আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (20 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু।

মাহরাম ব্যাতিত ইসলামে নারীদের দূরে থাকা, ঘরের বাহিরে থাকা হারাম আমরা জানি। এক্ষেত্রে আমাদের মাহরাম যারা দায়িত্বজ্ঞানহীন, নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে উদাসীন তারা নিজেদের স্ত্রীকে, মেয়েকে দিয়ে বাজার করায়, বাহিরের সব কাজ করায় এবং নিজে ঘরে বসে থাকে এক্ষেত্রে আমাদের  কি করনীয়? এবং আমরা কিভাবে দ্বীন শিখবো? যদি আমাদের নিকটবর্তী ভালো কোনো মহিলা মাদ্রাসা না থাকে।তবে আমরা কি মাহরাম ছাড়া আবাসিক মহিলা মাদ্রাসায় থেকে দ্বীনের শিক্ষা অর্জন করতে পারবো? কেননা পরিবারের মাহরামরা আমাদেরকে জেনারেল লাইনে মেডিকেল হোস্টেলে রেখে পড়াতে রাজি হোন কিংবা ভার্সিটিতেও হলে রাখতে নিষেধাজ্ঞা নেই কিন্তু আমরা যদি নিয়ত করি দ্বীন শিখবো এবং এরপর দ্বীনের জন্য মেহনত করবো সেক্ষেত্রে তো দ্বীন শিখতে হলে স্ট্রাগলও করতে হবে যদি নিজ বাসার আশেপাশে ভালো কোনো মহিলা মাদ্রাসা না পাওয়া যায় এবং একজন মেয়ে নিজ জেলা থেকে দূরে  থেকে মহিলা আবাসাকি মাদ্রাসায় পড়াশোনার জন্য থাকেন এবং দ্বীন অর্জন করেন, ইসলামি শরীয়াহ এক্ষেত্রে আমাদের কি বলে? এই পন্থায় দ্বীন অর্জন করা কি একজন মেয়ের জন্য হালাল নাকি হারাম?

1 Answer

0 votes
by (651,540 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হ্যা,স্থান-কাল-পাত্র বেধে সময়ের  প্রয়োজনে ফুকাহায়ে কিরামগন সহজতার স্বার্থে আসল হুকুম থেকে সরে এসে তার বিপরীত সাময়িক হুকুম মাঝেমধ্যে প্রয়োগ করে থাকেন।একেই পরিভাষায় জরুরত বলে। জরুরত বা সময়ের চাহিদায় অনেক বিধিত সিদ্বান্তকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক পরিবর্তন করে দেয়।
এরকম কিছু ফিকহী মূলনীতি 'উসূলে ফিকহ' এর কিতাবাদিতে সবিস্তারে বর্ণিত আছে,তন্মধ্যে কিছু মূলনীতি হল।
 যথাক্রমেঃ-
 ﺍﻟﻀﺮﻭﺭﺍﺕ ﺗﺒﻴﺢ ﺍﻟﻤﺤﻈﻮﺭﺍﺕ
(প্রয়োজন অনেক নিষিদ্ধ জিনিষকে বৈধ করে দেয়)
এটা একাটা নীতিসিদ্ধ মৌলিক ফিকহী ক্বায়দা/ধারা যা কোরআন এবং হাদিসের থেকে চয়ন করা হয়েছে।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বাসায় অবস্থান করলে যদি হরহামেশাই বাজার সদাই করতে হয়। বেপর্দা চলাফেরা ও বেপর্দাভাবে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পরিবার ফোর্স করতে থাকে, এবং আশপাশে কোনো আবাসিক মহিলা মাদরাসা না থাকে, তাহলে রাস্তা নিরাপদ হওয়ার শর্তে এবং নেককার মহিলাদের সাথে সফর করার শর্তে দূরের জেলাতে আবাসিক মাদরাসায় পড়া যাবে। যদি রাস্তা নিরাপদ না হয় কিংবা মাহরাম পুরুষ বা নেককার নারীদেরকে সফরসঙ্গী হিসেবে পাওয়া না যায়, তাহলে কিন্তু দূরের কোথাও একাকি ভ্রমণ করা জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (651,540 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...