ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃêক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।(সূরা বাকারা-২৩০)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার তালাক পতিত হয়ে একে অন্যর জন্য হারাম হয়ে গেছেন। এখন ঐ স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করবে। তারপর যদি সেখানে ঘটনাক্রমে তালাক হয়ে যায়, তাহলে ঐ স্ত্রী পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।
সুতরাং
(১)কোনো একজন লোককে রাজি করিয়ে বিয়ে দিয়ে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে, আবার প্রথম স্বামীর সাথে বিয়ে দেওয়ার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই। এই হিলা বা পদ্ধতি গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না। তবে যদি কেউ এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে নেয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হলেও, যদি দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়, তাহলে প্রথম স্বামীর জন্য উক্ত স্ত্রী হালাল হয়ে যাবে।
(২) জ্বী হ্যা, অন্য জায়াগায় বিয়ে হলে সহবাস শর্ত। সহবাস ছাড়াও ডিভোর্স দিতে পারবে,তবে এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না।
(৩) যদি অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে তার সাথে সহবাসের পর তালাক হয়, তাহলে তখন ঐ স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে।
(৪) জ্বী, প্রয়োজনে মুবাইলে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারবেন।