আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
62 views
in সালাত(Prayer) by (22 points)
ক) এক লোকের বাসা ৬ তলার উপরে। বাসায় লিফট নাই। এখন তার জন্য পাঁচ ওয়াক্ত জামাতে নামাজ আদায় করা কি ওয়াজিব বা সুন্নত মুয়াক্কাদা? সে প্রাইভেট জব করে, সেখানেও কাজের প্রেসার । তো সব মিলিয়ে শরীরে না করালে কি গুনাহ হবে? বাসা থেকে মসজিদে দূরত্ব মোটামুটি।
খ) i) মেয়েদের বাইরে যেয়ে পড়াশোনা ও জব করা কি কোন বিচ্ছিন্ন আলেম এর মতই জায়েজ? একজন আমাকে বলল জয়নাব বিনতে জাহশ রা. নাকি নিজে কিছু করে স্বাবলম্বী ছিলেন। সেটা তিনি কিভাবে করতেন।
ii) আর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা কি ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এর মেয়েদের মসজিদে না যে ঘরে নামাজ পড়ার নিয়ম চালু করা কে সাপোর্ট করেছিলেন / মেনে নিয়েছিলেন? আমি শুনেছি ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু এই নিয়ম চালু করার পর আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা এর কাছে লোকজন গিয়ে যখন প্রশ্ন করল তখন তিনি বলেছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থাকলেও এই নিয়ম করতেন যে, মেয়েরা ঘরেই নামাজ পড়বে।
গ) কোন মাযহাবে কি মেয়েদের মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়াকে উৎসাহিত করা হয়? আহলে হাদিসের অনেক মেয়েকে দেখি তারা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে। আর মক্কাতেও হজের সময়ে মেয়েরা ছেলেদের সাথে নামাজ পড়ে। এমন কেন?
ঘ) কাপড়ে তো আমরা আতর দেই। এখন কেউ যদি শরীরে আতর দেয়, তা কি শরীয়ত সম্মত?
ঙ) জুমার দ্বিতীয় আজান এর পরে মোনাজাত করা যাবে নাকি যাবে না। দুই পক্ষেই মতামত বা আমল প্রচলিত দেখতে পাই, কোনটা ঠিক
চ) ৭ জমিনে নাকি এই দুনিয়ার মত ৭ জন ঈসা, ৭ জন আদম, ৭ জন সব নবী আছে। এইটা কি আসলেও কেউ বলে? নাকি লোকমুখে প্রচলিত ভুল কথা?

ছ) মুফতি কাজী ইব্রাহিম ও তার বাবা নাকি যথাক্রমে ৩৬ ও ২৭ দিনে কুরআন হাফেয হয়েছে। আসলেই কি?

জ) চুল রাখার নিয়ম কি। কেউ যদি একদম ছোট করে ফেলে এক সাইজে, অথবা বেলমাথা করে ফেলে, এইসব কি সুন্নাহ নিয়ম? সুন্নাহ নিয়ম না হলে হজের মধ্যে তো এটি করা লাগে।   তো সুন্নাহ নিয়ম এর বাইরের জিনিস হজে কেন করা লাগে ইহরাম এর সময়

ঝ) সগিরা গুনাহ কি মাকরুহে তাহরিমি নাকি তানযীহী

ঞ) জুমার প্রথম আজান বাজার থেকে দেওয়া নিয়ম। তো আমরা যে মসজিদ থেকে দেই , এটা বিদআত কেন হবে না? বুঝিয়ে বললে ভালো হয়।

1 Answer

0 votes
by (676,960 points)
بسم الله الرحمن الرحيم

আবূ হারূন আল-আবদী (রহঃ) থেকে বর্ণিত।

عَنْ أَبِي هَارُونَ الْعَبْدِيِّ، قَالَ كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا أَبَا سَعِيدٍ الْخُدْرِيَّ قَالَ مَرْحَبًا بِوَصِيَّةِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ . إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ لَنَا " إِنَّ النَّاسَ لَكُمْ تَبَعٌ وَإِنَّهُمْ سَيَأْتُونَكُمْ مِنْ أَقْطَارِ الأَرْضِ يَتَفَقَّهُونَ فِي الدِّينِ فَإِذَا جَاءُوكُمْ فَاسْتَوْصُوا بِهِمْ خَيْرًا "

