আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
141 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (17 points)

আসসালামু আলাইকুম,

আমার এই প্রশ্ন টি সি - ফুড বা সামুদ্রিক খাবার নিয়ে কিছু সংশয় নিয়ে। আজকাল শহর থেকে মফস্বল সব রেস্টুরেন্টেই সি - ফুড বা সামুদ্রিক খাবারের প্রচলন বেড়ে গেছে। প্রায় সব রেস্টুরেন্টেই সি - ফুড আইটেম বিক্রি করে। আমি জানি হানাফি ফিকহ মতে সি - ফুড হারাম বা সর্বোচ্চ পর্যায়ের মাকরুহ। তবে অনান্য মাজহাব মতে সি - ফুড হালাল।

আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, আমরা জানি বিভিন্ন মাজহাবের মাঝে ইখতিলাফ টুকু মুবাহ বা মুস্তাহাব পর্যায় নিয়ে। কিন্তু এই বিষয়ে হালাল বা হারাম পর্যায়ের ইখতেলাফ হয়ে গেলো কিভাবে?

আমি একটি ফতোয়ার গ্রুপ (হানাফি ফিকহ) থেকে জানতে পেরেছি, কোন তেলে কোন হারাম খাবার (কুকুর বা শুকর বা আল্লাহর নাম ব্যতিত জবাই করা পশু) রান্না করলে সেই তেলে অনান্য হালাল খাবার রান্না করলে বা ফ্রাই করলে সেই হালাল খাবার খাওয়াও জানায়েজ তথা হারাম হবে।

উল্লেখ্য যে, বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই একই তেলে বিভিন্ন রকমের খাবার ফ্রাই করে। তারা একই তেলে তারা স্কুইড বা কাকড়া ফ্রাই করে আবার একই তেলে চিকেন বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই এর মত হালাল খাবারও ফ্রাই করে।

আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হচ্ছে, কোন তেলে যদি সি - ফুড তথা কাকড়া বা অক্টোপাস ফ্রাই করে সেই তেলেই আবার হালাল সি - ফুড তথা মাছ বা অননান্য হালাল পশু ফ্রাই করা হয় সেটা কি আমাদের জন্য হালাল হবে? 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
"আমরা জানি বিভিন্ন মাজহাবের মাঝে ইখতিলাফ টুকু মুবাহ বা মুস্তাহাব পর্যায় নিয়ে।" 

এটা অধিকাংশ ক্ষেত্রে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হালাল হারামের ইখতিলাফও রয়েছে।

(২)
যে তেলে কাকড়া ফ্রাই করা হবে, সেই তেলে যদি পরবর্তীতে হালাল কোনো জিনিষ ফ্রাই করা হয়, তাহলে সেই হালাল জিনিষও তখন হারাম হিসেবে বিবেচিত হবে।

দারুল উলূম দেওবন্দের একটি ফাতাওয়ায় বলা হয়,
(فتوى: 297/د = 290/د)
غیرمسلم کے یہاں چکن اور مٹن نہ کھانے کی وجہ غیر مذبوح ہونا یا حرام گوشت ہونا ہوگا، غیر مذبوح نجس کے حکم میں ہے، لہٰذا جب اس کو کسی تیل میں فرائی کرلیا گیا تو تیل بھی نجس ہوگیا، اگر اس نجس تیل میں کوئی اور چیز فرائی کی جائے گی تو وہ بھی نجس ہوجائے گی۔ ایسی صورت میں فرائی کی ہوئی مچھلی کا حکم یہ ہے کہ اگر آپ کو یقینی طور پر معلوم ہے کہ اسی نجس تیل میں فرائی کی گئی ہے تب تو اس مچھلی کا کھانا حرام ہے۔ اور اگر ظن غالب ہو تو مکروہ تحریمی ہے اور اگر شبہ ہے تو احتیاط کرنا اولیٰ اور بہترہے۔


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...