ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
নামাযের প্রথম দুই রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা তিলাওয়াত করা ওয়াজিব। তিলাওয়াত করা হয়েছে কি না? সে সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে, এবং সেই সন্দেহের ভিত্তিতে সাহু সিজদা দিলে, দুই সালাম ফিরানোর পর দিতে হবে। গতানুগতিক এক সালামের পর সাহু সিজদা দিলে, উক্ত নামাযকে আবার দোহড়িয়ে পড়তে হবে।
(২)
وَفِي الْجَامِعِ الصَّغِيرِ سُئِلَ أَبُو الْقَاسِمِ عَنْ وَافِرِ الظُّفُرِ الَّذِي يَبْقَى فِي أَظْفَارِهِ الدَّرَنُ أَوْ الَّذِي يَعْمَلُ عَمَلَ الطِّينِ أَوْ الْمَرْأَةِ الَّتِي صَبَغَتْ أُصْبُعَهَا بِالْحِنَّاءِ، أَوْ الصَّرَّامِ، أَوْ الصَّبَّاغِ قَالَ كُلُّ ذَلِكَ سَوَاءٌ يُجْزِيهِمْ وُضُوءُهُمْ إذْ لَا يُسْتَطَاعُ الِامْتِنَاعُ عَنْهُ إلَّا بِحَرَج-
আবুল কাসিম রাহ কে লম্বাটে নক বিশিষ্ট ব্যক্তির ওজু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো?
-যে নকের মধ্যে ময়লা জমে গেছে বা যে ব্যক্তি মাঠির কাজে ব্যস্ত থাকে, বা যে মহিলা নিজ হাতকে মেহদী দ্বারা রঙ্গিয়েছে,অথবা চামড়া বিক্রেতা বা পেইন্টার- উপরুক্ত ব্যক্তির নকের কোনে কোনোকিছু আটকে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। তখন আবুল কাসিম রাহ জবাবে বলেছিলেন, প্রত্যেকরই ওজু হবে।কেননা এত্থেকে বেঁচে থাকা প্রায় অসম্ভব।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৪)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নখে ময়লা থাকলে ওযু হবে। তবে নখের ভিতরে এই পরিমাণ ময়লা থাকলে, যেই পরিমাণ ময়লা পানি প্রতিবন্ধক, তখন কিন্তু অজু হবে না।