 তিনি বলেন, আমরা আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) -এর কাছে এলেই তিনি বলতেনঃ তোমাদের জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসিয়ত অনুযায়ী স্বাগতম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের বলতেনঃ লোকেরা অবশ্যই তোমাদের অনুগামী। অচিরেই পৃথিবীর দিকদিগন্ত থেকে লোকেরা তোমাদের নিকট দ্বীনি ইলম অর্জনের জন্য আসবে। তারা যখন তোমাদের নিকট আসবে,তখন তোমরা তাদেরকে ভালো ও উত্তম উপদেশ দিবে।(সুনানু তিরমিযি-২৪৯,তিরমিযী ২৬৫০-৫১, মুওয়াত্ত্বা মালিক ২৪৭।)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই!
অতীব জরুরী ও সাধারণ মাস'আলা মাসাঈল আয়ত্বে না থাকার কারণে দৈনন্দিন জীবনে দ্বীন-ইসলাম পালন করতে, যে সমস্ত দ্বীনি ভাই-বোন থমকে দাড়ান,এবং যাদের দ্বীনি ইলম অর্জনের কাছাকাছি কোনো নির্ভরযোগ্য মাধ্যম নেই, মূলত তাদেরকে দিকনির্দেশনা দিতেই আমাদের এ ক্ষুদ্র প্রয়াস .....

মুহতারাম/মুহতারামাহ!
দ্বীনের পরিধি অনেক ব্যাপক, সকল বিষয়ে আলোচনা করা বা দিকনির্দেশনা দেওয়া স্বল্প পরিসরের এই ভার্চুয়ালি মাধ্যম দ্বারা আমাদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে। চেষ্টা করলেও প্রশ্নকারীর পিপাসা মিটানো সম্ভব হবে না। প্রত্যেক বিষয়ে আমরা শুধুমাত্র সামান্য আলোকপাত করে থাকি।

উপরোক্ত  প্রশ্নগুলোর উত্তরের জন্য আপনার এলাকার সংশ্লিষ্ট উলামায় কেরামের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা আপনার জন্য কল্যাণকর হবে বলেই আমাদের ধারণা।

তাছাড়া ইলম অর্জনের জন্য সফর করা অত্যান্ত  জরুরী। এবং কষ্ট করে ইলম অর্জন করাই আমাদের  আকাবির আসলাফদের রীতি ও নীতি। এদিকেই কুরআনের এই আয়াত ইঙ্গিত দিচ্ছে,
 ۚفَلَوْلَا نَفَرَ مِن كُلِّ فِرْقَةٍ مِّنْهُمْ طَائِفَةٌ لِّيَتَفَقَّهُوا فِي الدِّينِ وَلِيُنذِرُوا قَوْمَهُمْ إِذَا رَجَعُوا إِلَيْهِمْ لَعَلَّهُمْ يَحْذَرُونَ
তাদের প্রত্যেক দলের একটি অংশ কেন বের হলো না, যাতে দ্বীনের জ্ঞান লাভ করে এবং সংবাদ দান করে স্ব-জাতিকে, যখন তারা তাদের কাছে প্রত্যাবর্তন করবে, যেন তারা বাঁচতে পারে।(সূরা তাওবাহ-১২২)

সুতরাং আপনাকে বলবো, আপনি স্ব-শরীরে কোনো দারুল ইফতায় যোগাযোগ করবেন।
প্রশ্ন করার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।আল্লাহ তা'আলা আপনার ইলম অর্জনের স্পৃহাকে আরোও বাড়িয়ে দিক, আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 60 views
...