আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (25 points)
edited by
বাবা(১২০০০) ও মা (৯০০০)  টাকা হালাল। আর অতিরিক্ত ৩০০০-৩৫০০ টাকাবাবার উর্পার্জন থেকে হারাম হিসেবে আসে। মা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসক।মায়ের টাকায় মধ্যে হারাম আছে কী না জানি না।মা বলেছে নেই।তবুও সন্দেহ আছে।তাদের টাকার উপর আমি,ছোট বোন,দাদা,দাদি চলে।এখন আমি সনাক্ত করতে পারি না কোনটা হারাম।এটি ব্যবহারের বিধান।সন্তানের হক তথা সুন্দর নাম রাখতে গিয়ে বাবা মা ব্যর্থ।তাদের বলছি নাম পাল্টিয়ে দিতে তারা বলে দিবে না।এতে কী সন্তান গুনাহগার হবে।্যদি নামটি হয় হারাম নাম। যেমন গোলাম মোর্শেদ পান্থ।তারা বলেছে বড় হলে নিজে পাল্টিয়ে নিতে।

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সা. বলেন:

«إِنَّ اللهَ طَيِّبٌ لَا يَقْبَلُ إِلَّا طَيِّبًا، وَإِنَّ اللهَ أَمَرَ الْمُؤْمِنِينَ بِمَا أَمَرَ بِهِ الْمُرْسَلِينَ، فَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الرُّسُلُ كُلُوا مِنَ الطَّيِّبَاتِ وَاعْمَلُوا صَالِحًا، إِنِّي بِمَا تَعْمَلُونَ عَلِيمٌ) [المؤمنون: 51] وَقَالَ: (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُلُوا مِنْ طَيِّبَاتِ مَا رَزَقْنَاكُمْ) [البقرة: 172] ثُمَّ ذَكَرَ الرَّجُلَ يُطِيلُ السَّفَرَ أَشْعَثَ أَغْبَرَ، يَمُدُّ يَدَيْهِ إِلَى السَّمَاءِ، يَا رَبِّ، يَا رَبِّ، وَمَطْعَمُهُ حَرَامٌ، وَمَشْرَبُهُ حَرَامٌ، وَمَلْبَسُهُ حَرَامٌ، وَغُذِيَ بِالْحَرَامِ، فَأَنَّى يُسْتَجَابُ لِذَلِكَ؟»

‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআল পবিত্র। তিনি শুধু পবিত্র বস্ত্তই গ্রহণ করেন। তিনি মুমিনদের সেই আদেশই দিয়েছেন, যে আদেশ তিনি দিয়েছিলেন রাসূলগণের।’’ আল্লাহ তা’আলা বলেন : ‘‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পবিত্র বস্ত্ত-সামগ্রী আহার কর, যেগুলো আমি তোমাদেরকে রুযী হিসেবে দান করেছি।’’ অতঃপর রাসূল সা. এমন এক ব্যক্তির কথা উল্লেখ করলেন, যে দীর্ঘ সফরে থাকা অবস্থায় এলোমেলো চুল ও ধূলি-ধুসরিত ক্লান্ত-শ্রান্ত বদনে আকাশের দিকে আল্লাহর দরবারে হাত তুলে প্রার্থনা করে ডাকছেঃ হে আমার প্রভূ! হে আমার প্রভূ! অথচ সে যা খায় তা হারাম, যা পান করে তা হারাম, যা পরিধান করে তা হারাম এবং হারামের দ্বারা সে পুষ্টি অর্জন করে। তার প্রার্থনা কিভাবে কবুল হবে?’
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং- ১০১৫)

ইবন আব্বাস রা.বর্ণিত হাদীসে রাসূল সা. বলেছেনঃ
«كل جسد نبت من سحت فالنار أولى به »
‘‘আর যে দেহ হারাম খাদ্য দ্বারা গড়ে উঠে তার জন্য দোযখের আগুনই উত্তম।’’
(তাবারানী)

