আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
120 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (25 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
.
১) আমি cse তে পড়ি। তো সেই হিসেবে প্রোগ্রামিং করি। এখন প্রোগ্রামিং এর জন্য বিভিন্ন বিষয় শিখতে হয়। শিখার জন্য YouTube এ  টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। তবে ওইরকম ভাল পাওয়া যায়না।
অনেকে আবার কোর্স করায়। ৩-৪ হাজারের মত করে নেয়। মাঝে মাঝে এসব পেইড কোর্স লিক হয়। এমন একটা কোর্স লিক হয়েছে যেটার ভিডিও আমার কাছে আছে, তবে সেই কোর্সে আরও অনেক কিছু যেমন - প্রতি টপিকের উপর নোট, সলভ ক্লাস ইত্যাদি এগুলো নেই।

এখন আমার কি এই ভিডিও দেখে শিখলে কোন সমস্যা হবে?
.
২) সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মেলানোর মাঝে ৩ তসবিহর বেশি সময় নিয়ে অন্য সূরা মিলালে নাকি নামাজ মাকরুহ বা বাতিল হয় (ঠিক মনে করতে পারছিনা)।
এই বিষয়টা নিয়ে কি কোন মতভেদ আছে? আমি যে মসজিদে নামাজ পড়ি সেখানের ইমাম (ওনি মুহাদ্দিস আর হাটহাজারী ফারেগ)  প্রায়ই এই সময় দেরি করে।

1 Answer

0 votes
by (573,870 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://www.ifatwa.info/294 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে  যে,
হুকুকে মুজাররাদাহ বা স্বত্বকে সংরক্ষণ করে রাখা জায়েয।যেমন কেউ কিছু আবিস্কার করল বা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করল।এ জাতীয় বিষয় সমূহের মালিকানাকে উন্মোক্ত না করে নিজের জন্য রেখে দেওয়া জায়েয।সুতরাং এ সমস্ত জিনিষ কে কপি করে প্রচার-প্রসার করা মানে উক্ত ব্যক্তির হক্ব-কে নষ্ট করা।অর্থাৎ কপি করে প্রচার প্রসার করা জায়েয হবে না।
সুতরাং সংরক্ষিত ঐ ভিডিও গুলো যদি -ফ্রি ডাউনলোড অফর- থাকা কালিন সময়ে তারা ডাউনলোড করে থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।কেননা যেহেতু তারা ঐ ভিডিওগুলোকে ফ্রি-তে দিয়ে দিয়েছে তাই অবশ্যই সেটার প্রচার প্রসারে তাদের কোন প্রকার বিধিনিষেধ থাকবে না।কেননা হয়তো তারা প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এগুলোকে ফ্রি করে দিয়েছে।আর যদি কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিজে প্রথমে দেখে তারপর কম্পানির অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোকে ভাইড়াল করে দেয় তাহলে এগুলো দেখা জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/1197

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যারা টাকা দিয়ে উক্ত কোর্স করে,তাদেরকে কোর্স কর্তৃপক্ষ সেই ভিডিও গুলো দেয়।

কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এগুলো অন্যের কাছে বিক্রয় নিষিদ্ধ,লিক করাও নিষিদ্ধ কেননা এগুলো সংরক্ষিত সত্ব।এটি শুধু তারাই বিক্রয় করবে,অন্য কেহ নয়।
,
কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মেনেই যেহেতু এই ধরনের কোর্স ক্রয় করা হয়,তাই কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মানতেই হবে। 

নতুবা এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।

হাদীস শরীফে এসেছে   

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}

অন্য এক হাদীসে এসেছে  

قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে লিক হওয়া সেসব ভিডিও দেখার অনুমতি নেই।

হ্যাঁ এক্ষেত্রে যদি কোর্স কর্তৃপক্ষই ভিডিওটি জনসাধারণের উন্মুক্ত করার জন্য ভিডিওটি লিক করে,সেক্ষেত্রে এই ভিডিও দেখে শিখলে  আপনার কোন সমস্যা হবেনা।

(০২)
এই সময়ের মাঝে যদি কোনো কিছু না পড়ে পুরোপুরি চুপ থাকে,সেক্ষেত্রে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় চুপ থাকলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে। 
(বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ খুলাসাতুল ফাতাওয়া।)

উল্লেখ্য, উক্ত ইমাম সাহেব যে পুরো সময় একেবারেই চুপ ছিলো,তাহা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়া বলা ঠিক নয় 
কেননা এই সময়ে ইমাম সাহেব ধীরে ধীরে আমিন এবং বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম পড়ে থাকেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...