https://ifatwa.info/82025/
আসসালামু আলাইকুম, এ লিংকে যে প্রশ্ন করা হয়েছে। একটু বুঝিয়ে লিখছি।
শায়েখ ওই বোন জীন,জাদুর সমস্যা আছে। জাদুর কারণে তার পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া,ইস্তিহাজা, ব্লিডিং ঠিকমত না হওয়া,রক্ত পরিবর্তনশীল হওয়া এ ধরনের সমস্যা আছে।
আর হায়েজের দিনও পরিবর্তন হয়।কোনো মাসে ৭/৮/৬/১০ দিন এরকমও ধরেছেন। উনি বুঝতে পারেন না পিরিয়ড শেষ হয়েছে কিনা বা শুরু হলো কিনা তাই।
আর তিনি সাদাস্রাবের পেশেন্ট। মাজুর হিশেবে নামাজ পড়েন। তাই সাদাস্রাব আসলে হায়েজ শেষ ধরে নেন।
এখন ২০২৩ ঈদুল ফিতরের পর তার হায়েজ হয়নি। ২০২৩ এ রমজানে হায়েজ ধরেছিলেন ৬ দিন।
পরে প্রায় ৩ মাস পর আগস্ট মাসে স্রাব আসে।
এখন বোন তার আগস্ট মাসে আসা রক্তের বর্ণনা দিয়েছেন উক্ত লিংক এ
https://ifatwa.info/82025/
তারিখমতো লিখে লিখে দিয়েছেন । প্রথমদিন শুধু সাদাস্রাবের সাথে তিলের মত ১ ফোটা রক্ত। এভাবে অন্যদিনগুলোর রক্ত বা স্রাবের ধরণ ওই লিংকে দেয়া আছে।
এখন ওই হিশেবে তিনি ১আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট ৭ দিন হায়েজ ধরেছিলেন। এরপর সাদাস্রাব আসায় ফরজ গোসল করে নামাজ পড়ে নেন।
১৫ আগস্ট আবার মাগরিবের দিকে লালা স্রাব যায় একদলা একটু। এভাবে এটা পরবর্তীতে চলমান থাকে।
তিনি ইস্তিহাজা ধরে নামাজ পড়েছেন।
কারণ তিনি জানেন ২ হায়েজের মধ্যবর্তী সময় ১৫ দিন পবিত্রতা ধরতে হয়। তার আগে রক্ত বা লাল স্রাব আসলে তা ইস্তিহাজা।
সেই স্রাব কিছুদিন গিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। সম্ভবত ২৩ আগস্ট বন্ধ হয়ে যায়। সাদাস্রাব আসে আবার। সে স্রাব বা রক্তের গন্ধ হায়েজের রক্তের গন্ধের মত ছিল না। হালকা খয়েরী রং ও পানি পানি। তাই ইস্তিহাজা ধরেছিলেন।
◾⚫যেহেতু তার গত হায়েজ ১ আগস্ট থেকে ধরেছিলেন। ১-৮ আগস্ট হায়েজ ধরে নামাজ অফ রেখেছিলেন।
১৫ আগস্ট থেকে ২৩ আগস্ট স্রাবটাইপ রক্ত আসলেও ইস্তিহাজা ধরে নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন। ⚫⚫
এখন আজ ৪ সেপ্টেম্বর আবার ফজরে রক্ত এসেছে টিস্যুতে। স্রাবের মত। হায়েজের শুরুর দিনের মত। বা ইস্তিহাজার মতো। ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। আসল রক্ত আসেনি। স্রাবটাইপ রক্ত।
এজন্য উক্ত লিংকের প্রশ্নগুলো করেছেন।
এখন আজ প্রশ্নগুলো হলো-
১/ ১৫- ২৩ আসস্ট আসা রক্ত কি ইস্তিহাজা ছিলো? উনি নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন।
২/ ৪ সেপ্টেম্বর আসা রক্তস্রাব কি হায়েজ ধরবেন এখন? কারণ ১৫- ২৩ আগস্টে আসা রক্ত ইস্তিহাজা ধরেছিলেন।
৩/ দেখা গেলো ৪ সেপ্টেম্বর রক্ত দেখে নামাজ বন্ধ করেছেন কিন্তু পরে ২ দিন গিয়ে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। তখন বোঝা যায় ইস্তিহাজা ছিলো। ( কারণ ৩ দিনের কমে ত হায়েজ হয়না)
রক্ত হায়েজের ডেটেই এসেছে।
৪/আবার অনেক সময় নামাজ চালিয়ে গিয়েছেন কিন্তু রক্ত ৩ দিনের বেশি যায়, তখন হায়েজ ধরে আবার নামাজ বন্ধ করেন।
এজন্য নামাজ চালিয়ে যাবেন না বন্ধ রাখবেন? সেপ্টেম্বরে রক্ত আসলে।
( এরকম এলোমেলো হয়ার কারণ, তার জীন ও জাদুর সমস্যা। জীনরা এরকম করে যাতে নামাজ ও ইবাদত বন্ধ হয়ে যায়)