আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
70 views
in সালাত(Prayer) by (42 points)
edited by
১।হাতে চিনির সিরা লেগে শুকিয়ে ছিল খেয়াল করিনি।এই অবস্থায় ওযু করেছি।শুকনা চিনির সিরা হাতে লেগে থাকলে ওযু হবে কি?উল্লেখ্য হাতে সাদা সাদা চিনির সূক্ষ্ম পাউডারের মত লেগে ছিল যা খসখসে মনে হচ্ছিল
২।সূরা মিলানোর সময় বিসমিল্লাহ বলে এক সূরার দুই একটা শব্দ বলে আবার যদি সূরা পরিবর্তন করে ফেলতে চাই তখন কি আবার বিসমিল্লাহ্‌ বলতে হবে?এইভাবে সূরা মেলাতে দেরি করলে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (62,960 points)
edited by

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

নামাযে কিরাত পড়া ফরযসূরা ফাতেহা ওয়াজিব এবং সূরা মিলানো ওয়াজিব। বড় একটি আয়াত এবং ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ মিলানো ওয়াজিব। যখন কেউ সূরা ফাতেহা পড়ার পর বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ পড়ে নেবে, তার নামায হয়ে যাবে। কিন্তু যদি বড় একটি আয়াত বা ছোট্ট তিনটি আয়াত পরিমাণ না হয়,তাহলে তাকে সাহু সিজদা দিতে হবে।

সাহু সেজদার উত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে ফুকাহায়ে কেরামদের অনেক মতবিরোধ রয়েছে।তন্মধ্যে সর্বোত্তম পদ্ধতি সম্পর্কে  ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়াতে অত্যান্ত সারগর্ভ আলোচনা করা হয়েছে।

নিম্নে তা উল্লেখ করা হল......

وَالصَّوَابُ أَنْ يُسَلِّمَ تَسْلِيمَةً وَاحِدَةً وَعَلَيْهِ الْجُمْهُورُ وَإِلَيْهِ أَشَارَ فِي الْأَصْلِ، كَذَا فِي الْكَافِي وَيُسَلِّمُ عَنْ يَمِينِهِ، كَذَا فِي الزَّاهِدِيِّ وَكَيْفِيَّتُهُ أَنْ يُكَبِّرَ بَعْدَ سَلَامِهِ الْأَوَّلِ وَيَخِرَّ سَاجِدًا وَيُسَبِّحَ فِي سُجُودِهِ ثُمَّ يَفْعَلَ ثَانِيًا كَذَلِكَ ثُمَّ يَتَشَهَّدَ ثَانِيًا ثُمَّ يُسَلِّمَ، كَذَا فِي الْمُحِيطِ.

وَيَأْتِي بِالصَّلَاةِ عَلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ -

অর্থাৎ-সেজদায়ে সাহুর সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ার পর এক সালাম ডানদিকে ফিরাবে, অতঃপর আল্লাহু আকবর বলে সেজদায় চলে যাবে, এবং সেথায় (নামাযের সেজদার তাসবীহের মত)তাসবীহ পাঠ করবে,এবং এভাবে দ্বিতীয় সেজদাও আদায় করবে,অতঃপর তাশাহুদ ও দরুদ শরীফ পড়ে সালাম ফিরাবে,

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে বর্ণিত রয়েছে

وَتَجِبُ قِرَاءَةُ الْفَاتِحَةِ وَضَمُّ السُّورَةِ أَوْ مَا يَقُومُ مَقَامَهَا مِنْ ثَلَاثِ آيَاتٍ قِصَارٍ أَوْ آيَةٍ طَوِيلَةٍ فِي الْأُولَيَيْنِ بَعْدَ الْفَاتِحَةِ كَذَا فِي النَّهْرِ الْفَائِقِ وَفِي جَمِيعِ رَكَعَاتِ النَّفْلِ وَالْوِتْرِ. هَكَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ.

সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব। (ফরয নামাযের) প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহার সাথে অন্য একটি সূরা বা লাম্বা এক আয়াত অথবা ছোট্ট তিন আয়াত পরিমাণ সূরার কোনো অংশকে মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব।নফল এবং বিতিরের সমস্ত রা'কাতে পড়া সূরায়ে ফাতেহার সাথে ভিন্ন সূরা মিলিয়ে পড়া ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া;১/৭১)

 

নামাযের মধ্যে এক আয়াত পরিমাণ ক্বিরাত(কোরআনের যে কোনো অংশ থেকে) পড়া ফরয। আর প্রথম দুই রাকা'তে সূরায়ে ফাতেহা পড়া ওয়াজিব এবং সাথে সাথে সূরা মিলানো ওয়াজিব। (ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৩/১৯১) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/334

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. সাধারণত চিনির সিরা থেকে যেই আবরণ পড়ে পানি লাগলে তা গলে যায় এবং চামড়ায় পানি পৌঁছাতে প্রতিবন্ধকতা থাকে না। যদি প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি এমনি হয় তাহলে তাহলে অজু হয়ে যাবে। আর যদি উক্ত আবরণের কারণে চামড়ায় পানি পৌছানোর বিষয়ে প্রবল আশংকা হয় যে, আবরণের কারণে উক্ত স্থান শুষ্ক ছিল তাহলে অজু সহিহ হবে না। সুতরাং যদি উক্ত বিষয়ে সন্দেহ থাকে তাহলে আপনি সতর্কতামূলক উক্ত অজু দিয়ে আদায়কৃত নামাজ পুনরায় আদায় করবেন ইনশাআল্লাহ।

২. প্রত্যেক সূরার শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া সুন্নাত। সালাতে সূরা ফাতেহার পর একটি সূরা শুরু করে ইচ্ছাকৃত ভাবে তার পরিবর্তে ভিন্ন সূরা শুরু করা মাকরুহ। তবে উক্ত সূরা যদি ভুলে যায় এবং অন্য সূরা শুরু করে তাহলে পূর্বের বিসমিল্লাহ যতেষ্ট হবে। আর যদি পুনরায় বিসমিল্লাহ পড়া হয় এতেও সালাতের কোন ক্ষতি হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 60 views
0 votes
1 answer 60 views
...