আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (13 points)
edited by
১।আমার কাছের রিলেটিভ ব্যাংকার, তার সম্পূর্ণ টাকা টাই হারাম। তিনি কোনো হাদিয়া দিলে বা জামা কাপড়, চক্লেট, খাওয়া ইত্যাদি গ্রহণ তো জায়েজ নেই। কিন্তু যদি সেইগুলো গ্রহণ করে সেগুলোর সমপরিমাণ টাকা সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সাদকা করে দেই, তাইলে কি সেই গুলো ব্যবহার জায়েজ আছে? না হলে তিনি মন খারাপ করবেন। আপন মামা.

২।  https://drive.google.com/file/d/1uvqAP40nT3FAiNle6sDR5Bn9i56IlWEg/view?usp=drivesdk

https://drive.google.com/file/d/1uvhAiM2C5uSSTabsPjmwoDdZmE-iPHS8/view?usp=drivesdk

https://drive.google.com/file/d/1uvq_yAyCsi1V56qmIBuZEGW96UpTuYYH/view?usp=drivesdk

এখানে ৩ টা লিংক এ ৩ টা ছবি দিছি। এখানে ফিত্নার সময়ের প্রথম হুকুম থেকে পড়ুন। যেখানে তাক্বি উসমানী বলেছেন সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের আদেশ না দিতে। নিশ্চই ই এর সঠিক ব্যাক্ষা আছে।ওনার কথা ও ঠিক। সঠিক ব্যাক্ষা চাই।

৩। কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি জামাতের নামাজের সময় ক্লাস করায় ও জামাতের নামাজ না পেয়ে একাকী নামাজ পড়ে রেগুলার।  তাইলে কি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়া জায়েজ আছে? বা কোনো হারাম হচ্ছে? অথবা নামাজের সময় ই চলে গেলো রেগুলার কাজা পড়া লাগছে তো এখানে কোনোভাবে হারাম হবে? শিক্ষক কে বুঝালেও শনেনা
by (13 points)
edited by
.hjioo9990jioo

1 Answer

0 votes
by (589,680 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হারাম টাকার বিধান হল, তা প্রাথমিকভাবে মূল মালিকের কাছে ফেরত দেয়া।নতুবাজনকল্যাণ মূলক কাজে ব্যবহার করবেন(জাদীদ ফেকহি মাসাঈল-৪/৫২) কিংবা সওয়াবের নিয়ত ছাড়া গরীবদের মাঝে সদকা করে দেয়া।
من ملك بملك خبيث ولم يمكنه الرد الى المالك فسبيله التصدق على الفقراء
যদি কারো নিকট কোনো হারাম মাল থাকে,তাহলে সে ঐ মালকে তার মালিকের নিকট ফিরিয়ে দেবে।যদি ফিরিয়ে দেয়া সম্ভব না হয়,তাহলে গরীবদেরকে সদকাহ করে দেবে।(মা'রিফুস-সুনান১/৩৪)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আত্মীয়রা হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিলে সেই টাকা সদকাহ করার উদ্দেশ্যে গ্রহণ করতে পারবেন।এবং পরবর্তীতে সদকাহ করে দিবেন।

(২)
এখানে ঐ সময়ের কথা বলা হয়েছে, যখন হক বাতিলের পরিচয় অসম্ভব হয়ে যাবে। তখন সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ করাতে তেমন কোনো ফায়দা হবে না।

(৩)
কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যদি জামাতের নামাজের সময় ক্লাস করায় ও জামাতের নামাজ না পেয়ে একাকী নামাজ পড়ে রেগুলার।  ঐরকম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া জায়েয হবে না । কেননা জামাতের সাথে নামায পড়া আপনার উপর ওয়াজিব।এবং প্রয়োজনে শিক্ষা প্রতিষ্টান বদলানোও আপনার উপর ওয়াজিব। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,680 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...