আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
101 views
in সালাত(Prayer) by (43 points)
edited by

আসসালামু আলাইকুম,,,

আমাদের অফিসে আমি জামাতে নামায পড়িয়ে থাকি। ইমামতি করার বিষয়গুলো বিস্তারিত খুটিনাটিসহ আমাকে জানালে ভাল হয়। যেমন ২ সিজদার মাঝে "আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ার যুকনি" এই দুয়া পড়তে পারবে কিনা। 

১.ইমামতি করার বিষয়গুলো বিস্তারিত খুটিনাটিসহ আপনি নিজে থেকে একটু জানিয়ে দিবেন মেহেরবানি করে।

 
এর পাশাপাশি নিচের প্রশ্নের উত্তর গুলো জানা জরুরি আমার জন্য। 

২. ইমাম সামিয়াল্লাহুলিমান হামিদা পড়বে। রব্বানা লাকাল হামদ পড়বে কিনা।

৩. ২ সিজদার মাঝে "আল্লাহুম্মাগফিরলি, ওয়ারহামনি, ওয়াহদিনি, ওয়া আফিনি, ওয়ার যুকনি" এই দুয়া পড়তে পারবে কিনা। 


৪. আর মাগরিবের আযান সব মসজিদে শেষ হওয়ার আগে জামাত শুরু করা যাবে? আমাদের এখানে আযান দেয়া হয়না। অন্য মসজিদের আযান ই কী যথেষ্ট? আযান শেষ করতে হবে তারপর জামাত শুরু হবে? 

৫.আমি আর একজন মোট ২ জন থাকলে জামাতে নামায পড়া যাবে? একবার জামাত হয়ে যাওয়ার পর পরের জামাতে কি ইকামাত দেয়া লাগে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ- 
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
https://ifatwa.info/38756/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ رَجُلٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " الإِمَامُ ضَامِنٌ وَالْمُؤَذِّنُ مُؤْتَمَنٌ اللهُمَّ أَرْشِدِ الأَئِمَّةَ وَاغْفِرْ لِلْمُؤَذِّنِينَ "

আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইমাম হচ্ছেন যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন (ওয়াক্তের) আমানাতদার। ‘হে আল্লাহ! ইমামদের সঠিক পথ প্রদর্শন করুন এবং মুয়াজ্জিনদের ক্ষমা করে দিন।’
তিরমিযী (অধ্যায়ঃ সালাত, অনুঃ ইমাম যিম্মাদার এবং মুয়াজ্জিন আমানতদার, হাঃ ২০৭), আহমাদ (২/২৩২/২৮৪), ইবনু খুযাইমাহ (১৫২৮), ইবনু হিববান (৩৬৩), বায়হাক্বী (১/৪৩০), ত্বাবারানী ‘সাগীর’ (১/২১৪)।

ইমামতির শর্ত সমূহ।

১। পুরুষ হওয়া।
২। মুসলমান হওয়া।
৩। বালেগ হওয়া। নাবালকের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৪। বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়া। পাগলের ইমামতি শুদ্ধ নয়।
৫। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কেরাত শুদ্ধভাবে  পড়তে সক্ষম হওয়া। সুতরাং যে ব্যক্তি নামাজ শুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু কেরাত পড়া প্রয়োজন, ততটুকু পড়তে সক্ষম নয়, ওই ব্যক্তির ইমামতি শুদ্ধ নয়। 

৬। নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার যতগুলো শর্ত আছে, তার মধ্য থেকে যদি শুধু একটি শর্তও পাওয়া না যায়, তাহলে তার ইমামতি শুদ্ধ হবে না। 
৭। ওজর তথা নাক দিয়ে রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাব ঝরা, সর্বক্ষণ বায়ু নির্গত হওয়া ইত্যাদি যাবতীয় অপারগতামুক্ত হওয়া। 
৮। শব্দের সঠিক উচ্চারণে সক্ষম হওয়া। 

আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
নামাজ শুদ্ধ হওয়ার মাসয়ালা,নামাজ ভেঙ্গে যাওয়ার মাসয়ালা,নামাজের ফরজ,ওয়াজিব,সুন্নাত সম্পর্কে আপনার জ্ঞান রাখা জরুরি,এবং তদনুযায়ী নামাজ পড়ানো জরুরী। 
কিরাআত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। 
জামাতের আগ দিয়ে মুক্তাদিদের ইমামতির নিয়ত করবেন।

(০২)
ইমাম সাহেব শুধু سمع الله لمن حمد বলবে।
মুক্তাদি শুধুমাত্র ربنا لك الحمد পড়বে।

তবে ইমাম সাহেবও যদি "রব্বানা লাকাল হামদ" পড়ে,সেক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
যদি সেজদাহ,বৈঠক দীর্ঘকরন প্রবল ধারণা অনুপাতে মুক্তাদীদের জন্য সমস্যাকর না হয়,তাদের জন্য যদি বিষয়টি বিরক্তিকর না হয়,তাহলে দুই সেজদার মাঝে উক্ত দোয়া পড়া যাবে।

আর যদি প্রবল ধারণা হয় যে এতে মুক্তাদীদের বিরক্তি চলে আসবে,তাহলে দুই সেজদার মাঝে উক্ত দোয়া পড়বেনা।

(০৪)
যেহেতু সেখানে জামাতে নামাজ আদায় হচ্ছে,তাই সেখানেও আযান দেয়ার ব্যবস্থা করবেন।
অন্যান্য মসজিদের আযান শেষ হওয়ার আগেও জামাত শুরু করা যাবে। 

★শরীয়তের বিধান হলো,মসজিদ ছাড়া অন্যত্রে জামাতে নামাজ পড়লে,সেখানে যদি মহল্লার মসজিদের আযানের আওয়াজ আসে,তাহলে সেখানে আযান,ইকামত দেয়া আবশ্যক নয়।
মহল্লার মসজিদের আযানই যথেষ্ট। 

তবে উত্তম হলো সেখানেও আযান ইকামত দিয়ে জামাত শুরু করা।

(০৫)
হ্যাঁ, এভাবে জামাত পড়া যাবে।

প্রত্যেকবার জামাতের শুরুতে ইকামতের ব্যবস্থা করা উত্তম।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 320 views
+1 vote
1 answer 2,469 views
0 votes
1 answer 123 views
...