আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
78 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (24 points)

আসসালামু আলাইকুম হুজুর। 
 

১) বর্তমানে সমাজে জীন জাদু অমেক বেশি পরিমাণে দেখা দিচ্ছে। আমি চাইনা আমি জীন জাদুতে আক্রান্ত হই। জীন জাদুতে আক্রান্ত না হওয়ার জন্য কি কি কাজ করা যেতে পারে? (হুজুর আরবী একটু বড় ফন্টের দিয়েন আর আমি আরবী ভালো পড়তে পারি না। তাই সাথে বাংলা উচ্চারণ দিয়ে দিলে উপকৃত হবো। এটা শুধুমাত্র জীন- জাদু থেকে আত্মরক্ষার জন্য যা পড়তে হবে শুধু ওগুলোর ক্ষেত্র। ) 


 

২) হুজুর কিছু রাকীকে বলতে দেখি যে অলসতা/ দুর্বলতা, মাথাব্যাথা,বিবাহ বিচ্ছেদ, পড়ালেখায় অনীহা সহ আরও অনেক কিছু জীন জাদুর কারণে হয়। এগুলো কি সত্য? (আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো রাকীকে চিনি না, তাই বুঝতে পারছি না সত্য বলছে নাকি মিথ্যা।) 

 

৩) আমার নিজেকে জীন জাদুতে আক্রান্ত মনে হয় না। কিন্তু্ু আমি যখন ছোট ছিলাম তখন আমার বাবা আমার জন্য তাবীজ নিয়ে আসে। সেটা আমি কিছুদিন পরেছিলাম তারপর খুলে রেখে দিয়েছিলাম। এটা এখনও আমার কাছে আছে। কিন্তু আমি একটা গ্রুপে দেখেছি যে তাবীজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিরকি কুফরি কথা লেখা থাকে। এখন এক জায়গায় দেখেছিলাম যে তাবীজ থাকলে তা নষ্ট করে দিতে হয়। এখন আমার সেই তাবীজ কি করবো? 

 

৪) আমার বাবার আচার আচরণে আমার মনে হয় যে সে জীন জাদুতে আক্রান্ত। কিন্তুু সঠিক বুঝতে পারছি না। সঠিকভাবে বুঝার জন্য যদি কিছু লক্ষণ বলতেন? 

 

৫) ওসওয়াসা রোগীরা দিনে ১ বার আর রাতে ১ বার সুরা বাকারা(আরবীতে) শুনে তাহলে কি তাদের ওসওয়াসা রোগ আরোগ্য হয়ে যায়? এটা কি একটা রুকাইয়া?

 

যদি সত্য হয় তাহলে কি বাংলা অর্থে  সূরাটি শোনার ক্ষেত্রে কি একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে? 

 

৬) হুজুর এই https://ifatwa.info/73936/  ফতোয়ায় দেখলাম জিন জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি লক্ষণ হচ্ছে যে তার মস্তিষ্ক কাজ করবে না। কিন্তুু পাগলের মস্তিষ্ক কাজ করে না তাহলে বুঝবো কিভাবে যে সে পাগল হয়েছে নাকি জিন জাদুতে আক্রান্ত? 
 

জাযাকাল্লাহু খাইরান 

1 Answer

+1 vote
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
সকাল-সন্ধ্যায় তিন কুল (সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক ও সূরা নাস)   তিনবার করে পড়ার কথা হাদীসে বর্ণিত হয়ছে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ مُعَاذِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خُبَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ خَرَجْنَا فِي لَيْلَةٍ مَطِيرَةٍ وَظُلْمَةٍ شَدِيدَةٍ نَطْلُبُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي لَنَا – قَالَ – فَأَدْرَكْتُهُ فَقَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا ثُمَّ قَالَ ” قُلْ ” . فَلَمْ أَقُلْ شَيْئًا . قَالَ ” قُلْ ” . قُلْتُ مَا أَقُولُ قَالَ ” قُلْ : هوَ اللَّهُ أَحَدٌ وَالْمُعَوِّذَتَيْنِ حِينَ تُمْسِي وَتُصْبِحُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ تَكْفِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ ”
আবদুল্লাহ ইবন খুবায়ব তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের জন্য দু’আ করার উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম।
তখন তিনি বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না।
তিনি আবার বললেনঃ বল।
আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় তিনি আমাকে বললেনঃ বল। আমি বললামঃ কি বলব?
তিনি বললেনঃ “সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ এবং মুআওওয়াযাতায়ন (কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক ও কুল আউযু বিরাব্বিন নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।”
[তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী] হাদীসটির সনদ হাসান, তা’লীকুর রাগীব ১/২২৪, আল কালিমুত তাইয়্যিব ১৯/৭]

قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيْدٍ حَدَّثَنَا الْمُفَضَّلُ بْنُ فَضَالَةَ عَنْ عُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ كُلَّ لَيْلَةٍ جَمَعَ كَفَّيْهِ ثُمَّ نَفَثَ فِيْهِمَا فَقَرَأَ فِيْهِمَا(قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ)وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ) وَ (قُلْ أَعُوْذُ بِرَبِّ النَّاسِ) ثُمَّ يَمْسَحُ بِهِمَا مَا اسْتَطَاعَ مِنْ جَسَدِهِ يَبْدَأُ بِهِمَا عَلَى رَأْسِهِ وَوَجْهِهِ وَمَا أَقْبَلَ مِنْ جَسَدِهِ يَفْعَلُ ذَلِكَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ

‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, প্রতি রাতে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিছানায় যাওয়ার প্রাক্কালে সূরাহ ইখ্লাস, সূরাহ ফালাক ও সূরাহ নাস পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে তাঁর দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাতেন এবং তিনবার এরূপ করতেন। 
[বুখারী শরীফ ৫০১৭.৫৭৪৮, ৬৩১৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৮)

আরো জানুনঃ- 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
আপনি ফজর,মাগরিব নামাজের পর এবং রাতে ঘুমানোর আগে তিন কুল তিনবার পাঠ করে দু’হাত একত্র করে হাতে ফুঁক দিয়ে যতদূর সম্ভব সমস্ত শরীরে হাত বুলাবেন। মাথা ও মুখ থেকে আরম্ভ করে দেহের সম্মুখ ভাগের উপর হাত বুলাবেন এবং তিনবার এরূপ করবেন। 

(০২)
এগুলো অসম্ভব নয়।

(০৩)
মানুষ চলাচল করেনা,এমন কোনো স্থানে তাবিজটি পুতে রেখে দিতে পারেন।

(০৪)
জিন জাদুতে আক্রান্ত ব্যক্তি লক্ষণ হচ্ছে যে তার মস্তিষ্ক কাজ করবে না।

(০৫)
বিষয়টি কিছু রুকইয়াহ কারী বলে থাকে।
তবে কুরআন হাদীসে এমন কোনো আমল পাইনি।

বাংলা অর্থে  সূরাটি শোনার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য হবেনা।

(০৬)
এক্ষেত্রে ডাক্তার দেখাবেন।
ডাক্তার রোগ ধরতে না পারলে রুকইয়াহ কারীর নিকট যাবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...