আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
132 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (2 points)
edited by

১। বই লিখতে গেলে বিভিন্ন টপিকের সংগা লিখতে হয়। সেক্ষেত্রে হয়তো কোন একজন লেখকের বই থেকে লিখতে হয়। এছাড়াও, বিগত বছরের প্রশ্নগুলো তো আমার হাতে নেই। এক্ষেত্রে কি অন্য লেখকের বই থেকে বোর্ড প্রশ্নগুলো নেওয়া যাবে?

২। আমি যদি অন্যান্য লেখকদের বই থেকে ধারনা করে লিখে বই লিখি তাহলে কি লেখকের হক নষ্ট হবে?

৩। আমি যদি বিদেশী লেখক কিংবা আর্টিকেল অনুবাদ করে লিখি তাহলে কি অন্যের হক নস্ট হবে?

৪। আমি ইতোমধ্যে একটি বই প্রায় লিখে ফেলেছি। বইটি লিখতে গিয়ে ৩-৪ জন লেখকের বইয়ের সহযোগীতা নিয়েছি। আমি কি এখন বইটি লেখা বন্ধ করে দিবো?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

শরীয়তের বিধান হলো অন্যের লেখা লেখক/প্রকাশকের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ বইয়ে যুক্ত করা যাবে।

যদি অনুমতি না নেওয়া হয়,তাহলে অবশ্যই লেখাটিতে মূল লেখকের নাম যুক্ত করতে হবে।  
 
কাহারো লেখা বিনা অনুমতিতে কপি করার পর লেখাটিতে তার নাম যুক্ত না করে দিলে,এটা নাজায়েজ হবে।
এটি ধোকার অন্তর্ভুক্ত হবে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
 
(০১)
এক্ষেত্রে কোনো বইয়ের সাহায্য নিয়ে সংজ্ঞা লেখার পর উদ্ধৃতি উল্লেখ করতে হবে। 
অন্য লেখকের বই থেকে বোর্ড প্রশ্নগুলো নেওয়া যাবে।

(০২)
অন্যান্য লেখকদের বই থেকে ধারনা করে বই লেখা যাবে।
তবে লেখার ক্ষেত্রে যেনো মিল না হয়,সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

(০৩)
লেখক/প্রকাশকের অনুমতি নিতে হবে।
নতুবা জায়েজ হবেনা।
,
(০৪)
উক্ত বইগুলোর রেফারেন্স যুক্ত করে দিতে হবে।
তথা প্রত্যেক লেখার শেষে সেই যেই বই গুলো থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে,সেগুলোর নাম যুক্ত করে দিতে হবে।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...