আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
72 views
in পবিত্রতা (Purity) by (39 points)
আসসালামুয়ালাইকুম হুজুর

আমি একজন মেয়ে।আমি পাক নাপাক নিয়ে শুচিবায়ী স্বভাবের হুজুর,ধোঁয়ার পরও সন্দেহ থেকেই যায় পেশাব হয়ত ধোঁয়া হয়নি আর নাপাক-ই রয়ে গেছি। কারণবশত যদি কমোডে প্রস্রাব করা হয় তাহলে তো নিজেকে নাপাক ধরেই নামাজ পরি। কারণ যখন পানি নেয়ার জন্য স্প্রে করা হয় তখন পানি অবশ্যই ছিটে এসে হাতে লাগে বা শরীরের আশেপাশে লাগে আর কমোড থেকেও পেশাব মিশ্রিত পানি উঠে আসে, যা আমাকে খুবই মানসিক যন্ত্রণা দেয় আমি পরে পুরো কোমর থেকে পা পর্যন্ত ধুতেই থাকি তাও নাপাক লাগে নিজেকে কারন প্রাইভেট পার্ট হয়ত ধোঁয়া হয়নি বা সেই পর্যন্ত পানি পৌঁছায় নি, পৌঁছানোর চেষ্টা করলেও যেনো নাপাকি আরো ছড়িয়ে যাচ্ছে!

এমতাবস্থায় হুজুর এরকম পরিস্থিতিতে যখন কমোড ব্যবহার করতে হয় তখন নিজেকে পাক রাখবো কিভাবে মনের সন্দেহ ছাড়া ্? কমোড ব্যবহার করে কি আদৌ পাক হওয়া যায়? আমার কাছে মনে হয় নাপাকি ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায় শরীরে আর নিজেকে নাপাক-ই লাগে! আর এই অবস্থাতে যদি নামাজ আদায় করি সেই নামাজ কি আদৌ হবে? কারণ মনে হয় না ঠিক মতো পাক হওয়া যায় কমোডে!

1 Answer

0 votes
by (677,120 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


https://www.ifatwa.info/12359 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছেঃ- 
عن عائشة قالت : من حدثكم أن النبي صلى الله عليه و سلم كان يبول قائما فلا تصدقوه ما كان يبول إلا قاعدا (سنن الترمذى، ابواب الطهارة، باب [ ما جاء في ] النهي عن البول قاتما، رقم الحديث-12
অনুবাদ-হযরত আয়শা রাঃ বলেন-তোমাদের মাঝে যারা বলে যে রাসূল সাঃ দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করেছেন, তাদের কথা বিশ্বাস করো না। কেননা রাসূল সাঃ কেবল বসেই প্রস্রাব করেছেন। (সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-১২, মুজামে ইবনে আসাকীর, হাদীস নং-৩৬৬}

ফতাওয়ায় হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে,
ويكره أن يبول قائما أو مضطجعا أو متجردا عن ثوبه من غير عذر فإن كان بعذر فلا بأس به (الفتاوى الهندية-1/50، رد المحتار-1/31
দাড়িয়ে বা শুয়ে বা সম্পূর্ণ কাপড় খুলে প্রস্রাব করা মাকরুহ। তবে যদি কোনো উযর থাকে, তাহলে জায়েয রয়েছে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫০)

ওজরের কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ। যেমন বসলে গায়ে ময়লা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বা পানির ছিটা গায়ে লাগার সম্ভাবনা থাকে, এরকম কারণে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা জায়েজ।
তবে গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া এমনিতে দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করা মাকরুহে তাহরীমী।বাথরুমে হাই কমোড বানানো তাদের জন্য জায়েজ যাদের বসে প্রস্রাব পায়খানা কষ্টকর। এমনিতে ফ্যাশন স্বরূপ এমনটি করা মাকরুহে তাহরীমী। প্রয়োজন ছাড়া হাই কমোড বানানো উচিত নয়। (জাদিদ ফিক্বহী মাসায়েল-১/৫৭}যদি কোথাও হাই কমোড ব্যতীত নিচু কোন বাথরুম না থাকে, তাহলে হাই কমোডে ইস্তিঞ্জা করা যাবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হাই কমোডে বসে ইস্তেঞ্জা করতে গিয়ে অনেক সময় কমোডের ভেতর জমে থাকা পানি ছিটে উপরের দিকে আসে। এ পানি অপবিত্র। সুতরাং শরীর বা কাপড়ের যে অংশে ঐ নাপাক পানি  লাগবে, সেই অংশকে ধৌত করতে হবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
প্রশ্নে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
যখন পানি নেয়ার জন্য স্প্রে করা হয় তখন পানি অবশ্যই ছিটে এসে হাতে লাগে বা শরীরের আশেপাশে লাগে আর কমোড থেকেও পেশাব মিশ্রিত পানি উঠে আসে।

এসব পানিই নাপাক। 

এক্ষেত্রে শরীর বা কাপড়ের যেখানেই উক্ত পানি বা পানির ছিটা লাগবে,সেই স্থান পা করে নিতে হবে। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
আপনি যেহেতু ওয়াসওয়াসার রুগী, তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হাই কমোড ব্যবহার না করার পরামর্শ থাকবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 116 views
...