ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﻭَﻋَﺎﺷِﺮُﻭﻫُﻦَّ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑ
নারীদের সাথে সদ্ভাবে জীবন-যাপন কর। (সূরা নিসা-১৯)
নারীদের সাথে সদ্ভাবে ব্যবহার করতে হলে তাদেরকে নিয়মমাফিক অন্ন-বস্র-বাসস্থান দিতে হবে।
সর্বমোট তিনটি কারণে একজনের উপর অন্যজনের নাফক্বাহ / খোরপোষ ওয়াজিব হয়।এ সম্পর্কে আদ-দুর্রুল মুখতার গ্রন্থে বর্ণিত আছে
وَنَفَقَةُ الْغَيْرِ تَجِبُ عَلَى الْغَيْرِ بِأَسْبَابٍ ثَلَاثَةٍ: زَوْجِيَّةٌ، وَقَرَابَةٌ، وَمِلْك
একজনের উপর অন্যজনের নাফক্বাহ/খোরপোষ ওয়াজিব হওয়ার সবব বা কারণ সর্বমোট তিনটি।
(১)বৈবাহিক সম্পর্ক
(২)আত্মীয়তার সম্পর্ক
(৩)মিলকিয়্যাত(গোলাম-মালিক)এর সম্পর্ক।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
স্বামী স্ত্রী ঝগড়াঝাটি হওয়ার পর দীর্ঘ নয় মাস স্বামী থেকে স্ত্রী পৃথক ছিলো। যেহেতু স্বামীর অনুমতি ব্যতিত স্ত্রী পৃথক ছিলো, তাই এই নয় মাসের খোরপোষ স্বামীর উপর ওয়াজিব হবে না।
ولا نفقة لناشزة أي:عاصیة ما دامت علی تلک الحالة …… خرجت الناشزة من بیتہ ……بغیر حق وإذن من الشرع، قید بہ ؛لأنھا لو خرجت بحق کما لو خرجت ؛لأنہ لم یعط لھا المھر المعجل ……لم تکن ناشزة (مجمع الأنھر، کتاب الطلاق،۲: ۱۷۹، ۱۸۰، ط: دار الکتب العلمیة بیروت)، وفی المجتبی: نفقة العدة کنفقة النکاح ، وفی الذخیرة: وتسقط بالنشوز الخ (رد المحتار، کتاب الطلاق، باب النفقة، ۵: ۳۳۳، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