আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর,,

১, যাদুতে আক্রান্ত হলে কতদিন পর্যন্ত এর প্রভাব থাকে,
২, আমার স্বামীকে মনে হয় যাদু করেছে,,   উনি নামাজ পড়ে কিন্তু  দোয়া দুরুদ ও পরিপূর্ণ ভাবে মাসনুন আমল গুলো  করেন না,, উনার চিকিৎসা কিভাবে করাবো??
৩,আমি আমার স্বামীকে সূরা নাস ও ফালাক পড়ে ফু দিলে কি কাজ হবে।
৪, যাদুতে আক্রান্ত হলে কি সারাজিবন যাদুর প্রভাব থেকে যায়??

৫, অনেক হুজুর আছেন যারা শরীর বন্ধের তাবিজ দেন , যাতে কেউ যাদু করলে না লাগে।  শরীর বন্ধের তাবিজ বলতে কি কিছু আছে।  এটা শরীরে পড়া কি জায়েজ?
এই প্রশ্নের উত্তর গুলো জানা আমার খুব জরুরি।
by
Assalamualaikum
by (713,000 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। 

1 Answer

0 votes
by (713,000 points)
edited by


ওয়া আলাইকুম আসসালাম।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
সর্বপ্রথম পরামর্শ দিবো,ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার।মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন।যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
তাছাড়া আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১)সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা।এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩)দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।

নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
দেখুন-https://www.ifatwa.info/1093

প্রত্যক নামাযের পর ঘুমাইবার সময় এবং সকাল সন্ধ্যা আয়াতুল কুরসী পড়া।এবং ঘুমাইবার সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস তিনবার করে পড়া।এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،

প্রতিদিন সকাল সাতটা করে খেজুর খাওয়া।মদিনার খেজুর হলে ভালো।দেখুন-https://www.ifatwa.info/1816
(এলাজে কুরআনী-০৩)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)যাদুতে আক্রান্ত হলে কতদিন পর্যন্ত এর প্রভাব থাকতে পারে,তা নির্দিষ্ট নয়, এটা অাল্লাহই ভালো জানেন।
(২) উনার জন্য উপরের আমলগুলো করা উচিৎ।
(৩)আপনি সূরা নাস ও ফালাক পড়ে ফু দিলে কাজ হবে না যদি আপনার স্বামীর এর প্রতি কোনো অনুরাগ  না থাকে।
(৪)যাদুতে আক্রান্ত হলে সারাজিবন যাদুর প্রভাব থাকে না। এক সময় তা নষ্ট হয়ে যায়।
(৫)শরীর বন্ধের তাবিজ তাদের জন্য যারা কুরআন পড়তে জানেনা , উপরে যেই সমস্ত আ'মলের কথা উল্লেখ করা হলো, সেগুলো কাগজে লিখে তাবিজ দেয়া হয়। তবে যারা পড়তে জানেন, তারা অবশ্যই পড়বেন।তাদের জন্য তাবিজ গ্রহণ কখনো উচিৎ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (713,000 points)
উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...