ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আত্মীয়রা হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিলে সেই টাকা সদকাহ করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করতে পারবেন।এবং পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।
(২)
এখানে ঐ সময়ের কথা বলা হয়েছে, যখন হক বাতিলের পরিচয় অসম্ভব হয়ে যাবে। তখন সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করাতে তেমন কোনো ফায়দা হবে না।
(৩)
কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি জামাতের নামাজের সময় ক্লাস করায় ও জামাতের নামাজ না পেয়ে একাকী নামাজ পড়ে রেগুলার। ঐরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া জায়েয হবে না । কেননা জামাতের সাথে নামায পড়া আপনার উপর ওয়াজিব।এবং প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্টান বদলানোও আপনার উপর ওয়াজিব।