আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
225 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (13 points)
১) নবিজি স: ঠিক কখন খাবার গ্রহন করতেন?
শুনেছি যে নবিজি স: দুপুরের খাবার যোহরের নামাযের আগে আর রাতের খাবার মাগরিবের পর পরই খেতেন।
৩ বেলা খাবার গ্রহনের সঠিক সময়টা জানতে চাচ্ছি।
২) নবিজি স: কি কি খাবার খাওয়ার জন্য বিশেষ পরামর্শ প্রদান করেছেন? যে সকল খাবার সম্পর্কে জানতে চায়।
সে খাবারগুলোর  নাম, খাবার পদ্ধতি খাবার সময়  যদি জানাতেন তবে খুব উপকৃত হতাম।
৩)  নাবিজ কি খালি পেটে খেতে হয়? খেজুরের নাবিজ বা আঙ্গুরের নাবিস তৈরি করে খাবার পর ভিজানো খেজুর আর আঙ্গুর   কি করব? ফেলে দেব নাকি খেয়ে নেব?  যদি খেয়ে নেওয়া যায় তবে  ছেকে নাবিজ তৈরি না করে একবারে সবটুকু খেয়ে নিলেই তো হবে নাকি?

৪)  হাদিসে আছে যে,
মিকদাম ইবন মাদিকারাব (রা.) বলেন, ‘আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, পেটের চেয়ে মন্দ কোনো পাত্র মানুষ ভরাট করে না। পিঠের দাঁড়া সোজা রাখার মতো কয়েক লোকমা খাবারই আদম সন্তানের জন্য যথেষ্ট।

আর বেশি খাবার ছাড়া যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাবারের জন্য, এক-তৃতীয়াংশ পানির জন্য আর বাকি তৃতীয়াংশ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রাখবে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৮৩)

পিঠের দানা সোজা বলতে এখানে কি বলা হয়েছে?

  => আমি  ২৫০ গ্রাম দুধে ২/৩ চামচ  তালবিনা মিশিয়ে  ১ চামচ  মধু এড করে দুই ভাগ করি। একভাগের সাথে ৫ টা খেজুর এড করে সকালে খায় আর একভাগের সাথে ৫ টা খেজুর নিয়ে রাতে খায়। আর দুপুরে ভাত খায়। যদিও দুপুরে খাওয়ার সময় বেশি খাওয়া হয়ে যায়। এটা কি আমার জন্য যথেষ্ট হবে?

খাবার সময় পেটের একভাগ যে খালি রাখব কিন্তু
পেটের একভাগ খালি বুজবো কিভাবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এমনকি তখনকার আরব বাসীদের সাধারণ নিয়ম ছিল যে,তারা ২ বার খাবার খেতেন, জোহরের পূর্বে এবং আসরের পর খাবার খেতেন। 

দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে প্রকাশিত একটি ফাতাওয়ায় বলা হয় যে,
Fatwa ID: 800-767/N=10/1436-U 
 عربوں کے یہاں ناشتہ کا رواج نہیں تھا، ان کے یہاں صرف دو کھانے تھے؛ ایک غدا یعنی: دوپہر سے کچھ پہلے کا کھانا اور دوسرے عشا یعنی: شام کا کھانا جو عام طور پر عصر کے بعد کھالیا جاتا تھا۔

(২)
নবীজি সাঃ আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণের পরামর্শ প্রায় দিতেন।তাছাড়া শুধুমাত্র গোশত ভক্ষণ না করে বরং গোশতের পাশাপাশি দুধ পান করারও পরামর্শ দিতেন।কেননা বেশী গোশত ভক্ষণ শরীরের মধ্যে টান টান ভাব নিয়ে আসে। এজন্য ইবনুল কাইয়্যিম রাহ কর্তৃক লিখিত "তিব্বে নববী" কিতাবখানা সংগ্রহে রাখতে পারেন।

(৩)
নাবিজ যে কোনো সময় খেতে পারবেন। খেজুর আঙ্গুর সহ পান করে নিতে পারবেন।

(৪)
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
وفي الفتاوى الهندية : الأكل على مراتب :
فرض : وهو ما يندفع به الهلاك ، فإن ترك الأكل والشرب حتى هلك فقد عصى .ومأجور عليه ، وهو ما زاد عليه ليتمكن من الصلاة قائما ، ويسهل عليه الصوم .ومباح ، وهو ما زاد على ذلك إلى الشبع لتزداد قوة البدن ولا أجر فيه ولا وزر ويحاسب عليه حسابا يسيرا إن كان من حل .وحرام ، وهو الأكل فوق الشبع إلا إذا قصد به التقوي على صوم الغد ، أو لئلا يستحي الضيف فلا بأس بأكله فوق الشبع .
খাদ্য গ্রহণ কয়েকভাবে হতে পারে।
(১) ফরয: 
ঐ পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা ফরয, যে পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করলে শারিরিক ক্ষতি থেকে মানুষ রক্ষা পাবে। যদি কেউ এই পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ করা থেকেও বিরত থাকে , যেজন্য সে ধংসের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যায়, তাহলে সে যেন নাফরমানিতে লিপ্ত হল।তবে যদি কেউ প্রফুল্লতার সাথে ইবাদত তথা নামায রোযা পালন করার জন্য এত্থেকেও বেশী খাদ্য গ্রহণ করে, তাহলে সে এজন্য সওয়াব পাবে।

(২) মুবাহ:
উপরে বর্ণিত খাদ্যর চেয়ে অতিরিক্ত এমন খাদ্য যা পরিতৃপ্তির কাছাকাছি থাকে, এ পর্যায়ের খাদ্য গ্রহণ করা মুবাহ। এ প্রকারের খাদ্যে কোনো লাভও নাই এবং লোকশানও নাই। হালাল থেকে পরিতৃপ্তি পর্যন্ত খাদ্য গ্রহণ করলে হালকা পাতলা হিসেব নেওয়া হতে পারে।

(৩) হারাম:
পরিতৃপ্তিরও অতিরিক্ত খাদ্য গ্রহণ করা। তবে যদি আগামি দিনের রোযা রাখার ইচ্ছা হয়, অথবা মেহমানের সাথে খাদ্য গ্রহণ করতে যেয়ে মেহমানকে খাদ্য গ্রহণের সুযোগ দিতে গিয়ে পরিতৃপ্তির চেয়েও বেশী খাদ্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে তা হারাম হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3799


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
খাবার গ্রহণের পর আরো খাবারের চাহিদা থাকাবস্থায় খাবারকে পরিত্যাগ করার মানেই হল, পেঠের এক ভাগকে খালি রাখা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...