আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
158 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালা-মু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
আমি একজন জেনারেল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা স্টুডেন্ট (বোন)। জেনারেল পড়াশোনা প্রতি অনাগ্রহ এবং পর্দার খেলাফের জন্য জেনারেল পড়াশোনা অফ রেখেছি এবং এখন আমি চাচ্ছি অফলাইনে কোনো কওমি মাদ্রাসায় পড়তে।আমার জন্য কি কোনো জেনারেল লাইনদের জন্য অফলাইন মাদ্রাসা আছে?আমিকি পড়তে পারবো মাদ্রাসায়?আমার জেলা টাঙ্গাইল এবং থানা নাগরপুর। আমাদের আইওএম এর অফলাইন মাদ্রাসাতুল মাদিনা অনেক দুরে হওয়ায় পরিবার সেখানে দিতে নারাজ।এখন টাঙ্গাইল জেলার মধ্যে বা নাগরপুর থানার মধ্যে কি জেনারেল দের জন্য কোনো সহিহ আকিদার কওমি মাদ্রাসা আছে?আমি এ বিষয়ে অজ্ঞ তাই যদি একটু কোনো মাদ্রাসা এই জেলার মধ্যে আছে কিনা সেটার খোজ জানালে মুনাসিব হতো।

জাঝাকুমুল্লাহ খইরন

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জেনারেল শিক্ষা অর্জন সম্পর্কে আমরা ইতি পূর্বে বলেছিলাম যে,
বলা যায় মুসলিম দেশের মুসলিম সরকারের জন্য ওয়াজিব যে,অচিরেই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা।
প্রয়োজনে এ জন্য শান্তিপূর্ণ কর্মসূচী পালন করা সমস্ত মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
কিন্তু যতদিন পর্যন্ত এই পৃথক শিক্ষা ব্যবস্থা চালু না হচ্ছে ,ততদিন প্রয়োজনের তাগিদে নিম্নোক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে।

১/শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে।
২/চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের  সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে।(ফাতাওয়া উসমানী ১/১৬০-১৭১)(শেষ)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/434

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আমরা জেনারেল শিক্ষাকে বিসর্জন দিয়ে কওমী মাদরাসায় পড়াশোনা পরামর্শ দিবো না।কারণ এই মুহূর্তে কওমী মাদরাসাতে আসলেও আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন না। যদি প্রথম থেকে আসতেন, তাহলে পুরোপুরি দ্বীনি শিক্ষা অর্জন করে জাতীর খেদমত করতে পারতেন।খেদমত করাটা তখন সহজ হতো। এদিন ওদিন কোনোটাই ভালোভাবে হবে না।তাই আপনি নিজের পর্দা পুশিদার ঠিক রেখে জেনারেল শিক্ষাই গ্রহণ করুন। পাশাপাশি অনলাইনে IOM এ ভর্তি হয়ে যান। হ্যা, যদি পর্দা পুশিদাকে রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে যায়, তাহলে তখন পাশের কোনো কওমী মহিলা মাদরাসায় ভর্তি হতে পারবেন। আপনার এলাকার ভালো কওমী মাদরাসা সম্পর্কে জানতে আপনার মসজিদের ইমাম মুওয়াজ্জিনের সাথে যোগাযোগ করবেন।জাযাকুমুল্লাহ।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...