ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَإِذَا رَأَيْتَ الَّذِينَ يَخُوضُونَ فِي آيَاتِنَا فَأَعْرِضْ عَنْهُمْ حَتَّىٰ يَخُوضُوا فِي حَدِيثٍ غَيْرِهِ ۚ وَإِمَّا يُنسِيَنَّكَ الشَّيْطَانُ فَلَا تَقْعُدْ بَعْدَ الذِّكْرَىٰ مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
যখন আপনি তাদেরকে দেখেন, যারা আমার আয়াত সমূহে ছিদ্রান্বেষণ করে, তখন তাদের কাছ থেকে সরে যান যে পর্যন্ত তারা অন্য কথায় প্রবৃত্ত না হয়, যদি শয়তান আপনাকে ভূলিয়ে দেয় তবে স্মরণ হওয়ার পর জালেমদের সাথে উপবেশন করবেন না। (সূরা আন'আম-৬৮)
প্রথম কথা হল, যারা ইসলাম বিদ্ধেষী,তাদের কোনো কথায় কান দেয়া যাবে না। তাদের কোনো কথা শ্রবণ করা যাবে না। যখন কোনো মজলিসে দেখবেন যে, ইসলামের সৌন্দর্য্যর মধ্যে কেউ খুত খুজছে, তখন সেই মজলিস থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে।
ইসলামের প্রাথমিক যুগে সকল আলেম উলামাদেরকে রাস্ট্রীয়ভাবে ভাতা দেয়া হত, সেই জন্য তৎকালিন সময়ে উলামাগণ ফাতাওয়া দিয়েছিলেন যে, আলেম উলামাগণ মসজিদ মাদরাসায় খেদমতে করে টাকা নিতে পারবেন না।কেননা সরকারিভাবে তো সকলকেই ভাতা দেয়া হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন সরকারিভাবে ভাতা বন্ধ হয়ে গেলো, তখন উলামাগণ ফাতাওয়া দিলেন যে, এখন থেকে মসজিদ মাদরাসায় খেদমত করে টাকা নেয়া যাবে।
قال فى الدر: ( و ) لا لأجل الطاعات مثل ( الأذان والحج والإمامة وتعليم القرآن والفقه ) ويفتى اليوم بصحتها لتعليم القرآن والفقه والإمامة والأذان . (الدر المختار مع رد المحتار : 9/76 كتاب الاجارة)