কাব ইবন উজরাহ রা. রাসূলে কারীম সা. থেকে বর্ণনা করেন:
«لَا يَدْخُلُ الْجَنَّةَ جَسَدٌ غُذِّيَ بِحَرَامٍ»
‘‘যে শরীর হারাম পেয়ে হরষ্ট পুষ্ট হয়েছে, তা জান্নাতে যাবে না।’’
 মুসনাদ আবী ইয়া‘লা, খ.১ পৃ. ৮৪। 

فى الفتاوى الهندية- أهدى إلى رجل شيئا أو أضافه إن كان غالب ماله من الحلال فلا بأس إلا أن يعلم بأنه حرام ، فإن كان الغالب هو الحرام ينبغي أن لا يقبل الهدية ، ولا يأكل الطعام إلا أن يخبره بأنه حلال ورثته أو استقرضته من رجل ، كذا في الينابيع (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، كتاب الكراهية-5/342، رد المحتار-6/247)

যার সারমর্ম হলো যদি জানা যায় যে সেটার অধিকাংশই  হারাম,তাহলে সেটা গ্রহন করা যাবেনা।

আর যদি হালাল সম্পদ বেশি হয়,হারাম কম থাকে,তাহলে তা গ্রহন করা যাবে।

হারাম মাল থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন বিষয়ের ক্ষেত্রে শরয়ী মূলনীতি হল-যদি তার ইনকাম হালাল ও হারাম মালের সাথে মিশ্রিত হয়, আর হারাম মাল বেশি হয়, তাহলে তা থেকে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ নয়। তবে যদি হারাম মাল কম হয় তাহলে দাওয়াত/হাদীয়া গ্রহন জায়েজ হবে।

ولا يجوز قبول هدية أمراء الجور لأن الغالب في مالهم الحرمة إلا إذا علم أن أكثر ماله حلال بأن كان صاحب تجارة أو زرع فلا بأس به لأن أموال الناس لا تخلو عن قليل حرام فالمعتبر الغالب (الفتاوى الهندية، كتاب الكراهية، الثاني عشر في الهدايا والضيافات-5/342)

অনুবাদ-জালেম বাদশাহর হাদিয়া গ্রহণ জায়েজ নয়। কেননা তার অধিকাংশ মাল হয় হারাম। তবে যদি জানা যায় যে, তার অধিকাংশ মাল হালাল, এ হিসেবে যে সে ব্যাবসায়ী বা জমিদার, তাহলে তার থেকে হাদিয়া গ্রহণ করাতে সমস্যা নেই। কেননা সাধারণত মানুষের মাল অল্প হারাম থেকে মুক্ত নয়। তাই এতে আধিক্যের বিষয়টি বিবেচিত হবে। { ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া-৫/৩৪২}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ইনকামে যেহেতু হালাল অংশই অনেক বেশি,শনাক্ত করা যাচ্ছেনা যে কোনটা হালাল, কোনটা হারাম, তাই এক্ষেত্রে এটি আপনাদের জন্য ব্যবহার করা যাবে।
,
তবে অতিরিক্ত ৩০০০-৩৫০০ টাকা এটি আপনার বাবা মার জন্য ছওয়াবের নিয়ত ছাড়া দান করে দেওয়া আবশ্যক। 
নতুবা কিয়ামতের ময়দানে কঠিন জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হবে।
,
আরো জানুনঃ 
,
★নামটি যদি হারাম হয়,তাহলে দ্রুত সেটি পরিবর্তন করা উচিত। 
এর জন্য আকীকার প্রয়োজনীয়তা নেই।
শুধু ডাকাডাকি আর আত্মীয় প্রতিবেশী দের মাঝে জানালেই হবে।
,
যদি কোনোভাবে নাম তার বাবা মা পরিবর্তন না করে,তাহলে এক্ষেতেএ সন্তান গুনাহগার হবেনা।
,
তবে এই ছোট সন্তান সাবালক হলে সে নিজেই তার নাম পরিবর্তন করতে হবে।
নতুবা তখন সে গুনাহগার হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (25 points)
reshown by
সন্তান বালেগ ১৫ বছর।কিন্তু উপার্জন ক্ষম সাধারণত ২৩-২৪ বছরে হয়।এই কয় দিন কী করবে সে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...