আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (35 points)
ঘটনাটি একজন ব্যক্তির। সেই ব্যক্তি ঝগড়ার এক পর্যায়ে তার স্ত্রীকে ৩ তালাক দিয়ে বসে। আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলাম উনি আগেও তালাক দিয়েছেন। এখন পরবর্তী করণীয় সম্পর্ক কয়েকটি প্রশ্ন:-
১. সেই স্ত্রী কে অন্য একজন লোক কে রাজি করিয়ে বিয়ে দিয়ে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে আবার আগের স্বামীর সাথে বিয়ে দেওয়া যাবে?
২. অন্য জায়াগায় বিয়ে হলে সহবাস কি শর্ত? নাকি সহবাস ছাড়াও ডিভোর্স দিতে পারবে? বিষয়টি একেকজন একেকভাবে বলে। মাসআলাটি মতভেদপূর্ণ নাকি তাদের জানার অজ্ঞতা?
৩. ওদের একাধিক সন্তান রয়েছে। স্বামী খুবই অনুতপ্ত। অসুস্থ হয়ে গিয়েছেন চিন্তায়। সেই ব্যক্তি তার স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার সবচেয়ে শিথিল বৈধ পদ্ধতি কি?
৪. আপনার ফোন নম্বর আমার কাছে রয়েছে। ওদের এই বিষয়টি সমাধানের জন্য কি আপনার সাথে ফোনে কয়েক মিনিট কথা বলা যাবে?
by (1 point)
edited by
Assalamualaikum Bhai, 
Mufti saheb er phone number ta amake doya kore den . Khub dorkar bhai.

@nmooqrst     ai telegram I'd te number ta den. Plz

1 Answer

0 votes
by (588,600 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ
তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে, তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়, তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কতৃêক নির্ধারিত সীমা; যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়।(সূরা বাকারা-২৩০)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2579


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নের বিবরণমতে আপনারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার তালাক পতিত হয়ে একে অন্যর জন্য হারাম হয়ে গেছেন। এখন ঐ স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করবে। তারপর যদি সেখানে ঘটনাক্রমে তালাক হয়ে যায়, তাহলে ঐ স্ত্রী পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে পারবে।

সুতরাং
(১)কোনো একজন লোককে রাজি করিয়ে বিয়ে দিয়ে সেই ব্যক্তির কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে, আবার প্রথম  স্বামীর সাথে বিয়ে দেওয়ার কোনো নিয়ম শরীয়তে নাই। এই হিলা বা পদ্ধতি গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না। তবে যদি কেউ এই পদ্ধতিকে গ্রহণ করে নেয়, তাহলে সেই পদ্ধতি নাজায়েয হলেও, যদি দ্বিতীয় স্বামীর সাথে সহবাস হয়, তাহলে প্রথম স্বামীর জন্য উক্ত স্ত্রী হালাল হয়ে যাবে।

(২) জ্বী  হ্যা, অন্য জায়াগায় বিয়ে হলে সহবাস শর্ত। সহবাস ছাড়াও ডিভোর্স দিতে পারবে,তবে এক্ষেত্রে ঐ স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে না।

(৩) যদি অন্য কোথাও বিয়ে হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবে তার সাথে সহবাসের পর তালাক হয়, তাহলে তখন ঐ স্ত্রী তার প্রথম স্বামীর জন্য হালাল হবে।

(৪) জ্বী, প্রয়োজনে মুবাইলে যোগাযোগ করিয়ে দিতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,600 points)
 উত্তর দেয়া হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...