্রতা অর্জন করা যাবে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৫/২৯১) 
,
বিস্তারিত জানুনঃ 
,


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 59 views
...