জবাব
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো, স্ত্রী গরিব হোক বা ধনী। অসুস্থ হোক সুস্থ। বৃদ্ধা হোক বা যুবতী,সর্বাবস্থায় স্ত্রীর ভরণ-পোষণের দায়িত্ব স্বামীর ওপর। এমনকি স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রী তার বাবার বাড়ি থাকলেও ভরণ-পোষণের অধিকারী হবে।
তবে স্বামীর অবাধ্য হয়ে স্ত্রী পিত্রালয়ে বা অন্য কোথাও চলে গেলে ভরণ-পোষণের অধিকারী হবে না।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন,
، اتَّقُوا اللَّهَ فِي النِّسَاءِ، فَإِنَّكُمْ أَخَذْتُمُوهُنَّ بِأَمَانَةِ اللَّهِ، وَاسْتَحْلَلْتُمْ فُرُوجَهُنَّ بِكَلِمَةِ اللَّهِ، وَإِنَّ لَكُمْ عَلَيْهِنَّ أَنْ لَا يُوطِئْنَ فُرُشَكُمْ، أَحَدًا تَكْرَهُونَهُ، فَإِنْ فَعَلْنَ فَاضْرِبُوهُنَّ ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ، وَلَهُنَّ عَلَيْكُمْ رِزْقُهُنَّ وَكِسْوَتُهُنَّ بِالْمَعْرُوفِ،
তোমরা নারীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় করো। কেননা তাদেরকে তোমরা আল্লাহর আমানত হিসেবে গ্রহণ করেছো এবং আল্লাহর বিধান মোতাবেক তোমরা তাদের লজ্জাস্থানকে নিজেদের জন্য হালাল করেছো। তাদের উপর তোমাদের অধিকার আছে, তারা যেন তোমাদের অপছন্দনীয় ব্যক্তিকে তোমার ঘরে স্থান না দেয়। তারা এরূপ করলে তাদেরকে খুবই হালকা মারধর করো।
‘তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমাদের ওপর। তোমরা তা স্বাভাবিকভাবে আদায় করবে।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ১৯০৫)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
উল্লেখিত হাদীসে রাসুলুল্লাহ সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ-
‘তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তোমাদের ওপর। তোমরা তা স্বাভাবিকভাবে আদায় করবে।’
সুতরাং এক্ষেত্রে আপনি স্ত্রীকে স্বাভাবিক ভরনপোষণ দিবেন।
এটিই আপনার উপর আবশ্যক।
অহেতুক দাবী দাওয়া পূরন করা আপনার উপর আবশ্যক নয়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার কোনো গুনাহ হবেনা।
(০২)
এতে আপনার গুনাহ হবেনা।
(০৩)
সেই সময় ভরনপোষণ কে দিয়েছিলো?
যিনি সেই সময় আপনার স্ত্রীর ভরনপোষণ দিয়েছিলেন,তাকে আপনি সেই ভরনপোষণ বাবদ টাকা দিয়ে দিবেন।
হ্যাঁ যদি তিনি নিতে না চান,সেক্ষেত্রে দিতে হবেনা।
অর্থাৎ সেই সময়ে যদি মেয়ের বাবা মেয়ের ভরনপোষণ দিয়ে থাকে,তাহলে আপনি তাকে ভরনপোষণ বাবদ টাকা দিয়ে দিবেন।
হ্যাঁ যদি তিনি নিতে না চান,সেক্ষেত্রে দিতে হবেনা।
(০৪)
আপনি যেই মোহরানা তাকে দিতে রাজি হয়েছিলেন,(মোহরে ফাতেমী) শুধু সেটাই দেয়া৷ আপনার উপর আবশ্যক।
হজ্জ বা উমরাহ কোনোটাই আপনার উপর আবশ্যক নয়।
এখন কোনো কারণে যদি আপনাদের ডিভোর্স হয়ে যায়, তাহলে হজ-উমরার টাকা তাকে দিয়ে দিতে হবেনা।
আপনি মোহরানা আদায় করলেই যথেষ্ট।
(০৫)
উপরের উল্লেখিত আয়াতের ভিত্তিতে নসিহত করবেন যে এখানে স্ত্রীকে স্বাভাবিক ভরনপোষণ দেয়ার কথা বলা হয়েছে।
সুতরাং বেশি না চাওয়াই ভালো।
(০৬)
হ্যাঁ, স্ত্রীর কথা ঠিক।
এখানে মেয়ের বাবার উপর জুলুম করা হয়েছে।
আপনি ফার্নিচার নিতে চাইলে তিন লাখ টাকা দিয়ে নিবেন,তাহলে কোনো সমস্যাই হবেনা।