https://www.ifatwa.info/294 নং ফাতাওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
হুকুকে মুজাররাদাহ বা স্বত্বকে সংরক্ষণ করে রাখা জায়েয।যেমন কেউ কিছু আবিস্কার করল বা কোনো গ্রন্থ প্রকাশ করল।এ জাতীয় বিষয় সমূহের মালিকানাকে উন্মোক্ত না করে নিজের জন্য রেখে দেওয়া জায়েয।সুতরাং এ সমস্ত জিনিষ কে কপি করে প্রচার-প্রসার করা মানে উক্ত ব্যক্তির হক্ব-কে নষ্ট করা।অর্থাৎ কপি করে প্রচার প্রসার করা জায়েয হবে না।
সুতরাং সংরক্ষিত ঐ ভিডিও গুলো যদি -ফ্রি ডাউনলোড অফর- থাকা কালিন সময়ে তারা ডাউনলোড করে থাকে, তাহলে সেগুলো আপনি দেখতে পারবেন।কেননা যেহেতু তারা ঐ ভিডিওগুলোকে ফ্রি-তে দিয়ে দিয়েছে তাই অবশ্যই সেটার প্রচার প্রসারে তাদের কোন প্রকার বিধিনিষেধ থাকবে না।কেননা হয়তো তারা প্রচার প্রসারের উদ্দেশ্যেই এগুলোকে ফ্রি করে দিয়েছে।আর যদি কেউ টাকা দিয়ে কিনে নিজে প্রথমে দেখে তারপর কম্পানির অনুমোদন ছাড়াই সেগুলোকে ভাইড়াল করে দেয় তাহলে এগুলো দেখা জায়েয হবে না।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/1197
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যারা টাকা দিয়ে উক্ত কোর্স করে,তাদেরকে কোর্স কর্তৃপক্ষ সেই ভিডিও গুলো দেয়।
কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এগুলো অন্যের কাছে বিক্রয় নিষিদ্ধ,লিক করাও নিষিদ্ধ কেননা এগুলো সংরক্ষিত সত্ব।এটি শুধু তারাই বিক্রয় করবে,অন্য কেহ নয়।
,
কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মেনেই যেহেতু এই ধরনের কোর্স ক্রয় করা হয়,তাই কর্তৃপক্ষের এই শর্ত মানতেই হবে।
নতুবা এটি কর্তৃপক্ষকে ধোকা দেয়া হবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}
অন্য এক হাদীসে এসেছে
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
হ্যাঁ এক্ষেত্রে যদি কোর্স কর্তৃপক্ষই ভিডিওটি জনসাধারণের উন্মুক্ত করার জন্য ভিডিওটি লিক করে,সেক্ষেত্রে এই ভিডিও দেখে শিখলে আপনার কোন সমস্যা হবেনা।
এই সময়ের মাঝে যদি কোনো কিছু না পড়ে পুরোপুরি চুপ থাকে,সেক্ষেত্রে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় চুপ থাকলে সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
(বাদায়েউস সানায়ে ১/৪০২; ফাতাওয়া খানিয়া ১/১২২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৯৩ খুলাসাতুল ফাতাওয়া।)
উল্লেখ্য, উক্ত ইমাম সাহেব যে পুরো সময় একেবারেই চুপ ছিলো,তাহা নিশ্চিত হওয়ার ছাড়া বলা ঠিক নয়